জুসেফ খানের দু’টি কবিতা
নাড়ির বন্ধন
জন্ম যেথায় অস্তিত্ব সেথায়;
ঠিকানা এ ধরায় আজীবন!
শেকড় আমার আমৃত্যু সে স্থান
ছেড়ে যেতে চায় নাহি মন!
মৃত্তিকার টানে প্রতিটি প্রহর
ডাকে মোরে জননী ধরাতল,
বুকের পাঁজর চিড়ে দেখ পাবে
ফুলকির খেলা, শোকানল।
শেফালিতে ঝরা শিশির ঘাসে,
আজানের সুরে আহ্বান প্রাতে,
অলস দুপুরে ক্লান্তি অবসাদে,
জোছনা আলোয় ঝলমল রাতে!
শয়নে-স্বপনে স্মৃতির হাতছানি
কাছে ডাকে, ওরে ফিরে আয়।
সুজলা সুফলা শস্য শ্যামলা,
শুনি সবুজের বুলি মৃদু বায়!
কলবে কলবে শিরায় শিরায়
হৃদপিণ্ড হাঁকে, শুনি স্পন্দনে!
স্বদেশ আমারে ডাকে চিৎকারে,
সাড়া দাও এবার নাড়ির বন্ধনে!
জীবন
জীবন সে এক রঙ্গমঞ্চ
অভিনেতা সবে তাতে।
ব্যর্থ, সফল, কর্মের ফল
পরিণাম নিজহাতে।
জীবন হলো পেন্সিলে আঁকা
প্রতিটি আঁচড় পাতার।
রাবারে মোছা যায় না তো পাপ,
ভুল-ত্রুটি গুনাহ-খাতার!
জীবন মানে অঙ্ক কষা
যে যার মতো করে!
সমাধানে ঠিক মিলবে সুফল
পতন ভুলের পরে।
জীবন সে এক যুদ্ধক্ষেত্র
লড়ছে সবাই রাত-দিন!
সংগ্রামে তাই বেঁচে থাকা,
ভয়ে বাঁচার আশা যে ক্ষীণ।
জীবন সে তো প্রভুর কৃপায়
ছোট্ট সময় ধরায়!
পাপ-পুণ্যের হিসাব হবে
ভাবলে টনক নড়ায়!
এসইউ/পিআর