ভিডিও EN
  1. Home/
  2. লাইফস্টাইল

এ সময় গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা সারাতে কী করবেন?

লাইফস্টাইল ডেস্ক | প্রকাশিত: ০৯:৪৪ এএম, ১১ এপ্রিল ২০২৪

গ্যাস্ট্রিকের সমস্যায় কমবেশি সবাই ভোগেন। ভাজা-পোড়া খাবার বেশি খাওয়া হলে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা বাড়তে থাকে। আর গ্যাস্ট্রিকের সমস্যায় বুক জ্বালা-পোড়া করলেই ওষুধ খান কমবেশি সবাই।

তবে দীর্ঘদিন এভাবেই যদি আপনার জীবন চলতে থাকে, তাহলে লিভার বা কিডনি অকেজো হতে সময় লাগবে না বেশিদিন। কারণ এসব গ্যাস্ট্রিকের ওষুধ নিয়মিত খাওয়া মোটেও স্বাস্থ্যের জন্য ভালো নয়।

এজন্য প্রতিদিনের জীবনধারায় সামান্য পরিবর্তন ও খাদ্যতালিকায় কিছু পুষ্টিকর খাবার যোগ করলেই এই সমস্যা থেকে স্বস্তি পাবেন দ্রুত।

শুধু তাই নয়, জীবনধারা পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে কয়েকটি অভ্যাসও পরিবর্তন করা জরুরি। না হলে দ্রুত মুক্তি মিলবে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা থেকে।

অ্যাসিডিটি বা গ্যাস্ট্রিক কেন হয়?

পাকস্থলীর গ্যাসট্রিক গ্ল্যান্ডে অতিরিক্ত অ্যাসিড নিঃসরণের ফলে অ্যাসিডিটি বা গ্যাসের সমস্যা হয়। সাধারণত অনেকক্ষণ খালি পেটে খাকলে, অতিরিক্ত চা, কফি খেলে বা অতিরিক্ত মদ্যপান, ধূমপান, দুশ্চিন্তা, অনিদ্রা ইত্যাদি কারণে পেটে গ্যাস হতে পারে।

আরও পড়ুন

গ্যাস্ট্রিকের কারণেই পেট ফুলে ওঠে, ঢেকুর ওঠে, বুক জ্বালা করে ও পেটের অন্যান্য সমস্যা দেখা দেয়।

গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা এড়াতে যে বিষয়গুলো মাথায় রাখবেন-

> সাইট্রাস ফল খুব বেশি পরিমাণে খাবেন না।

> দীর্ঘ সময় না খেয়ে থাকবেন না।

> কোনো বেলার খাবার বাদ দিবেন না।

> অসময়ে ও অতিরিক্ত খাবার গ্রহণ থেকে বিরত থাকুন।

আরও পড়ুন

> রাতের খাবার ৭-৮টার মধ্যেই খেযতে হবে।

> অতিরিক্ত পরিমাণে রসুন, লবণ, তেল, মরিচ ইত্যাদি খাবার এড়িয়ে চলতে হবে।

> সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি হলো, খাওয়ার পরপরই শুয়ে পড়বেন না।

> ধূমপান, অ্যালকোহল, চা, কফি ও অ্যাসপিরিনের মতো ওষুধ এড়িয়ে চলুন।

> নিজেকে দুশ্চিন্তামুক্ত রাখুন।

গ্যাস্ট্রিকের সমাধান কী?

১. পুদিনা পাতা অ্যাসিড নিঃসরণের গতি কমায় এবং হজম ক্ষমতা বাড়ায়। এই পাতায় থাকা উপাদানসমূহ অ্যাসিড রিফ্লাক্সের সঙ্গে গলা, বুক জ্বালা কমায়।

এজন্য কয়েকটি পুদিনা পাতা একটি পাত্রের জলে নিয়ে ফুটিয়ে সেই জল ছেঁকে ঠান্ডা করে পান করলে উপকার পাবেন।

২. তাৎক্ষণিকভাবে অ্যাসিড কমিয়ে স্বস্তি দিতে পারে মৌরি। এজন্য খাওয়ার পর মৌরি চিবিয়ে খেলে বদহজম ও পেট ফাঁপা রোধ হয়।

এছাড়া এক গ্লাস জলে কয়েকটি মৌরি সারারাত ভিজিয়ে রেখে সকালে খালি পেটে তা পান করলে শরীর ঠান্ডা থাকবে এবং গ্যাস অম্বলের সম্ভাবনাও কমবে।

৩. টকদইয়ে থাকা ক্যালসিয়াম পাকস্থলীতে অ্যাসিড জমা হওয়া প্রতিরোধ করে। এর সঙ্গে গোলমরিচ যোগ করলে আরও ভালো ফল পাওয়া যাবে। টকদইয়ের ল্যাকটিক অ্যাসিড হজম প্রক্রিয়াকেও শক্তিশালী করে।

সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া

জেএমএস/এমএস

আরও পড়ুন