নববর্ষের গয়না
বৈশাখ মানেই সাজে-পোশাকে পরিপূর্ণ বাঙালিয়ানা। আর তাই বৈশাখের গয়নার ধরণও যে বাঙালিয়ানায়ও পরিপূর্ণ হবে তা আর বলে দিতে হয় না। বৈশাখের শাড়ি, কিংবা কামিজের সঙ্গে মিলিয়ে পরার জন্য পাবেন নানারকমের গয়না। চলুন জেনে নেয়া যাক কোথায় কেমন দামে পাবেন বৈশাখের গয়না-
কাঠ
কাঠের দুল ও মালা এক সময় পছন্দের তালিকায় না থাকলেও ধীরে ধীরে এর চাহিদা বাড়ছে। উঠে আসছে অনেকের পছন্দের তালিকায়। এ ছাড়া নানা বৈচিত্রময় ডিজাইনের কারণে এটি হয়ে উঠেছে সব ধরণের পোশাকের সঙ্গে ব্যবহার উপযোগী। কাঠের চুড়ি পাওয়া যাবে ৮০-২৫০ টাকায় আর কাঠের মালার দাম পড়বে ২০০-৩২০ টাকা।
পুতি
বাজারে নানা আকারের পুতির গয়না পাওয়া। লম্বা, খাটো, দুই বা তিন ধাপের ইত্যাদি। এ ছাড়া প্রায় প্রতিটা পুতির মালাতেই থাকে অনেক রঙের পুতির ব্যবহার। পুতির দুলের দাম ২০০-৪০০ টাকা। আর মালার দাম ৩০০-৮০০ টাকা।
মাটির গয়না
বৈশাখে পরার ক্ষেত্রে মাটির গয়না ধীরে ধীরে উঠে এসেছে তরুণীদের পছন্দের শীর্ষে। মাটির দুল ও মালায় রয়েছে রঙের বৈচিত্র্য। মাটির দুলের দাম ৭০-১৫০ টাকা আর মালাসহ দুলের দাম ১৫০-২৫০ টাকার মধ্যে।
পিতল ও অক্সিডাইজড
পিতল ও অক্সিডাইজডের চাহিদা দিন দিন বেড়েই চলেছে। তাই এবার বৈশাখে ফ্যাশন হাউজগুলো এদের ওপর দিয়েছে আলাদা গুরুত্ব। পিতলের বালা, কানের দুল আর অক্সিডাইজড কানের দুলে রয়েছে বৈচিত্রের বাহার। পিতলের বালার দাম পড়বে ১৫০-৩৫০ টাকা, কানের দুল ১০০-৪৮০ টাকা। আর অক্সিডাইজড কানের দুল পাবেন ৮০-২০০ টাকার মধ্যে।
কড়ি, ব্রাসো ও বাঁশ
কড়ি, ব্রাসো আর বাঁশের গয়নায় এবার আনা হয়েছে আরও নতুনত্ব। ব্রাসো, বিডসের মালা ও খোঁপার কাঁটা, দুল বা গহনার সেট ১৫০-৫০০ টাকা, বাঁশের মালা ১৫০-৩০০ টাকা পর্যন্ত। এ ছাড়া কড়ি ও মাদুলি পাবেন ১৮০-১৫০০ টাকার মধ্যে।
শেল, পার্ল
শেল ও পার্লের গয়না যদিও প্রায়ই ব্যবহার করা হয় কিন্তু এদের মধ্যে বেছে নিতে পারেন আলাদা ডিজাইন ও রঙের মালা এবং দুল। দুলের দাম পড়বে ৫০-১৮০ টাকা। আর মালার দাম ১৫০-৩০০ টাকা। এ ক্ষেত্রে মানের ওপর দাম কম বেশি হয়ে থাকে।
কোথায় পাবেন
মাটি, কড়ি, বাঁশ, শেল, পার্ল, কাঠ ও পুতির গয়না পাওয়া যাচ্ছে শিশু একাডেমীর সামনে, চারুকলার বাইরে, শাহবাগের আজিজ সুপার মার্কেটে, নিউমার্কেটে ও ইডেন কলেজের সামনে। এ ছাড়া বিভিন্ন ফ্যাশন হাউজ মায়াসির, মাদুলী, যাত্রা, মান্ত্রা, আইডিয়াস, কে ক্রাফট, রঙ, পিরান, বিবিয়ানা, দেশাল, অঞ্জন্স ইত্যাদিতে।
এইচএন/এমএস