কবির আত্মহনন
হতে পারে তোমার নাম কামরুজ্জামান কামু কিংবা তারেক আজিজ, তাতে কি?
নামে কিছুই আসে যায় না। এটাই সত্যি, তুমি একজন কবি, তুমি পাগলা গারদে বন্দি।
আহা... তুমি আজ কতদিন পাগলা গারদে!
আবার কখনও তোমাকে আত্মহননের পথ বেছে নিতে দেখি।
খবরদার বলে দিচ্ছি, একি ছেলেখেলা পেয়েছ?
রাষ্ট্র কিংবা পরিবার কারো সাথে নেই তোমার যোগাযোগ, সমাজের রন্ধ্রেরন্ধ্রে জমে থাকা
বিষের লাভা বের করতে যেয়ে নিজেই বিষের
ঘোরে ঝিমিয়ে থাকো অন্ধকার প্রকোষ্টে
কিংবা পাগলা গারদে।
কবিতা দিয়ে কিছুই হয় না,
না ডাল ভাত, না সুস্থ সমাজ।
তুমি কি নিজেই সুস্থ?
কবি তার অলীক দুনিয়ায় বসবাস করে,
স্বপ্নের জালবুনে চলে একসময় তোমার মতো সে জালে নিজেও জড়িয়ে যায়।
তুমি কবি, তুমি অলীক,
তুমি স্বপ্ন, তুমি ঘোর, তুমি খাপছাড়া,
তোমার বসবাস পাগলা গারদের অন্ধকারে।
আত্মহননই তোমার নিয়তি।
যেখানে মা নেই বাবা নেই, ভাইবোন সব এক একজন বিচ্ছিন্ন দ্বীপ।
তুমি মরো কিংবা বাঁচো হাসো কিংবা কাঁদো
তুমি তোমার জগত নিয়ে থাকো, মনের গহনে বিষের লাভা নিয়ে নীলকণ্ঠ হও।
পাগলা গারদের লোহার শিকে মাথা কুটে মরো,
এ সমাজ এ রাষ্ট্র, তোমার এ পরিবারের কিছুই যায় আসে না,
তুমি অচল, তুমি ব্যর্থ, খাপ খেতে পারো না কোথাও, তোমার স্থান অবশ্যই পাগলা গারদে কিংবা
তুমি আত্মহনন করে গরল বিশ্বাসী সমাজ থেকে দূরে অনেক দূরে চলে যাও- কারো কিছুই যায় আসে না।
কবিদের কোন ঘর নেই, সংসার নেই, চিহ্নমূল টোকাই আর কবিদের অবস্থান সমাজে প্যারালাল।
আমরা সুন্দর সমাজ গড়েছি, সেখানে তোমাদের প্রয়োজন নেই, দূরে থাক।
আমরা মাঝেসাঁঝে তোমাদের দেখে আসবো।
দু’একটা ফুল কিংবা দু’একটা আহ্-উহ্ তোমাদের ভাগ্যে জুটেও যেতে পারে।
এসইউ/জেআইএম