আপনি সত্যিই সুখী কি না জানান দেবে যে লক্ষণ
সুখ যেমন পরিমাপ করা যায় না, ঠিক তেমনই সুখী হতে কোনো কারণও লাগে না। সুস্বাস্থ্যও কিন্তু সুখ বয়ে আনে জীবনে। অনেকে মটির ঘরে বসত করেও সুখ অনুভব করেন, আবার কোনো বিত্তশালী প্রাসাদে থেকেও সুখী নন।
এ বিষয়ে বিজ্ঞানীরা গবেষণা করে জানিয়েছেন, কিছু ছোট ছোট বিষয় আছে যা জানান দেয় যে আপনি সুখী। যদিও অনেকেই বিষয়গুলো টের পান না। চলুন তবে জেনে নেওয়া যাক কোন কোন লক্ষণে বুঝবেন আপনি সুখী-
ধীরে সুস্থে কাজ করা
অনেকেই সব কাজ দ্রুততার সঙ্গে করতে পছন্দ করেন। তবে সুখী মানুষের মধ্যে তা দেখা যায় না। এরা সময় নিয়ে ধীরে সুস্থে কাজ সম্পন্ন করেন। কোনো কাজের পেছনে তারা দৌড়ান না। এমনকি সুখী মানুষেরা কোনো কাজে ব্যস্ত হন না। তারা শান্ত থাকার চেষ্টা করেন।
সকাল সকাল ঘুম থেকে ওঠা
আপনি কি তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে ওঠেন? যদি উত্তর হ্যাঁ হয়, তাহলে আপনি সুখী। যেসব মানুষ খুব সকালে ঘুম থেকে ওঠেন তারাই নাকি বেশি সুখী।
রাত না জাগা
গবেষকরা বিভিন্ন সমীক্ষা চালিয়ে দেখেছেন, যাদের মধ্যে রাত জাগার প্রবণতা আছে তারা নিজেদের জীবন নিয়ে কম সন্তুষ্ট ও বেশি মানসিক অসুস্থতায় ভোগেন। অন্যদিকে যারা তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে ওঠেন তাদের মধ্যে বিষণ্নতা ও দীর্ঘস্থায়ী অসুস্থতাকে দমন করার শক্তি আছে।
বোন থাকা
যাদের বোন আছে তারাও নাকি সুখী মানুষের কাতারে। এর প্রধান কারণ হলো, বোনের সঙ্গে আবেগ ও মনের ভাব প্রকাশ করতে অন্য ভাই বা বোন বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন। এমনকি যেসব পুরুষের বোন আছে তারা সামাজিক দক্ষতায় উন্নত হন আবার অন্য নারীদের সঙ্গেও ভালো যোগাযোগ রাখতে পারেন।
গার্ডেনিংয়ের শখ থাকা
অনেকেরই গার্ডেনিংয়ের শখ থাকে। কেউ হয়তো বাড়ির সামনে, বারান্দায় কিংবা ছাদে বাগান করেন। বেশিরভাগ মানুষই ভালোবেসে এই কাজ করেন। আবার কেউ কেউ পেশায় মালি, যাদের কাজই হলো বাগান রক্ষণাবেক্ষণ করা। আপনারও গার্ডেনিংয়ের শখ বা পেশা থাকে, তাহলে বুঝতে হবে আপনি সুখী।
জানা গেছে, সব পেশার মধ্যে মালি অর্থাৎ যারা ফুল অথবা গাছের যত্নআত্তি করেন তারা সবচেয়ে সুখী। মর্যাদাপূর্ণ ও ভালো বেতনের চাকরি করা ব্যক্তিরাও নাকি মালির মতো সুখী নন। আর জানলে অবাক হবেন, পেশার দিক দিয়ে সবচেয়ে কম সুখী কর্মীরা হলেন এইচআর, আইটি কর্মী ও ব্যাংকার।
যারা প্রচুর ফল ও সবজি খান
এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, যেসব অংশগ্রহণকারীরা দৈনিক প্রচুর ফল ও সবজি খেয়েছেন, তারা আগের চেয়ে বেশি সুখী ছিলেন। গবেষকরা পরীক্ষা করে দেখেন, দৈনিক ফল খাওয়ার কারণে তারা যে পরিমাণ সুখ পেয়েছিলেন তা একটি নতুন চাকরি পাওয়ার সমান ছিল।
প্রতিবছর আগস্টের ৮ তারিখে পালিত হয় ‘হ্যাপিনেস হ্যাপেনস ডে’। অনেকের জন্য, সুখী হওয়া একটি লক্ষ্য। আবার এমন কিছু মানুষও আছেন, যারা সব সময় নিজেকে সুখী বলে মনে করেন।
১৯৯৮ সালে পামেলা গেইল জনসন ‘দ্য সিক্রেট সোসাইটি অব হ্যাপি পিপল’ প্রতিষ্ঠা করেন। এরপর ২০০০ সাল থেকে তারা আগস্ট মাসকে ‘হ্যাপিনেস হ্যাপেনস মান্থ’ হিসেবে ঘোষণা করেন।
সূত্র: ব্রাইট সাইড
জেএমএস/জিকেএস