ভিডিও EN
  1. Home/
  2. লাইফস্টাইল

হেডফোনে জোরে গান শুনলে কানের ভেতরে যা ঘটে

লাইফস্টাইল ডেস্ক | প্রকাশিত: ০১:১০ পিএম, ০৩ জুন ২০২৪

বর্তমানে হেডফোনের ব্যবহার বেড়েছে বিশ্বব্যাপী। বর্তমানে ব্লুটুথ হেডফোন বা ইয়ারফোনগুলো বেশি জনপ্রিয়। ঘরে-বাইরে এখন সব জায়গাতেই হেডফোন ব্যবার করেন কমবেশি সবাই।

মিউজিকলাভারদের জন্য হেডফোন খুবই উপকারী হলেও, এর অতিরিক্ত ব্যবহার কিন্তু বিপজ্জনকও হতে পারে। এর থেকে কেউ কেউ বধির পর্যন্তও হতে পারে।

সারা বিশ্বে শ্রবণে অক্ষম মানুষের সংখ্যাটা শুনলে অবাক হতে হবে। পরিসংখ্যান বলছে, এই সংখ্যা প্রায় আড়াই বিলিয়ন অর্থাৎ ২৫০ কোটি। যা পৃথিবীর মোট জনসংখ্যার ২৫ শতাংশ। তবে বধিরতা শুধু যে জন্মগত কারণে হয়, তা কিন্তু নয়।

আরও বেশ কিছু কারণ থাকে। যার মধ্যে অন্যতম হলো শব্দ দূষণ। আর শব্দ দূষণ সব সময় যে তৃতীয় ব্যক্তি ঘটায়, তা কিন্তু নয়। অনেক সময় নিজেরাই শব্দদূষণ করে নিজেদের ক্ষতি করি। যেমন কানের হেডফোন।

হেডফোনের ভলিউম বাড়িয়ে অনেকেই গান শোনেন। ফলে কানের সমস্যা হতে পারে। ছোটখাটো নয়, বড়সড় সমস্যার কারণও হতে পারে হেডফোন। কী কী সেগুলো? জেনে নেওয়া যাক-

বিশেষজ্ঞদের মতে, বেশ কয়েকটি কারণে এটি কানের ক্ষতি করে। কানের খুব কাছে থাকে শব্দের উৎস। এর তড়িৎচৌম্বকীয় ক্ষেত্রও কানের খুব কাছে থাকে। যা কানের শ্রবণক্ষমতার জন্য ক্ষতিকর।

আরও পড়ুন

অনেকেই নির্দিষ্ট সাউন্ডের বেশি সাউন্ড দিয়ে গান শোনান। এই সাউন্ড শ্রবণশক্তির আরও ক্ষতি করে।
বর্তমানে প্রায় সব ফোন বা যন্ত্র ১২০ ডেসিবেল সাউন্ড তৈরি করতে পারে।

যারা পুরো সাউন্ড দিয়ে গান শোনেন, তাদের বিপদ আরও বেশি। ১২০ ডেসিবেল সাউন্ড সাধারণত লাইভ কনসার্টের সাউন্ড হয়। অর্থাৎ কান নষ্ট হয়ে যাওয়ার জন্য সেটিকে যথেষ্ট বলা যায়।

কতটা আওয়াজ বিপজ্জনক কানের জন্য?

ডেসিবেল মাপার জন্য যেহেতু আমাদের কাছে কোনো যন্ত্র থাকে না। তাই কতটা আওয়াজ বিপজ্জনক তা বোঝা মুশকিল হয়ে যায়। তবে এই বিষয়ে একটি উপায় বাতলে দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।

যে আওয়াজে গান শুনলে বাইরের কোনো আওয়াজ শোনা যায় না, সেই আওয়াজ ক্ষতিকর বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসকরা।

কতক্ষণ ধরে শুনলে কানের ক্ষতি?

এই ব্যাপারেও একটি ফর্মূলা মেনে চলার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। ফোনের সাউন্ড সর্বোচ্চ যতটা হয়, তার ৬০ শতাংশে ভলিউম লেভেল রাখতে হবে।

এই অবস্থায় দিনে সর্বোচ্চ ঘণ্টাখানেক গান বা মনমতো জিনিস শোনা যেতে পারে। ফুল সাউন্ডে কিছু শুনতে হলে ৫ মিনিটের বেশি না শোনাই ভালো। তার বেশি শুনলে কানের বিপদ বাড়ে ছাড়া কমে না।

সূত্র: এবিপি নিউজ

জেএমএস/জিকেএস

আরও পড়ুন