খান মুহাম্মদ রুমেলের একগুচ্ছ কবিতা
আয়না
বহু বছর পর আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে মনে পড়ে যাবে—
কমলা রং বিকেলের কথা!
ওই যে,
সবটুকু আলো নিয়ে চলে যাচ্ছিল সূর্যটা!
সিঁদুরের কৌটায় তুমি খুঁজেছিলে কার মুখ?
আমি তো তখন বন্দি হয়ে গিয়েছিলাম—
একটি না বলা কথার মাঝে।
তারপর,
অনিবার্য পতন হয়ে নেমে এসেছিলাম—
ঠোঁটে গালে চোখে!
বহু বছর পর আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে
খুঁজো আমায় কোচকানো ভ্রুর ফাঁকে।
মনে পড়ে যাবে অলস দিনগুলো সব
ঝিমধরা দুপুরের মতো!
****
বিমোহিত
কেউ না জানুক, গল্পগুলো লেখা থাক
তবু পালকের জলে, থাকুক
পরিহাসগুলোও—
ফুটবো একদিন গন্ধরাজ হয়ে ঠিকই!
উপেক্ষার জবাব নয়—ছড়াবো শুধু মোহিত সৌরভ।
পাললিক উর্বরতায় ফলাবো ফসল
সাধ নেই মহীরুহের—রয়ে যাবে শ্রমের আঁচড়!
বেঁচে তো আছি—এই বড় খবর
আপনি বরং ফসিল—ডাইনোসর জীবন!
****
মৃতদের আকাশ
মৃতদের কোনো আকাশ থাকে না
থাকতে নেই!
তবুও কিছু লাশ স্বপ্ন দেখে
মুক্ত পাখির ডানা ঝাপটানোর আওয়াজ—
পৌঁছে যায় তাদের কানের কুহরে।
সাদা মেঘের ভেলা ভাসে—ভেসে যায়
তাদের চোখের মনিতে মনিতে!
আড়মোড়া ভেঙে জেগে উঠতে চায়
আদতে তারা মৃত—মৃত্যুই নিয়তি!
তারপর রাত নেমে এলে—
দেখা হয় নক্ষত্রদের নিয়ম মেনে
জেনে নেয় কি কুশল একে অপরের!
মৃতদের কোনো আকাশ নেই
তবুও তাদের স্বপ্ন থাকে।
কী আশ্চর্য রকম বৈপরীত্য!
****
বাঁশ বিষয়ক আলাপ
প্রথমে,
বাঁশটাকে মানুষ তৈলাক্ত বানায়
তারপর,
বানরের ওঠানামার গল্প বানায়!
এটাই হলো সারভাইভাল অব দ্য ফিটেস্ট
বাকি আলাপ,
স্রোতের বিপরীতে কারো শিরদাঁড়া টানটান!
এসইউ/জেআইএম