এ কে সরকার শাওনের তিনটি কবিতা
হৃদয়েশ্বরী
কখনো সজনী কখনো নীলা
কখনো মৌ কখনোবা হিয়া।
কখনো উর্বশী কখনো শিলা,
কখনো মানসী কখনোবা প্রিয়া।
যে নামেই ডাকাডাকি
আসলে সে কে?
ঘুরে ফিরে আসে বারে বারে,
জীবন নদীর প্রতি বাঁকে বাঁকে!
সে কি রক্ত-মাংসের মানবী!
নাকি কল্পিত অশরীরী।
কিম্ভুতকিমাকার,
নাকি ডানাকাটা পরী!
আমিই কি জানি!
কে সেই হৃদয়েশ্বরী?
মন ছুঁয়ে যাওয়া,
মনরাজ্যের সেই অপ্সরী!
কেউ বলে আবাস তার
চূড়ামনকাঠি অথবা চান্দা।
কেউ করে অনুমান
হিলি বা হাতিবান্দা।
পতেঙ্গাতে বলে কেউ কেউ
অন্যরা বলে নাটোরে।
কেউ কেউ বলে চকোরীতে
কিংবা চিরির বন্দরে।
সে আছে স্বস্থানে
তার প্রিয় প্রান্তরে,
আমি বলি তনু-মনে
মিশে আছে এই অন্তরে!
কথা-কাব্য
কোথায় পালাবে? কোথায় লুকাবে?
যাবে কোথায়? কতদূর?
আমার স্মৃতিকণার মিছিল রবে
যাবে তুমি যতদূর!
যতদূর চোখ যায় দিগন্তরেখায়,
প্রকৃতির প্রতিটি সুরের ছোঁয়ায়;
আমার মনের কথা-কাব্য-গাথা
লেখা আছে সব নীল বেদনায়।
সব কবির কথা-কাব্যে
সব কবিতা গানে ও সুরে
আমিই থাকবো নীরবে-সরবে;
থাকবো তোমার ভুবন জুড়ে।
আমার মনের কথা-কাব্য
রইবে ভুবনজুড়ে,
ক্ষণে ক্ষণে পড়বে তুমি
ভাসবে নয়ন নীরে।
আকাশের বুকে নীলা হারায়
সাগরের বুকে ঢেউ।
তোমার হৃদয়কুঞ্জে আমার নিবাস
জানলো না তো কেউ।
রূপালি সৈকতে
মিষ্টি মুখে দুষ্টু কথা
শুনতে ভারি লাগে
বাঁকা হাসির চাঁদমুখখানা
স্বপ্নের মাঝেও জাগে!
সোহাগ আদুরে শাসনে
যখন আমায় পাগল বলো,
আমি বলি শতবার বলো
কর্ণে স্বর্গ-সুধা ঢালো!
পাশাপাশি যখন থাকি
অনাবিল সুখ আসে,
সেই সুখ স্মৃতিমালা
মনের মাঝে ভাসে।
এমন আবেগঘন মধুক্ষণ
যদি আর না ফিরে আসে।
অবশেষে যদি যাও হারিয়ে
ভাগ্যের নির্মম পরিহাসে।
তুমি কি তখনো বাইবে তরী
ভালোবাসার রূপালি সৈকতে!
এসইউ/পিআর