ভিডিও EN
  1. Home/
  2. সাহিত্য

স্মৃতিঘর: রাজনৈতিক ও পারিবারিক স্মৃতিভাষ্য

সাহিত্য ডেস্ক | প্রকাশিত: ০১:১৫ পিএম, ০২ এপ্রিল ২০২২

মো. সাইদুজ্জামান

ডা. দীপু মনি বাংলাদেশের রাজনীতিতে একজন উজ্জ্বল নক্ষত্র। কর্মগুণেই তিনি দেশে-বিদেশে পরিচিত ও সমাদৃত। তিনিই প্রথম বাংলাদেশের নারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী। বর্তমানে তিনি গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের শিক্ষামন্ত্রীর দায়িত্ব সাফল্যের সঙ্গে পালন করছেন। মেডিকেলের শিক্ষার্থী, পেশায় রাজনীতিবিদ হলেও লেখালেখির সাথে তাঁর ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। তাঁর প্রথম গ্রন্থ ‘তোমার মুক্তি আলোয় আলোয়’ (২০১৫) পাঠক সমাদৃত হয়। সম্প্রতি প্রকাশিত ‘স্মৃতিঘর’ গ্রন্থটি ইতোমধ্যে পাঠক মহলে যথেষ্ট সাড়া ফেলেছে।

গ্রন্থটির ‘নিবেদন’ অংশে লেখক ডা. দীপু মনি সহৃদয় পাঠকদের তাঁর আনন্দ-বেদনার ‘স্মৃতিঘর’-এ প্রবেশ করার সানন্দ স্বাগত জানান। এ অংশে তিনি উল্লেখ করেন, ‘জীবন স্মৃতিময়। সব স্মৃতি আনন্দের নয়, কোনো কোনোটি বেদনারও। আমি বিভিন্ন সময়ে কয়েকটি স্মৃতিকথা লিখেছি। লেখাগুলো পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। সেখান থেকে নির্বাচিত পাঁচটি স্মৃতিচারণমূলক লেখা নিয়ে পাঠকের কাছে যাচ্ছে স্মৃতিঘর গ্রন্থটি।’ লেখক স্বাক্ষরের জায়গায় স্থান ও তারিখ লিখেছেন ‘চাঁদপুর’ ও ‘৮ ডিসেম্বর ২০২১’। এখানে উল্লেখ্য, ০৮ ডিসেম্বর ১৯৭১ চাঁদপুর মুক্ত দিবস। লেখক সুকৌশলে এর মাধ্যমে সচেতন পাঠকের কাছে চাঁদপুর মুক্ত দিবস এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতার যোগসূত্র তৈরি করতে সক্ষম হয়েছেন। আবার ৮ ডিসেম্বর তাঁর জন্মদিনও।

গ্রন্থটির ১ম ভাগে সন্নিবেশিত স্মৃতিকথামূলক প্রবন্ধগুলোর শিরোনাম: ‘আমার ধ্রুবতারা’, ‘বঙ্গবন্ধু-কন্যাকে নিয়ে টুকরো স্মৃতি’, ‘অন্নপূর্ণা দেবী স্মরণে’, ‘একুশ আগস্টের দুঃসহ স্মৃতি’ এবং ‘মেডিকেল কলেজের কথা’সহ মোট পাঁচটি, দ্বিতীয় ভাগে স্থিরচিত্র অংশে ৫টি ছবি রয়েছে। এ ছাড়াও গ্রন্থের বিভিন্ন অংশে আরও ১৩টি ছবিসহ স্থিরচিত্র রয়েছে মোট ১৮টি।

