বন্যা ও এর পরবর্তী সময়ে সতর্ক থাকবেন যেভাবে
বন্যা পরিস্থিতি সবার জন্যই ভীতিকর হলেও এ সময় সবার শান্ত থেকে ঠান্ডা মাথায় সিদ্ধান্ত নিতে হবে। বন্যায় নিজেকে ও পরিবারকে বাঁচাতে সতর্ক থাকতে হবে সবাইকে। এ সময় বেশ কয়েকটি বিষয় মাথায় রাখতে হবে-
আশ্রয়ের স্থান ঠিক করুন
বন্যার পানি বাড়তেই কোথায় আশ্রয় নেবেন সে বিষয়ে দ্রুত সিদ্ধান্ত নিন। পরিবারের সবার মতামত নিন। প্রয়োজনে বাড়ি ছেড়ে নিজ এলাকার বাইরে আত্মীয় বা বন্ধুর বাড়িতে আশ্রয় নিন। যেখানেই থাকুন না কেন নিশ্চিত করুন পরিবারের সবাই একসঙ্গে আছেন।
স্থানীয় জরুরী ব্যবস্থাপনা অফিস, পরিকল্পনা ও জোনিং বিভাগের সঙ্গে যোগাযোগ রাখুন। এই সমন্বয়কদের মনোনীত আশ্রয়কেন্দ্র থাকবে, যেমন- স্কুল বা স্টেডিয়াম। সেসব স্থানে আশ্রয় নিতে পারেন।
বৈদ্যুতিক সংযোগ বন্ধ করুন
সময় থাকলে বাড়ির প্রধান পাওয়ার সুইচের ইউটিলিটিগুলো বন্ধ করে দিন। কারণ বৈদুতিক সংযোগ পানির সংস্পর্শে আসলেই মারাত্মক দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। ভেজা বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি থেকে দূরে থাকুন, এতে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হওয়ার ঝুঁকি আছে!
মূল্যবান জিনিস নিয়ে উঁচু স্থানে যান
বন্যার পানি বাড়তে থাকলে যত দ্রুত সম্ভব ঘরে থাকা মূল্যবান জিনিসগুলো নিয়ে উঁচু স্থানে আশ্রয় নিন। আপনার গুরুত্বপূর্ণ নথিগুলো প্লাস্টিকের ফোল্ডারে রাখার চেষ্টা করুন।
সারভাইভাল কিট প্যাক করুন
আপনার কাছে সময় থাকলে, একটি সারভাইভাল কিট প্যাক করুন। সেখানে কমপক্ষে তিন দিনের জন্য পর্যাপ্ত খাবার ও পানি নিন। প্রত্যেকের জন্য একটি করে পোশাক, প্রয়োজনীয় ওষুধ রাখুন। পাসপোর্ট, ড্রাইভিং লাইসেন্স, জন্ম নিবন্ধন, ব্যাংকের কাগজপত্র, নগদ অর্থ জলরোধী পাত্রে সংরক্ষণ করুন।
পানিতে নামবেন না
বন্যার প্রবাহমান পানিতে নামার চেষ্টা করবেন না। তাহলে আপনি ভেসে যেতে পারেন। আর যদি পানিতে পড়েও যান তাহলে স্রোতের উল্টোদিকে মাথা রেখে সাঁতার কাটুন।
নির্দেশাবলী মানুন
জরুরি তথ্যের জন্য রেডিও, স্থানীয় পরিবর্তনকারী সিস্টেম বা সরকারি নির্দেশাবলী শুনুন। কোনো ব্রিজে আশ্রয় নেবেন না। কারণ দ্রুত প্রবাহিত পানি সেতুর উপর দিয়েও প্রবাহিত হতে পারে। তার চেয়ে উঁচু জমিতে আশ্রয় নিন।
বন্যার পরে করণীয়
১. কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে তবেই বাড়ি ফিরতে হবে।
২. বাড়িতে ঢোকার আগে দেখে নিন কোনো কাঠামোগত ক্ষতি হয়েছে কি না।
৩. বৈদ্যুতিক জিনিসপত্র পরিদর্শন করার আগে পাওয়ার চালু করবেন না।
৪. সাপ ও বিভিন্ন প্রাণী আপনার বাড়িতে থাকতে পারে, তাই সতর্ক থাকুন। সম্ভব হলে গ্লাভস ও বুট পরুন।
৫. বন্যা-দূষিত প্রতিটি ঘর পরিষ্কার, জীবাণুমুক্ত ও শুকিয়ে নিন।
জেএমএস/জিকেএস