কফ দেখে বুঝে নিন কঠিন রোগে আক্রান্ত কি না
বর্তমানে আবহাওয়ার যেন মন বদলাচ্ছে ক্ষণে ক্ষণে। দিনে গরম অনুভূত হলেও সন্ধ্যার পর থেকে শীত। এই ঠান্ডা-গরমে একই সঙ্গে বাড়ছে সর্দি, কাশি, জ্বরের সমস্যা। বাড়িতে একজন সুস্থ হলে অন্য জন অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। অনেকের তো জ্বর সারলেও সর্দি-কাশির সমস্যা থেকে সহজে মুক্তি মিলছে না।
গলায় কফ দলা পাকিয়ে থাকছে, বুকের ভেতর ঘড়ঘড় শব্দ করছে। সেই কফ যখন ফেলা হয় তখন তার রং হয় বিভিন্ন রকম। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, কফ দিয়েই কিন্তু বিভিন্ন রোগ সম্পর্কে জানা যায়।
সংক্রমণের মাত্রা কতটা গুরুতর, তা নাকি বলে দিতে পারে কফের রং। তবে শ্লেষ্মা মাত্রই ক্ষতিকর নয়। ফুসফুস ও শ্বাসনালির ভেতরের এলাকা আর্দ্র রাখে শ্লেষ্মা। যে কোনো রকম সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করে শ্লেষ্মা। কফের রং স্বচ্ছ হলে চিন্তার কোনো কারণ নেই, তবে কফের রং বদলে গেলেই মুশকিল।
আরও পড়ুন: গন্ধ-স্বাদ না পাওয়া কি কোনো রোগের লক্ষণ?
জেনে নিন কফের রং দেখে কীভাবে বুঝবেন কঠিন রোগে আক্রান্ত কি না-
হলুদ
শরীরে বড় রকম কোনো সংক্রমণ হলে সাধারণত কফের রং গাঢ় হলুদ হয়ে যায়। বিশেষ করে সাইনাসের সমস্যা বাড়লে এমন হয়। তাই কফের রং হলদে হলে সাবধান। দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
কালো
আপনার কফের রং হালকা কালো হলে বুঝতে হবে আপনি অত্যন্ত দূষিত পরিবেশে বসবাস করছেন। এছাড়া মিউকারমাইকোসিস নামক রোগের ক্ষেত্রে কফের রং কালচে হয়ে যায়। মিউকারমাইকোসিস খুব বিরল ধরনের ছত্রাকজনিত সংক্রমণ। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, এই সংক্রমণের কারণে মৃত্যুর হার প্রায় ৫০ শতাংশ।
আরও পড়ুন: ঘুম থেকে উঠেই মাথায় যন্ত্রণা, কঠিন রোগের লক্ষণ নয় তো?
গোলাপি বা লাল
অনেক সময় ফুসফুসে এক ধরনের তরল জমা হয়। চিকিৎসা পরিভাষায় যার নাম ‘এডিমা’। দীর্ঘদিন ধরে বুকে কফ বসে থাকার কারণে সংক্রমণ হয়। আর এই সংক্রমণের ফলে এক ধরনের তরল ফুসফুসে জমা হতে থাকে। তার কারণেই শ্লেষ্মার রং বদলে যায়। এছাড়া অনেক সময়ে নাকের টিস্যু ছিঁড়ে গিয়ে রক্তপাত হয়। সে কারণেও কফের রং লালচে হতে পারে।
বাদামি
যারা অতিরিক্ত ধূমপান করেন, তাদের কফের রং বাদামি হতে পারে। মূলত দীর্ঘদিন ধরে ধূমপান করার অভ্যাস থাকলে ফুসফুসের পরিবর্তন হয়। ব্রঙ্কাইটিস হওয়ারও ঝুঁকি থাকে। এতে শ্বাস নিতে কষ্ট হয়। কফ জমা হতে থাকে। কখনো কখনো কফের সঙ্গে রক্তও ওঠে।
সাদা
থকথকে, একটু বেশি সাদা, ঘন শ্লেষ্মা হলেও কিন্তু সতর্ক হওয়া প্রয়োজন। এমনটি হলে বুঝবেন, আপনার নাকের কোষগুলো সংক্রমণজনিত কারণে ফুলে গিয়েছে। ফলে আগের মতো স্বাভাবিকভাবে শ্লেষ্মা আর বাইরে আসতে পারছে না। পর্যাপ্ত আর্দ্রতার অভাবে শ্লেষ্মার প্রকৃতি এমন হচ্ছে। ব্রঙ্কাইটিস বা সাইনাসের কারণেও এমন হতে পারে।
সূত্র: ডেইলি মেইল
কেএসকে/জিকেএস