ডা. দীপু মনি ভাষাবীর এম এ ওয়াদুদ ও রহিমা ওয়াদুদের কন্যা। এম এ ওয়াদুদ রাজনীতির সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত ছিলেন। ইত্তেফাক পত্রিকার সাথে তাঁর ছিল আত্মার সম্পর্ক। মা রহিমা আক্তার ছিলেন স্বনামধন্য শিক্ষিকা। লেখকের প্রতিদিনের পথ চলা, চিন্তা-চেতনা, ধ্যান-ধারণা, শুদ্ধ জীবনবোধ, শাশ্বত মূল্যবোধ, সাহস, ধৈর্য, আদর্শের প্রতি অবিচল অঙ্গীকার সবকিছুই তিনি আত্মস্থ করতে পেরেছেন বাবার অনুপ্রেরণা ও ইচ্ছাশক্তির কারণে—যা বইটির ১ম ভাগে সন্নিবেশিত ‘আমার ধ্রুবতারা’ নামক স্মৃতিকথায় উল্লেখ রয়েছে। প্রবন্ধটি পড়ে সহজেই বোঝা যায়, পিতাই ছিলেন লেখকের ‘ধ্রুবতারা’। প্রবন্ধটিতে লেখক চমৎকারভাবে পিতার রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড তুলে ধরেছেন; সাথে সাথে পারিবারিক জীবনের অনেক চিত্রও প্রসঙ্গক্রমে উঠে এসেছে। স্বাধীনতাপরবর্তী প্রজন্মের কাছে ভাষাসৈনিক এম এ মতিন, গাজীউল হক পরিচিত নাম হলেও রহস্যময় কারণে ভাষাবীর এম এ ওয়াদুদ দৃষ্টির আগোচরে রয়ে গেছেন। অথচ তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর খুবই আস্থাভাজন ও স্নেহভাজন ছিলেন তিনি। রাজপথে ছিলেন শেখ মুজিবের সহকর্মী। অসীম সাহসী এই ব্যক্তি দায়িত্ব পালনে ঝুঁকি নিতেও পিছপা হননি। লেখকের স্মৃতিকথা থেকে জানা যায়, ‘শুনেছি ’৪৮-এর ১১ই মার্চ ধর্মঘট চলার সময় সচিবালয়ের মূূল ফটকের সামনে রাস্তায় শুয়ে পড়ে গাড়ি সচিবালয়ে ঢোকা বন্ধ করে দিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে। ভারী ট্রাক এসে তাদের সরাতে ভয় দেখিয়েছে। পাঁজরে চাপ দিয়েছে ভারী ট্রাকের চাকা দিয়ে। সরাতে পারেনি। শুনেছি পুলিশের লাঠির আঘাত হাত দিয়ে প্রতিহত করতে গিয়ে হাত ভেঙ্গেছে। পুলিশের লাঠির আঘাতে মাথা ফেটেছে। কোন অত্যাচার নির্যাতনই তাঁকে তাঁর কর্তব্য থেকে টলাতে পারেনি কখনো।’ (পৃ-১২)

স্বাধীনতার পরে যুদ্ধ-বিধ্বস্ত দেশে লোকসানে জর্জরিত কারখানা তাঁর পরিচালনায় দ্রুত লাভজনক প্রতিষ্ঠানে পরিণত হওয়া, শ্রমিক অসন্তোষ দূর করা, দায়িত্বপ্রাপ্ত হয়ে তিন মাসের মধ্যে কাগজের সংকট দূর করার মধ্য দিয়ে ওয়াদুদের সততা, দেশপ্রেম, অকুতোভয় মনোভাবেরই প্রকাশ পায়। সন্তানদের সুশিক্ষায় শিক্ষিত করে তোলা এবং বিপদ-সংকুল কিংবা বৈরী পরিবেশেও যেন সন্তান সবদিকে সামলিয়ে একা পথ চলতে পারে, সেই চেষ্টাতেও তিনি সফল হয়েছেন।

