রঙিন প্রজাপতি
সানজিদা সামরিন
রাঙা দুই প্রজাপতি
মুনাম আর কঙ্কাবতী
সকাল থেকেই ব্যস্ত তারা, ভীষণ ছুটোছুটি
মুখে ফোটে গান, ছড়া আর খেলে রান্নাবাটি।
যখন দুপুর হয়,
স্নানটি সেরে কঙ্কাবতী দাঁড়ায় জানালায়
আঙুল তুলে বলে- কেমন হতো বলো তো আপাই
ওই পাখিটি এলে?
মুনাম হেসে বলে- মেঘ গলিয়ে আসবে যেদিন ছোট্ট নীল পাখি
জানালায় বসে ডাকবে তোমায়, কঙ্কা আছ নাকি?
কঙ্কাবতী হাসে, তাকায় অবাক চোখে
স্বপ্ন দেখে নীল পাখিটির, আশা বাঁধে বুকে।
বিকেল গড়ায় যখন
লক্ষী মুনাম রঙ, তুলিতে
আঁকতে বসে তখন।
লাল বৃষ্টি, সবুজ তারা
নীল শঙ্খচিল
কত কী যে এঁকে ফেলে
রেখে মনের মিল।
কঙ্কা তখন ছটফটে হয়
দুষ্টুমিতে মাতে
বলতে থাকে চাচ্চু কোথায়
যাই না চলো ছাদে!
এক পা দু’পা করে তারা ছাদে উঠে যায়
সূর্যি মামা নত হয়ে স্বাগত জানায়।
নেচে বেড়ায় তারা দু’বোন মুনাম-কঙ্কাবতী
ছাদ বাগানে ওরাই যেন রঙিন প্রজাপতি!
ছোট্টটি দেখে গাছের পাতা, ফুল ফুটলো নাকি
মুনাম বলে- রোশো কঙ্কা, আর ক’টা দিন বাকি।
তখন উড়ে ঘুরে বেড়ায় ছোট্ট কঙ্কাবতী
চাচ্চুর কাছে মুনাম শেখে ‘আমাদের ছোট নদী’
এমনি করে সন্ধ্যামণি ডানা মেলে দেয়
কঙ্কাবতী ধৈর্য হারায় মায়ের খোঁজ চায়।
চাচ্চু বলে- চলো তবে
কোলে এসো তাড়াতাড়ি
কঙ্কা বলে- না না না আমিই নামতে পারি!
মুনাম আর চাচ্চু তখন হেসে গড়াগড়ি
সিঁড়ির ধাপে চলে ওদের ছড়ার ছড়াছড়ি!
এইচএ/পিআর