ভিডিও EN
  1. Home/
  2. লাইফস্টাইল

এডিএইচডি’তে ভুগছেন আলিয়া ভাট, কী এই রোগ?

লাইফস্টাইল ডেস্ক | প্রকাশিত: ০১:৫৩ পিএম, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪

এডিএইচডি বা অ্যাটেনশন ডেভিসিট হাইপারঅ্যাকটিভ ডিসঅর্ডার। মস্তিষ্কের সঙ্গে সম্পর্কিত একটি ব্যাধি এটি। এই রোগে আক্রান্তদের শৈশবকাল থেকেই আচরণে বিশেষ কিছু পরিবর্তন দেখা দেয়। যেমন- আত্মনিয়ন্ত্রণ, মনোযোগের অভাব কিংবা অতিসক্রিয়তা। এই রোগে আক্রান্ত শিশুরা অনেক বেশি আবেগপ্রবণ হয়। বয়স বাড়লেও এসব লক্ষণগুলো থেকে যায়।

আর এই ব্যাধিতেই নাকি আক্রান্ত বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী আলিয়া ভাট। বর্তমানে ‘জিগরা’ নামক ছবির প্রচারের কাজে ব্যস্ত তিনি। তারই মাঝে নিজের এক বিরল রোগের কথা জানালেন আলিয়া। এক সাক্ষাৎকারে জানান, এডিএইচডি’তে আক্রান্ত তিনি।

তার বিয়ের দিনের কথা মনে করিয়ে ভক্তদের সঙ্গে একটি ঘটনা শেয়ার করেন আলিয়া। তিনি বলেন, ‘বিয়ের দিন আমার মেকআপ আর্টিস্ট পুনিত জানায় তার দু’ঘণ্টা সময় লাগবে ব্রাইডাল মেকআপ শেষ করতে। কিন্তু আমি অধৈর্য্য হয়ে উঠেছিলাম। কারণ দু’ঘণ্টা চেয়ারে বসে থেকে মেকআপ নেওয়া আমার পক্ষে কখনো সম্ভব নয়। সবশেষে ৪৫ মিনিটে আমার ব্রাইডাল লুক শেষ হয়।’

তিনি আরও বলেন, ‘সেদিন মেকআপের চেয়ে বেশিক্ষণ আমি বিয়েটা এনজয় করতে চেয়েছিলাম। যেহেতু আমার এডিএইচডি আছে, তাই কোনো কাজে খুব বেশি সময় ব্যয় করার আগ্রহ থাকে না। যা-ই করি না কেন দ্রুত শেষ করার চেষ্টা করি। এই রোগের কারণেই আমার ধৈর্যশক্তি অনেক কম।’

এডিএইচডি’র কোন কোন লক্ষণ দেখা দেয় শিশুদের মধ্যে?

১. পড়াশোনায় মনোযোগের অভাব ও দৈনন্দিন বিভিন্ন কাজে অসতর্ক হওয়া
২. দীর্ঘক্ষণ এক জায়গায় স্থির হয়ে বসে থাকতে না পারা
৩. সব সময় অন্যমনস্ক থাকা
৪. অস্থির ও সহজেই বিরক্ত হওয়ার প্রবণতা
৫. অতিরিক্ত কথা বলা কিংবা কথা বলার সময় অন্যদের বাধা দেওয়ার প্রবণতা
৬. ধৈর্য ধরে অপেক্ষা করতে না পারা
৭. জিনিসপত্র হারানোর অভ্যাস
৮. দৈনন্দিন কাজকর্মে ভুলে যাওয়া
৯. গুজিয়ে কাজ না করার অভ্যাস
১০. কোনো কিছু গ্রাহ্য না করা বা উপেক্ষা করা ইত্যাদি।

সেন্টারস ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশনের তথ্য অনুযায়ী, সারা বিশ্বের প্রায় ৭.২ শতাংশ শিশুর মধ্যে এই রোগের লক্ষণ ধরা পড়ে। মেয়েদের মধ্যে এই রোগের প্রবণতা বেশি। হলেও ছেলেরাও এই রোগে আক্রান্ত হয়।

এই রোগ নির্ণয়ের পর যত দ্রুত সম্ভব শিশুকে মনোবিদ বা মনোরোগ বিশেষজ্ঞের তত্ত্বাবধায়নে রেখে চিকিৎসা করানো জরুরি। নিয়মিত চিকিৎসা সেবা নেওয়ার ফলে শিশুর মধ্যে এসব লক্ষণ দেখা দেওয়া প্রবণতাও কমতে দেখা যায়।

সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া/ফার্স্টপোস্ট

জেএমএস/জিকেএস