পরমতসহিষ্ণু, নির্ভীক এই ব্যক্তি ১৫ আগস্ট ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুর সপরিবারে হত্যাকাণ্ডের পরেও সাহস হারাননি বরং দৃঢ়তার সাথে সংগ্রাম চালিয়ে গেছেন। সামরিক সরকারের নানা প্রলোভনও তাঁকে আদর্শচ্যুত করতে পারেনি। কিন্তু ১৯৮১-র ১৭ মে জননেত্রী শেখ হাসিনা যেদিন দেশে ফিরলেন, সেদিন তিনি আর নিজেকে ধরে রাখতে পারেননি। লেখক উল্লেখ করেন—‘মুজিব ভাইকে হারিয়ে সেদিন যে কান্না তিনি কাঁদতে পারেননি, শক্ত হয়েছেন, সবাইকে শক্ত হয়ে শক্তি সঞ্চয় করে বঙ্গবন্ধুবিহীন বাংলাদেশে বঙ্গবন্ধুর আদর্শে পথে চলতে উদ্বুদ্ধ করেছেন, নির্যাতন নিপীড়নের, কারাভোগের তোয়াক্কা করেননি, সেই সব জমানো চেপে রাখা কান্না যেন সেদিন আব্বু কেঁদেছিলেন মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে। সারাদেশের মুক্তিকামী মানুষ কেঁদেছিল। সেই কান্নার মধ্যে মিশে ছিল ’৭৫-এ পিতাকে হারানোর বেদনা, আদর্শচ্যুত হয়ে দেশ-এর ভ্রান্ত পথচলার হতাশা, নেত্রীর প্রত্যাবর্তনের মধ্য দিয়ে সে আদর্শের পুনঃপ্রতিষ্ঠার স্বপ্ন, ’৭১-এর চেতনাকে ফিরে পাবার আশা, আর বঙ্গবন্ধুর আরাধ্য সোনার বাংলা গড়বার প্রত্যয়।’ (পৃ-২৭)

নামের কারণে লেখককে দেশের মেধাবীদের বিদ্যাপীঠেও যে ভোগান্তির শিকার হতে হয়েছে তা ‘মেডিকেল কলেজের কথা’ স্মৃতিকথায় জানা যায়। ভাইভা বোর্ডে স্বয়ং ঢাকা মেডিকেলের প্রফেসর জিজ্ঞেস করেন, ‘তোমার বাবা মা তো মুসলিম, তাহলে তোমার নাম এ রকম কেন? হিন্দু নাম কেন?’ (পৃ-৪২) মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থী হলেও ছিলেন লেখক রাজনীতি ও সমাজ সচেতন। সে সময়ে মেয়েরা কলেজ ক্যান্টিনে প্রবেশ করতো না। দীপু মনিই ফার্স্ট ইয়ারে থাকতে দুই-তিন জন বান্ধবী নিয়ে ক্যান্টিনে প্রবেশ করে সেই প্রথা ভঙ্গ করলেন। সন্ধানীর সেক্রেটারির পদ গ্রহণ করার কারণে ছাত্রলীগের কর্মী হিসেবেই তিনি শিক্ষার্থীজীবন অতিবাহিত করেছেন। কেননা সে সময়ে একইসাথে দু’টি পদ গ্রহণ করা যেত না। এ প্রসঙ্গে আরেকটি কথা না বললেই নয়। ফার্স্ট ইয়ারে থাকাকালীন ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের মৃত্যুবার্ষিকীতে সন্ধানী কর্তৃক রক্তদান কর্মসূচির আয়োজনে তৎকালীন শেখ হাসিনা আপা বর্তমানে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রক্ত দীপু মনিই নেন।

