এখনই পা ফাটছে, কোনো রোগের লক্ষণ নয় তো?
শীতে পা ফাটার সমস্যা সাধারণ হলেও অনেকেরই এ সমস্যা দীর্ঘমেয়াদী থাকে। কারও কারও ক্ষেত্রে পা ফাটার সমস্যা এতোটাই গুরুতর রূপ নেয় যে, ফাটা স্থান থেকে রক্ত পড়ে।
পা ফাটার সমস্যা সাধারণ হিসেবে বিবেচিত হলেও এটি বিভিন্ন রোগের লক্ষণও হতে পারে। ভিটামিন কিংবা পানির ঘাটতি থেকে শুরু করে চর্মরোগের কারণেও দীর্ঘমেয়াদী পা ফাটার সমস্যায় আপনি ভুগতে পারেন।
কোন কোন রোগের কারণে পায়ের গোড়ালি ফাটে?
ভিটামিনের অভাব
পা ফাটার অন্যতম এক কারণ হলো ভিটামিনের অভাব। বিশেষত ভিটামিন বি ও ভিটামিন সি ত্বকের যত্নে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এই দুটি ভিটামিনের অভাবে ত্বকে নানা ধরনের সমস্যা দেখা দেয়। যার মধ্যে অন্যতম পায়ের গোড়ালি ফেটে যাওয়া।
ডিহাইড্রেশন
এছাড়া পানিশূন্যতা বা ডিহাইড্রেশনের কারণেও পা ফাটার সমস্যা দেখা দিতে পারে। পরিবেশের আর্দ্রতা কম থাকা, কম পানি পান করা কিংবা শুষ্ক পরিবেশে নিয়মিত দীর্ঘক্ষণ হাঁটাহাঁটি করার ফলে পায়ের ত্বকের আর্দ্রতা কমে যায়। এর ফলে চামড়া শুকিয়ে ও ফেটে যেতে পারে।
অ্যাকজিমা
পা ফাটার আরও এক কারণ হতে পারে অ্যাকজিমা। এটি এমন এক ধরনের ত্বকের রোগ যার প্রভাবে পা ফাটার সমস্যা দেখা দেয়। এই রোগের মধ্যে সবচেয়ে বেশি যে উপসর্গটি দেখা যায় তাকে বিজ্ঞানের ভাষায় বলে অ্যাটপিক ডার্মাটাইটিস।
দেহের যে কোনো স্থানেই এ চর্মরোগ হতে পারে। সবচেয়ে অবাক করা বিষয় হলো, এই রোগের সঠিক কারণ সম্পর্কে বিশেষজ্ঞরাও এখনো নিশ্চিত নন।
সোরিয়াসিস
সোরিয়াসিসের কারণেও পা ফাটা দেখা যেতে পারে। এক্ষেত্রে পায়ের তালুতে খোসার মতো চামড়া উঠতে থাকে। ক্ষেত্র বিশেষে সোরিয়াসিস নাম চর্মরোগ ছড়িয়ে পড়তে পারে পায়ের গোড়ালিতেও। এই রোগ একবার শরীরে প্রকাশ পেলে তা নিয়ন্ত্রণ করা গেলেও সারিয়ে তোলা সম্ভব নয় বলে মত বিশেষজ্ঞদের।
সাধারণত শীতে যখন জলবায়ুর শুষ্কতার ফলে পায়ের গোড়ালির চামড়া ফেটে যায়, তখন ঘরোয়া উপায়েই তার সমাধান সম্ভব। তবে দীর্ঘদিন পা ফাটার সমস্যায় ভুগলে তা হতে পারে বিভিন্ন রোগের লক্ষণ। বিশেষ করে ডায়াবেটিস রোগীদের এর থেকে ডায়াবেটিক ফুট হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়। তাই এ সমস্যা পুষে না রেখে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
সূত্র: মেডিকেল নিউজ টুডে
জেএমএস/জিকেএস