ভিডিও EN
  1. Home/
  2. লাইফস্টাইল

ক্যানসার হবে কি না জানতে পারবেন ৭ বছর আগেই

লাইফস্টাইল ডেস্ক | প্রকাশিত: ১২:৫১ পিএম, ১৮ মে ২০২৪

ক্যানসারের নাম শুনলেই কমবেশি সবাই আঁতকে ওঠেন। কঠিন এই ব্যাধি থেকে বাঁচতে সচেতনতা জরুরি। ক্যানসার রোগের আগাম খবর পেতে সারা বিশ্বজুড়েই গবেষণা চলছে। এর মধ্যেই সাফল্য দুটি বিদেশি গবেষণায়।

সংবাদমাধ্যম আইএনএএস’র সূত্র অনুযায়ী, ক্যানসার হবে কি না তা ৭ বছর আগেই জানা যাবে। আর জানা যাবে কিছু প্রোটিনের মাধ্যমে। ক্যানসার রিসার্চ ইউকে’র তত্ত্বাবধানে এই গবেষণা চলছে।

এই গবেষণার জন্য প্রায় ৪৪ হাজার ব্যক্তির নমুনা সংগ্রহ করা হয়। প্রাপ্ত ফলাফলের ভিত্তিতেই জানা গেছে নতুন এই তথ্য। গবেষণা জানাচ্ছে, ক্যানসারের মূল কারণ হলো প্রোটিন। আর সেই প্রোটিনই খবর দেবে ক্যানসার হওয়ার ঝুঁকি আছে কতটা।

গবেষকরা সম্প্রতি এমন প্রায় ৬১৮ প্রোটিন খুঁজে বের করেছেন। রক্তে এদের উপস্থিতি জানান দেবে কোনো ব্যাক্তির ক্যানসার হতে পারে কি না। এর মধ্যে আবার ১০৯টি প্রোটিনের একটি বিশেষ গ্রুপ আছে বলেও জানিয়েছেন গবেষকরা।

আরও পড়ুন

মোট ১৯ রকম ক্যানসারের সন্ধান মিলবে বলে জানা গেছে গবেষণায়। গবেষণায় দেখা গেছে, ওই ৬১৮টি প্রোটিন মোট ১৯ রকম আলাদা আলাদা ক্যানসারের সঙ্গে জড়িত থাকে।

গবেষকদের মতে, ক্যানসারের সবচেয়ে প্রাথমিক স্টেজেই এই প্রোটিনগুলো ধরা পড়ে। ফলে প্রোটিনের খোঁজ পেলেই ক্যানসার শনাক্ত ও তা নির্মূল করা যাবে। ক্যানসারকে প্রতিরোধ করাও সম্ভব একই উপায়ে।

এই গবেষণায় প্রোটিওমিক পদ্ধতির সাহায্য নেওয়া হয়েছিল। এটি একটি শক্তিশালী প্রযুক্তি। এর সাহায্যে সহজেই বিভিন্ন কোশের ভিতরকার প্রোটিনগুলোর কার্যকলাপ দেখা যায়।

একটি কোষের প্রোটিনের কার্যকলাপ অন্য কোষের প্রোটিনের থেকে আলাদা না এক, তাও দেখা যায় প্রোটিওমিক পদ্ধতিতে। এই পদ্ধতিতে একসঙ্গে অনেকগুলো প্রোটিনের সেটকে পরীক্ষা করা সম্ভব।

ক্যানসারকে নির্মূল করতে আরও ভালো করে এর নেপথ্যে থাকা প্রোটিনগুলোকে চিনতে হবে। এমনটিই সংবাদমাধ্যমকে জানান চিকিৎসক অক্সফোর্ড পপুলেশন হেলথের সিনিয়র নিউট্রিশনাল এপিডেমিওলজিস্ট কেরেন প্যাপিয়ার। এই গবেষণার অন্যতম লেখক তিনি।

তার মতে, হাজার হাজার মানুষের কাছ থেকে এই সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। তারপর ক্যানসার প্রোটিনগুলো সম্পর্কে বেশ আকর্ষণীয় তথ্য়ের সন্ধান মিলেছে। এই প্রোটিনগুলোকে নিয়ে আরও গবেষণা করলে ক্যানসারের রহস্য আরও স্পষ্ট হবে।

সূত্র: এবিপি নিউজ/নিউজ মেডিকেল/দ্য গার্ডিয়ান/এমএসএন

জেএমএস/জিকেএস

আরও পড়ুন