ভিডিও EN
  1. Home/
  2. লাইফস্টাইল

শীতে সর্দি কাশি থেকে দূরে থাকার উপায়

প্রকাশিত: ০৪:২৩ এএম, ২৬ ডিসেম্বর ২০১৪

আক্রান্ত ব্যক্তির থেকে দূরে থাকুন
কাশি কিংবা সর্দি থেকে জীবাণুগুলো বাতাসে ভর করে ছোটে। যদি তার একটি আপনার চোখে কিংবা নাকে এসে পড়ে তাহলে কয়েক দিনের মধ্যেই আপনি আক্রান্ত হবেন কাশি কিংবা সর্দিতে।

বারবার হাত ধুয়ে নিন
বেশির ভাগ ক্ষেত্রে ঠাণ্ডা ছড়ায় পরোক্ষ শারীরিক সংস্পর্শে। অর্থাত্ একজন অসুস্থ ব্যক্তির ঠাণ্ডার জীবাণু নাক থেকে হাতে স্থানান্তরিত হয়। সে যখন কোনো বস্তু স্পর্শ করে তখন হাত থেকে জীবাণু সেই বস্তুতে লেগে যায়। ঠাণ্ডার জীবাণু জড়বস্তুতে তিন ঘণ্টা পর্যন্ত টিকে থাকতে পারে।

বদ্ধ জায়গায় সতর্ক থাকুন
অফিসের ঘরগুলোতে বায়ু সঞ্চালণ দুর্বল থাকে বলে সেখান থেকে ঠাণ্ডার ভাইরাস গুলো মিলিয়ে যেতে পারে না। অল্প আর্দ্রতায় শ্লেষ্মাঝিল্লি শুকিয়ে যায়, স্বাভাবিকভাবে সেখানে ভাইরাস এসে জুড়ে বসে। তাই অফিসঘরে কিংবা বদ্ধ স্থানে ঠাণ্ডার ভাইরাস থেকে রক্ষা পাওয়ার উপায় হলো লবণ-পানির নেসাল সেপ্র ব্যবহার করা।

বেশি করে তরল পান করুন
আপনি যদি বেশি করে তরল পান করেন, তাহলে শরীর থেকে জীবাণু দূরীভূত হবে এবং শরীরে জীবাণু আক্রান্ত হওয়ার জন্য যে পানিশূন্যতার সৃষ্টি হয়েছিল তাও পূরণ হবে। এ সময় দৈনিক কমপক্ষে আট গ্লাস পানি, ফলের রস কিংবা অন্যান্য ক্যাফিনমুক্ত তরল খাওয়া উচিত।

বিছানা ছেড়ে ব্যায়াম করুন
সপ্তাহে তিনবার মুক্ত বাতাসে ৩০ থেকে ৪৫ মিনিট হালকা ব্যায়াম, যেমন- হাঁটা, সাইকেল চালানো কিংবা নাচা আপনার শ্বাসতন্ত্রের উপরিভাগের সংক্রমণের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ব্যবস্থা তৈরি করে।


ভিটামিন ই ও সি খান
এখন বিশ্বাস করা হয় যে, ভিটামিন ই দেহের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। কিন্তু চর্বি ও তেল জাতীয় খাবারে এটা বেশি থাকে বলে যারা স্বল্প চর্বিযুক্ত খাবারে অভ্যস্ত তারা খাবার থেকে ভিটামিন ই খুব একটা বেশি পান না। তাই প্রতিদিন ১০০-২০০ আইইউ সমৃদ্ধ ভিটামিন ই ট্যাবলেট খেতে হবে।

অ্যালকোহল পরিহার করুন
অনেকেই ভাবতে পারেন, অ্যালকোহল পান করলে ঠাণ্ডার হাত থেকে নিষ্কৃতি পাওয়া যায়। কিন্তু সত্যিকার অর্থে শারীরিক অন্য অসুবিধার সৃষ্টি করে। ফলে তা পরিহার করাই ভালো।

প্রতি রাতে চমৎকার ঘুম দিন
চমত্কার একটি ঘুম শরীরের রোগ প্রতিরোধ কোষগুলোর ক্ষমতা বাড়ায়। এক গবেষণায় দেখা গেছে, রাতে ৮ ঘণ্টা চমত্কার ঘুমে জীবাণু ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়।

স্বল্প চর্বিযুক্ত মুরগির স্যুপ খান
যেকোনো গরম তরল উপসর্গ নিরসনে সাহায্য করে। তবে মুরগির স্যুপ ঠাণ্ডায় বিশেষভাবে স্বাচ্ছন্দ্যকর প্রতিক্রিয়া ফেলে।