কাশবন নিয়ে দুটি কবিতা
কাশকন্যা
শরৎ সেজেছে কাশফুলে
থরে বিথরে বালুচরে!
সাদা মেঘের শতদল উড়ছে
অপরূপা নীলাম্বরে!
ভাটির দেশে শুভ্র কাশবন
কেড়ে নিয়েছে মন,
নদীর তীর কত যে নিবিড়;
মন হয় উচাটন!
হাওয়ায় দোলে ফুলদল
উড়ে যেতে চায় সুদূরে;
মায়া-মমতায় আটকে আছে
পাশাপাশি অঙ্গাঙ্গীভাবে!
ফুলের মাঝে পাখীরা ওড়ে
প্রজাপতি নেচে চলে বাড়ি।
কাশকন্যাদের হাসির রেখায়
বিলীন হয়ে যায় পরী!
উদাসী আকাশ হাতছানি দেয়
ভাসাবে মেঘের ভেলায়!
সুরের ছোঁয়ায় মন রাঙাবে
মৃদুমন্দ পূবালী বায়!
****
কাশবনের রাজকন্যা
ধূসর সাদা কাশফুলে
ছেয়ে গেছে বালুচর।
নীলাকাশে উড়ছে
সাদা মেঘ স্তরে স্তর।
ধরাধামে নেমে এলো
এলোকেশী উর্বশী!
কপালেতে নীল টিপ
যেন পূর্ণিমা শশী।
নীল শাড়ি লাল পাড়ে
শ্যামলী তন্বী মনোহারী!
কাশবনের রাজকন্যা
যেন আসমানী পরী!
জোড়া ভ্রুর ডাগর চোখে
নজরকাড়া কাজল।
দুর্বিনীত হাওয়ায় উড়ছে
তার শাড়ির আঁচল।
তার মুখে ভাষা নেই
চোখে শুধু জল!
প্রকৃতির এত আয়োজন
সব হলো যে বিকল।
কবির অন্তর কাঁপে
সেও মূক বিহ্বল!
কথা কাব্য নৈবেদ্য
সব হলো যে বিফল!
এসইউ/জেআইএম