শরতের দুটি কবিতা
শারদ সন্ধ্যায়
অসীম নীলে মাতাল অনিলে
মেঘের তুলো ভাসে!
সবুজ দিগন্ত বন বনান্ত
প্রাণ খুলে হাসে!
সাদা নীলে দারুণ মিলে
দূর আকাশের গায়!
নীলে সবুজে দারুণ সাজে
দিকচক্রবাল রেখায়!
রঙের ছোঁয়ায় মন হারায়
অনিন্দ্য সুন্দর ধরা!
ছন্দ সুরে প্রাণ ভরে
আলোয় ভুবন ভরা!
কলা পাতা দোলায় মাথা
ভাসবে মেঘের সনে;
বাউলের চুল উড়ুক্কু কুন্তল
উড়বে দূর গগনে!
শরৎ আকাশ রম্য ক্যানভাস
স্বচ্ছ রহস্যময় নির্মল;
মেঘের পরে মেঘ উড়ছে
জগলুর চিত্ত বিহ্বল!
শরীর ছেড়ে মন ওড়ে
বিনি সুতার ডোরে;
উল্লাসে দূরে চিলেরা ওড়ে
গোধূলির লাল আবীরে!
স্বচ্ছ টলটলে দীঘির জলে
আকাশের মোহনীয় ছায়া!
সাঁঝের বেলা জগলু একলা
জলতলে হারায় কায়া!
****
শুভ্র শরৎ
শ্রাবণ গেছে ফিরে চুপিসারে
বর্ষাময় শান্ত সকালে!
নীল-সাদা শাড়ি পরে অগোচরে
ভাদ্র এসেছে ধরাতলে!
বৃষ্টি শেষে রোদ হাসে
রোদ হারায় মেঘে নিমিষে!
টক মিষ্টি ঝালের সৃষ্টি
সকাল সাঁঝের আকাশে!
ঝুম বৃষ্টি রোদ মিষ্টি;
কী অপূর্ব অনাসৃষ্টি!
নির্মল জ্যোতি শান্ত প্রকৃতি
ঝিলে শাপলার লুটোপুটি!
ভাদ্র শেষে আশ্বিন আসে
প্রকৃতি ছায় সাদা শুভ্রতায়!
ভাদ্র সূচনায়, আশ্বিন পূর্ণতায়
শরৎ স্বল্পায়ু কেন হায়!
আকাশ অমল নীল নির্মল
পেঁজা পুঞ্জ সাদা মেঘ ভাসে!
সবুজ ক্ষেতে ধানের শীষ
মুখ উচিয়ে উদ্ভাসে!
গাঙ্গের পাড়ে নদীর চরে
ধূসর কাশফুলের আঁচল!
জুঁই-শিউলি ফুলের হাসি
শরতের মাধুরী কোমল!
ভাদ্র মাসে উষ্ণ বাতাসে
তাল পেকে রসে টসটস;
অনুষ্ণ বাতে জ্যোৎস্না রাতে
ভাবুক বিবাগীর মন বেবশ!
এসইউ/এমএস