বিড়ালকে জড়িয়ে ধরুন আজ
বিড়াল পুষতে অনেকেই পছন্দ করেন। অনেকে তো একাধিক বিড়ালও পোষেন। আজ বিড়ালকে জড়িয়ে ধরার দিন। আন্তর্জাতিক বিড়াল আলিঙ্গন দিবস। বিড়ালকে আলিঙ্গন করার মধ্য দিয়ে আপনি মানসিক শান্তি খুঁজে পাবেন। এই নিরীহ প্রাণী মানুষের ভালোবাসা পেতে মুখিয়ে থাকে।
বিড়াল মূলত ফেলিডি পরিবারের একটি প্রজাতি। যা বৃহত্তর বিড়াল পরিবারের বন্য সদস্যদের থেকে আলাদা। বিড়ালদেরকে ঘরের বিড়াল, খামারের বিড়াল বা ফেরাল বিড়াল হিসেবে শ্রেণিবদ্ধ করা হয়।
সাহচর্য ও ইঁদুর মারার ক্ষমতার জন্য গৃহপালিত বিড়াল মানুষের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও মূল্যবানও বটে। বিড়ালরা এমন শব্দ শুনতে পারে, যা খুব ক্ষীণ বা মানুষের শ্রবণশক্তির বাইরে উচ্চ ফ্রিকোয়েন্সিতে ঘটতে পারে।
আরও পড়ুন
বিড়ালকে প্রাচীন মিশরীয়রা শ্রদ্ধা করত ও মিশরীয় দেবী বাস্টেটকে প্রায়শই একটি বিড়াল হিসাবে চিত্রিত করা হয়। একজন গ্রীক ঐতিহাসিক হেরোডোটাসের মতে, প্রাচীনকালে বিড়ালকে হত্যা করা নিষিদ্ধ ছিল। যখনই কোনো পোষ্য বিড়াল প্রাকৃতিক কারণে মারা যেত, পুরো পরিবার বিড়ালের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করতো তাদের ভ্রু কামিয়ে।
অন্যদিকে গ্রীকরা বিড়াল মারা যাওয়ার পর মৃত বিড়ালকে পবিত্র শহর বুবাস্টিসে নিয়ে গিয়ে দাফন করতো। গ্রীক ও রোমানরাই প্রথম বিড়ালদের পোষা প্রাণী হিসেবে পালন শুরু করে। গ্রীক গৃহপালিত বিড়ালের প্রাচীনতম সুস্পষ্ট প্রমাণ পাওয়া যায় ম্যাগনা গ্রেসিয়ার দুটি মুদ্রায়, যা খ্রিস্টপূর্ব পঞ্চম শতাব্দীর মাঝামাঝি থেকে।
অতীতে বিড়ালের গ্রীক শব্দটি ছিল ‘আইলোরোস’। যার অর্থ ছিল লেজ নাড়ানো। তবে প্রাচীন গ্রীক সাহিত্যে বিড়ালের কথা খুব কমই পাওয়া যায়। ৫০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দে বিড়াল হয়ে ওঠে ধনীদের পোষা প্রাণী।
চীনের সম্রাট বিড়াল পোষার পর থেকেই ধনীদের মধ্যে জনপ্রিয় হয়ে ওঠে বিড়াল পোষা। মহাকাশে পাঠানো প্রথম বিড়ালের নাম ফেলিসেটই। ২০১৫ সালে প্রথম বিড়ালের ভিডিও ভাইরাল হয় ইউটিউবে।
সূত্র: ন্যাশনাল টুডে
জেএমএস/জিকেএস