এক যোগাসনেই ৭ সমস্যার সমাধান
শরীর সুস্থ রাখতে শরীরচর্চার বিকল্প নেই। তবে যারা জিমে গিয়ে কঠোর পরিশ্রম করতে নারাজা, তারা চাইলে ঘরেই যোগাসন করে ওজন বশে রাখতে পারেন। একই সঙ্গে যোগাসন করলে শারীরিক নানা সমস্যার সমাধানও ঘটে।
বিশ্বজুড়েই এখন যোগাসনের কদর বেড়েছে। যোগাসনের বিভিন্ন ধরনের উপকারী আসনের মধ্যে ময়ূরাসন অন্যতম। নিয়মিত এই অনুশীলন করলে একটি কিংবা দুইটি নয় কমপক্ষে ৭ সমস্যার সমাধান হবে।
কীভাবে ময়ূরাসন করবেন?
ভারতের অক্ষর ইয়োগা ইনস্টিটিউশনের প্রতিষ্ঠাতা হিমালয় সিদ্ধা অক্ষরের সঠিকভাবে ময়ূরাসনের পদ্ধতি জানিয়েছেন-
এটি শুরু করার জন্য প্রথমে হাঁটু ভেঙে বসুন। খেয়াল রাখবেন যেন দুই হাঁটু ফাঁকা থাকে। এবার দুই হাত মাটিতে রাখুন ভালোভাবে। তারপর দুই পা সমান করে পায়ের আঙুলে ও হাতে ভর দিয়ে পুরো শরীর সোজা রাখুন উপুর হয়ে।
এবার পা ধীরে ধীরে তুলে নেওয়ার চেষ্টা করুন। দুই হাতের তালুর উপর ভর করে ও কনুইয়ের সাহায্য পেটে ভর দিয়ে পুরো শরীরটি ভাসমান অবস্থায় সোজা করে রাখার চেষ্টা করতে হবে।
প্রথম প্রথম এই অনুশীলন সম্পন্ন করা কঠিন হতে পারে। তবে ধীরে ধীরে অনুশীলনটি রপ্ত করতে পারবেন যদি নিয়মিত চেষ্টা করেন।
১০ সেকেন্ডের জন্য এই ভঙ্গি ধরে রাখুন। আপনি যদি নিয়মিত অনুশীলন করেন তবে আপনি এটি এক মিনিট পর্যন্ত ধরে রাখতে পারেন। সবশেষে মাথা ও পা মাটিতে আলতো করে রাখার পরে আরাম করুন।
ময়ূরাসনের উপকারিতা কী কী?
১. এই আসন পেটের শারীরিক অঙ্গগুলোকে উল্লেখযোগ্যভাবে শক্তিশালী করে। পেটের মহাধমনীতে কনুইয়ের চাপ পড়ায় পেটের অঙ্গগুলোতে সুস্থ রক্ত প্রবাহ বাড়ে।
২. ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণেও সাহায্য করে।
৩. কনুই, মেরুদণ্ড, কব্জি ও কাঁধের পেশীগুলোর শক্তিও উন্নত হয়।
৪. এই অবস্থান শরীরের ভঙ্গি উন্নত করে।
৫. মনোযোগ উন্নত করে, ফলে শরীর ও মনের বিকাশ ঘটে।
৬. অন্যান্য যোগব্যায়ামের ভঙ্গির মতো এটিও উত্তেজনা ও উদ্বেগ থেকে মুক্তি পেতে সহায়তা করে।
৭. এই অবস্থান হজম বাড়ায়, টক্সিন জমাতে বাধা দেয় ও পেট ও প্লীহার রোগ নিরাময় করে।
কোন কোন সমস্যা থাকলে এই আসন এড়িয়ে যাবেন?
১. ঋতুস্রাব
২. অন্ত্রে সমস্যা
৩. উচ্চ রক্তচাপ
৪. ব্রেন টিউমার
৫. গর্ভাবস্থা
৬. হার্নিয়া
৭. পাইলস বা ফিশার
৮. চোখ, নাক ও কানের সংক্রমণ
এছাড়া আপনি যদি কব্জি, কনুই বা কাঁধের আঘাতে ভোগেন, তাহলেও এ অনুশীলন এড়ানোই ভালো। এই আসন করার সময় অস্থিরতা বা তীব্র ব্যথা অনুভব করলে অবিলম্বে তা বন্ধ করুন।
সূত্র: দ্যহেলথসাইট
জেএমএস/জিকেএস