২০০৪ সালের ২১ আগস্টের ভয়াবহ স্মৃতি এখনো তাড়িয়ে বেড়ায় লেখককে। সেদিন বিকেলে বিরোধী দলীয় নেত্রী শেখ হাসিনার বক্তৃতা শেষের পরপরই ১৩টি গ্রেনেড ছোড়া হয় জনসভায়। নিহত হন আওয়ামী লীগ নেত্রী আইভী রহমানসহ অনেক এবং আহত হন শতশত। গ্রেনেড দিয়ে তাঁকে (শেখ হাসিনা) হত্যা করতে ব্যর্থ হলে শুরু হয় গাড়ি লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ। চারদিকে গ্রেনেড আর গুলির বিকট শব্দ, বারুদ আর রক্তের গন্ধ, ধোঁয়া, আহতদের আর্তচিৎকার, মানুষের ভয়ার্ত ছুটোছুটি, কান্না আর মৃত্যুর হাতছানি। সেদিনের সেই ভয়াবহ বিকেলে লেখকও ঘটনাস্থলে ছিলেন। খালি পা, রক্তমাখা ছেঁড়া শাড়ি ও আহত অবস্থায় তিনি বাড়ি ফিরলেও অনেকদিন পর্যন্ত তিনি ঠিকভাবে ঘুমাতে পারেননি। চোখ বন্ধ করলেই গ্রেনেডের শব্দ, গুলির শব্দ, রক্ত আর বারুদের গন্ধ, মানুষের আর্তচিৎকার তাঁর কানে বাজতো। এত বড় একটা জঘন্য ও বীভৎস কাজকে তৎকালীন সরকার জজ মিয়া নাটক সাজিয়ে জনসম্মুখে চালিয়ে দেয়।

তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়ে ২০০৭ সালে জননেত্রী শেখ হাসিনার চিকিৎসার জন্য লেখক ডা. দীপু মনি জুনের শেষ সপ্তাহ থেকে ১৫ জুলাই পর্যন্ত প্রায়ই সুধাসদনে যেতেন। সে সময়ের ঘটনাগুলো নিয়ে তাঁর ‘বঙ্গবন্ধু-কন্যাকে নিয়ে টুকরো স্মৃতি’ রচনাটি লেখা হয়েছে। শেখ হাসিনা সুধাসদনে গৃহবন্দি থাকলেও দেশের কল্যাণে সব সময় চিন্তিত ছিলেন এবং দেশের উন্নয়নে বিভিন্ন পরিকল্পনা করতেন। এ প্রসঙ্গে লেখকের স্মৃতিচারণের মধ্য দিয়ে নেত্রীর বক্তব্য উল্লেখ না করে পারছি না—‘একটুও ভাববে না। ওরা আমার কিছুই করতে পারবে না। আমার দেশের জনগণ ওদের শাসন মানবে না। ওরা নির্বাচন দিতে বাধ্য হবে। জনগণ আমাদের ভোট দেবে। আমরা সরকার গঠন করব। পরিকল্পনা সব তাই এখন থেকেই করে রাখছি, যেন দায়িত্ব পাবার পর সময় নষ্ট না করতে হয়।’ (পৃ-৩১) নেত্রীর কথাগুলো যেন পিতার কথারই প্রতিধ্বনি। ১৯৬৯ সালে আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলায় অভিযুক্তদের ফাঁসিতে ঝুলবার আশঙ্কায় বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন—‘ভাবিস না, জনগণ এ প্রহসনের বিচার মানবে না। আমাদের আন্দোলন করে মুক্ত করবে। তারপর নির্বাচন দিতে সরকার বাধ্য হবে। আমরা জিতব। আমাদের ক্ষমতায় যেতে দেবে না। যুদ্ধ হবে। আমরা স্বাধীন হব।’ (পৃ-৩১)

ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁ ও মদিনা বেগমের কনিষ্ঠ কন্যা রোশনারা ওরফে অন্নপূর্ণা দেবী (আলাউদ্দিন খাঁ তখন মাইহার (বর্তমানে মধ্য প্রদেশের অন্তর্গত) রাজসভার সংগীতশিল্পী, জন্মের সাথে সাথেই মাইহারের মহারাজ ব্রিজনাথ সিং এ মেয়ের নাম রাখেন ‘অন্নপূর্ণা দেবী’)। ২০১৮ সালের ১৩ অক্টোবর অন্নপূর্ণার মৃত্যু সংবাদ পাওয়ার পরে লেখকের মনে ভেসে ওঠে অতীত স্মৃতি। অন্নপূর্ণা দেবীর সাথে লেখকের শ্বশুরবাড়ির লোকজনের ঘনিষ্ঠতা ছিল বলে জানা যায়। লেখকও ২০১১ সালের ৩০ জুন ইউরোপ যাওয়ার পথে মুম্বাইয়ে যাত্রা বিরতিতে অন্নপূর্ণা দেবীর সাথে দেখা করেন। ত্রিপুরার দুই বাঙালি কন্যার (অন্নপূর্ণার বাবার বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়া আর লেখকের বাবার বাড়ি চাঁদপুর—দুটোই একসময় ত্রিপুরার অংশ ছিল) অল্প কিছু সময়ের সাক্ষাতে একজন আরেকজনকে জড়িয়ে ধরা, হাত ধরে বসে থাকা, হাসি, কান্না, হাতে চুমু দেওয়া—মনে হলো যেন দু’জনই খুব আপন। কিছুক্ষণের সে আদর, ভালোবাসা, আশীর্বাদ লেখকের মনে চিরদিন গেঁথে রইলো।

২য় ভাগে সংযোজিত ‘স্থিরচিত্র’ অংশে যে ৫টি ছবি স্থান পেয়েছে তাহলো—কবি কাজী নজরুল ইসলামকে ফুলের মালা পরিয়ে দিচ্ছেন দীপু মনি; বাবা, মা, ভাইয়ের সঙ্গে দীপু মনি; ২০০৭ সালের জুলাই মাসে জননেত্রী শেখ হাসিনাকে গ্রেফতার করা হয়। আদালত প্রাঙ্গণে বঙ্গবন্ধু-কন্যার সঙ্গে মতিয়া চৌধুরী ও ডা. দীপু মনি; ২০০৮ সালে কারামুক্ত জননেত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে ডা. দীপু মনি; মা রহিমা ওয়াদুদের সঙ্গে ডা. দীপু মনি। এ ছাড়াও গ্রন্থের বিভিন্ন স্থানে যে ১৩টি ছবি রয়েছে, প্রত্যেকটিই লেখার সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ ও প্রাসঙ্গিক। এসব ছবির মাধ্যমে লেখকের পারিবারিক ও রাজনৈতিক ঐতিহ্য, নেত্রী, দেশের এবং জনগণের মঙ্গলের প্রতি দৃঢ়চেতা মনোভাব দেখা যায়।

‘স্মৃতিঘর’ একটি চমৎকার গ্রন্থ। লেখক কঠোর পরিশ্রম করে যে স্মৃতিময় ঘটনা আমাদের সামনে উপস্থাপন করেছেন তার ছাপ রয়েছে বইটিতে। বইটি যেহেতু স্মৃতিকথা, তাই বইটিতে ভাষা আন্দোলনসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয় খণ্ড খণ্ড ভাবে উঠে এসেছে। এই পাঁচটি প্রবন্ধের মাধ্যমেই পাঠক খণ্ডিতভাবে দেশের রাজনৈতিক ইতিহাস, বিশেষ করে ভাষাবীর এম এ ওয়াদুদ ও তাঁর কন্যা ডা. দীপু মনি এমপির রাজনীতি ও পারিবারিক ইতিহাস সম্পর্কে সম্যক ধারণা পাবেন। লেখক তাঁর স্মৃতির বাতায়ন থেকে পরবর্তী গ্রন্থে এ রকম আরও ঘটনা পাঠকের সামনে উপস্থাপন করবেন এ আশা করি।

৪৮ পৃষ্ঠার ছোট্ট এ গ্রন্থের প্রচ্ছদ এঁকেছেন রাজীব দত্ত। উৎসর্গ করা হয়েছে ডা. দীপু মনির বাবা ভাষাবীর এম এ ওয়াদুদ ও মা রহিমা ওয়াদুদকে।

স্মৃতিঘর
ডা. দীপু মনি
প্রকাশক: চৈতন্য
প্রকাশকাল: ডিসেম্বর ২০২১
পৃষ্ঠা: ৪৮
মূল্য: ২৫০ টাকা।

এসইউ/এমএস

আরও পড়ুন