মহসিন আহমেদের কবিতা
প্রতিউত্তর
তোমার উড়োচুম্বনের প্রতিউত্তর
আসন্ন শীতের আগেই পৌঁছে দেবো হাওয়াই দ্বীপে
অনুচ্চারিত সংলাপ যে প্রান্ত ছুঁয়ে এসেছে
সে প্রান্তের হর্ষধ্বনিতে বিভোর হয়ে কেটে গেছে সোনালি সময়
কোনো সৈকতে লুটিয়ে পড়েছিল কি-না জানি না
চারপাশে সুসজ্জিত সহস্র রাসায়নিক পর্দা
তোমাকে মেলে ধরছে পৃথিবীর পাঠশালায়
ইউরেশিয়া গোগ্রাসে গিলে খাচ্ছে অকৃত্রিম নির্যাস
তোমার ওই দ্বীপরাজ্যে যাবার সাধ্য নেই আমার
সাধ ছিলো যদিও আকাশসম
আমার আকাশে প্রতিদিন ঘুড়ি হয়ে উড়ছে অজস্র বিকিনিপত্র
সুবোধ বালকেরা যাপিত উষ্ণতা নিয়ে
কচ্ছপের মত ঢুকে যায় আপন খোলসে
আর তুমি, তরঙ্গের স্তাবকতায় মেলে ধরো আপন স্থাপত্যশৈলী
যতিচিহ্নের ব্যবহার ভুলে গিয়ে লিখে যাই অবিরাম
স্বর্ণপ্রতিমার মত চিরভাস্বর হয়ে উঠছ দু’চোখে
হোমারের ইলিয়াড থেকে কিছুতেই বেরোতে পারছি না আমি
পালাবার কোনো পথ নেই,
যেদিকে তাকাই অদৃশ্য আয়নায় ভেসে ওঠে স্বরূপ
বন্দরে বাঁধা শেষ সাম্পানটি নিয়ে গেছে লর্ড
ভয়াল সমুদ্র, হাঙরের ভয়!
তুমি তো সাজঘরেই বুঁদ হয়ে আছো!
হাওয়ার স্পন্দনই ছুঁতে পারে তোমার স্নায়ুদেশ।
কবি: গীতিকার, বাংলাদেশ বেতার ও টেলিভিশন, সাধারণ সম্পাদক, শ্রীপুর সাহিত্য পরিষদ, গাজীপুর।
এসইউ/এএসএম