প্রকাশিত হয়েছে ‘বাংলার মহারাজ : ত্রৈলোক্যনাথ চক্রবর্তী’
প্রকাশিত হয়েছে লেখক ও গবেষক ফয়সাল আহমেদের বই ‘বাংলার মহারাজ : ত্রৈলোক্যনাথ চক্রবর্তী’। বইটি প্রকাশ করেছে দ্যু প্রকাশন। ১৬০ পৃষ্ঠার বইটিতে ব্রিটিশ বিরোধী বিপ্লবী মহারাজ ত্রৈলোক্যনাথ চক্রবর্তীর জীবন ও কর্ম নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। ২৫০ টাকা দামের বইটির প্রচ্ছদ করেছেন মোস্তাফিজ কারিগর।
বৃটিশ শাসকদের ভিত কাঁপিয়ে দেওয়া এক বিপ্লবীর নাম ত্রৈলোক্যনাথ চক্রবর্তী। লোকে যাঁকে মহারাজ বলে ডাকে। তিনি বাংলার বিপ্লবী আন্দোলনের প্রতীক। বিপ্লবী কর্মকাণ্ডের কারণে অগ্নিযুগে যে কয়েকজন ভারতবর্ষে পরিচিত হয়ে উঠেছিলেন, বৃটিশ শাসকদের ভয়ের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন, মহারাজ ত্রৈলোক্যনাথ চক্রবর্তী তাঁদের অন্যতম।
তাঁকে নিয়ে লেখক ও গবেষক ফয়সাল আহমেদের বই ‘বাংলার মহারাজ : ত্রৈলোক্যনাথ চক্রবর্তী’। বইটি দীর্ঘ গবেষণার ফসল। লেখক বইতে মহারাজ ত্রৈলোক্যনাথ চক্রবর্তীর সুদীর্ঘ জীবনের ধারাবাহিক বর্ণনা করেছেন। এতে উঠে এসেছে মহারাজের জন্ম, শৈশব-কৈশোর, বিপ্লবী আন্দোলনে যোগদান, জেল জীবন, রাজনৈতিক আন্দোলন, নির্বাচনে অংশগ্রহণ, সামজিক কর্মকাণ্ডের ইতিহাস। রয়েছে বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ আলোকচিত্র ও দুর্লভ পেপার ক্লিপিং।
লেখক ফয়সাল আহমেদের জন্ম ১৯৮৪ সালের ২৬ জানুয়ারি কিশোরগঞ্জ জেলায়। বর্তমান বসবাস ঢাকায়। তার বাবা শাহাব উদ্দিন আহমেদ, মা মাছনা আহমেদ। ব্যক্তিগত জীবনে বিবাহিত, স্ত্রী সুলতানা রাজিয়া শান্তা। তিনি কিশোরগঞ্জের গুরুদয়াল সরকারি কলেজ থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে স্নাতক ও ঢাকা কলেজ থেকে একই বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন।
তার প্রকাশিত বইয়ের সংখ্যা ছয়টি। প্রথম বই ‘স্বপ্ন ও একটি গ্রাম’ প্রকাশিত হয়েছিল ২০১৩ সালে, দ্বিতীয় বই ‘সেদিন বৃষ্টি ছিল’ ২০১৫ সালে প্রকাশিত হয়। ২০১৮ সালে প্রকাশিত হয় গল্পগ্রন্থ ‘চিরকুট’। ২০১৮ সালের অক্টোবরে প্রকাশিত হয় ‘সৈয়দ নজরুল ইসলাম- মহাজীবনের প্রতিকৃতি’। ২০২০ সালের বইমেলায় প্রকাশিত হয় ‘ফজলুল হকের গল্পসংগ্রহ (সম্পাদনা)’।
সম্পাদনা করছেন বই বিষয়ক ত্রৈমাসিক পত্রিকা ‘এবং বই’ ও নদী বিষয়ক অনলাইন ‘রিভারবাংলা ডটকম’। কাজের স্বীকৃতি হিসেবে পেয়েছেন ‘কালি ও কলম তরুণ কবি ও লেখক পুরস্কার’।
এসইউ/জেআইএম