ডিহাইড্রেশন এড়াতে কতটুকু পানি পান করবেন?
বর্ষার ভ্যাপসা গরমে অনেকেই অতীষ্ট। এই বৃষ্টি, আবার রোদের তীব্রতা। ঋতু পরিবর্তনের এ সময় দিনে পর্যাপ্ত পানি না পান করলেই বিপদ। তবে গরমের সময় ঠিক কতটা পরিমাণে পানি পান করলে শরীর থাকবে সুস্থ, তা হয়তো অনেকেরই জানা নেই। গরমে শরীরের তাপমাত্রাকে স্বাভাবিকের গণ্ডিতে আটকে রাখে পানি।
শুধু তাই নয়, পানি রক্ত তৈরি থেকে শুরু করে অস্থিসন্ধিকে পিচ্ছিল রাখা, শরীর থেকে ক্ষতিকর পদার্থ বের করে দেওয়াসহ প্রায় সব ধরনের শারীরবৃত্তীয় কাজেই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
তাই এমন দিনে সুস্থ-সবল জীবন কাটাতে চাইলে প্রতিদিন পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করা জরুরি। না হলে ডিহাইড্রেশন বা পানিশূন্যতার ঝুঁকি বেড়ে যাবে।
পর্যাপ্ত পানি পান করা জরুরি কেন?
পানির অপর নাম জীবন, এ কথা সবারই জানা। বিশেষজ্ঞদের মতে, রক্ত তৈরি থেকে শুরু করে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ কাজ নিয়মিত করে পানি। এছাড়া শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে, হজমে সাহায্য করে, মেটাবলিজম বা বিপাকক্রিয়া বাড়ায় পানি।
এমনকি পানি শরীর থেকে খারাপ পদার্থ বের করে দেয় ও জয়েন্টকে পিচ্ছিল রাখতে সাহায্য করে। তাই গরমে পর্যাপ্ত পানি পান করা জরুরি। এছাড়া একজন ব্যক্তির কতটুকু পানি পান করা জরুরি তা নির্ভর করে তার পেশা, ওজন, উচ্চতা ইত্যাদির উপর।
- আরও পড়ুন
- সিস্ট, ফাইব্রয়েড ও ফাইব্রোডেনোমার মধ্যে পার্থক্য কী?
- ডায়াবেটিস রোগীরা হার্ট ও কিডনি সুস্থ রাখতে কী করবেন?
তবে দিনে ৩-৪ লিটার পানি পান করা আবশ্যক, বলে মত বিশেষজ্ঞদের। একজন প্রাপ্তবয়স্ক নারী বা পুরুষের এই পরিমাণ পানি অবশ্যই পান করতে হবে। যারা দিনের বেশিরভাগ সময় বাইরে কাটান, তাদের উচিত বেশি পরিমাণে পানি পান করা। এজন্য সঙ্গে পানির বোতল রাখুন। একটু পরপর পানি পান করুন।
এ সময় দুপুরে সূর্যের তীব্রতা দেখলে বাইরে বের না হওয়াই ভালো। একান্তই বের হতে হলে টুপি ও ছাতা সঙ্গে রাখুন। যারা এসিতে থাকেন, তারাও নিয়ম করে পানি পান করুন। এতেই শরীর হাইড্রেট থাকবে।
পানির বিকল্প কী?
পানির বিকল্প হিসেবে ডাবের পানি পান করতে পারেন। এর মাধ্যমে শরীরের পিএইচ ব্যালেন্স ঠিক থাকে। এছাড়া মৌসুমী ফলের রস পান করুন। এতেও ভিটামিন, মিনারেল, অ্যান্টি অক্সিডেন্ট মিলবে সঙ্গে তৃষ্ণাও মিটবে। তবে বাইরের কাটা ফলের জুস কিনে খাবেন না। এছাড়া গরমে চা-কফি কম পান করুন।
তা হলেই শরীর থাকবে সুস্থ-সবল। তবে গরমের সময় শুধু ৩ লিটার পানি পান করলেই চলবে না, বরং তার পরিমাণ আরও বাড়াতে হবে। তাই এ সময় দিনে অন্তত ৪ লিটার পানি পান করুন।
আর শুধু পানিই নয়, এর পাশাপাশি ডাবের পানি, ডাল, স্যুপ, ফ্রুট জুস, ওআরএস-ওয়াটারের মধ্যমেও দেহে পানির ঘাটতি মিটিয়ে নিতে পারেন। তবে কিডনির অসুখ, হার্টের অসুখ ও লিভারের সমস্যা থাকলে হঠাৎ করে পানি পান করা বাড়াবেন না। বরং পানি পান বাড়ানোর আগে যত দ্রুত সম্ভব চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
সূত্র: হেলথলাইন/ফার্মেসি
জেএমএস/জিকেএস