ভিডিও EN
  1. Home/
  2. লাইফস্টাইল

এক মসলার গুণেই সারবে খুসখুসে কাশিসহ নানা সমস্যা

লাইফস্টাইল ডেস্ক | প্রকাশিত: ০১:৪৪ পিএম, ২২ জানুয়ারি ২০২৪

খুসখুসে কাশি হলে মুখে একটু লবঙ্গ রাখলেই তা কমে যায়। এছাড়া গলা ব্যথা হোক বা সর্দির সমস্যায় লবঙ্গ চা পান করলেও অনেক উপকার মেলে। লবঙ্গের গুণে সর্দি-কাশির সমস্যা থেকে দ্রুত মুক্তি পাওয়া যায়।

লবঙ্গ একটি মসলা হলেও এটি স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী একটি ভেষজ। লবঙ্গে প্রচুর ম্যাঙ্গানিজ থাকে, যা শরীরের ভালো এনজাইমগুলো পরিচালনা করতে সাহায্য করে। ফলে হাড় মেরামত ও হরমোন তৈরিতে সহায়ক হয়।

আরও পড়ুন: একটানা কাশি হচ্ছে, সাধারণ ঠান্ডা নাকি অন্য কোনো কারণ? 

ম্যাঙ্গানিজ একটি অ্যান্টি অক্সিডেন্ট হিসেবেও কাজ করে, যা আপনার শরীরকে ক্ষতিকারক ফ্রি র্যাডিকেল থেকে রক্ষা করে। এছাড়া লবঙ্গে ভিটামিন কে, পটাসিয়াম, বিটা-ক্যারোটিন ও ইউজেনল থাকে।

এক চা চামচ লবঙ্গে থাকে, ৬ ক্যালোরি, ১ গ্রামেরও কম প্রোটিন, ১ গ্রামেরও কম চর্বি, ১ গ্রাম ফাইবার ও ১ গ্রামেরও কম চিনি।

বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, লবঙ্গে এমন যৌগ আছে যা কাশি ও শ্বাসযন্ত্রের অস্বস্তি প্রশমিত করতে সাহায্য করতে পারে। এই মসলায় থাকা অ্যান্টি ইনফ্লেমেটরি প্রোপার্টি শ্বাসনালির প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে। ফলে কাশি ও গলার খুসখুসে ভাব পশমিত করে।

jagonews24

আরও পড়ুন: বেশি লবণ খেলেই ভয়ংকর বিপদ, সতর্কতা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার 

এমনকি এতে থাকা অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টিভাইরাল প্রভাব শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণ দমন করে ও কাশি গলাব্যথা ও খুসখুসে ভাব কমায়।

লবঙ্গ শ্লেষ্মা পাতলা করতেও সাহায্য করে ও তা বের করা সহজ করে তোলে। যাদের কফযুক্ত কাশি আছে তাদের জন্য এটি বিশেষভাবে সহায়ক হতে পারে।

এসবের পাশাপাশি লবঙ্গ ব্যবহারে মুখের দুর্গন্ধ দূর হয়। ব্যাকটেরিয়ার কারণেই মূলত এই দুর্গন্ধ হয়। তবে মুখে লবঙ্গ রাখলে সেই সমস্যা আর হবে না।

আরও পড়ুন: শীতে পানিশূন্যতায় ভুগছেন কি না বুঝে নিন ৯ লক্ষণে 

আবার যাদের হজমের সমস্যা আছে লবঙ্গ খাওয়ার কারণে সে সমস্যারও সমাধান হবে। এমনকি ভালো থাকবে লিভারও। লবঙ্গে থাকা অ্যান্টি অক্সিডেন্ট ও অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান লিভার সুস্থ রাখে।

শীতে পেশির ব্যথা ও যন্ত্রণা বেড়ে যায়। সেক্ষেত্রে লবঙ্গ মুখে রাখলে অনেকটাই স্বস্তি পাবেন। মূলকথা হলো, শরীরের সামগ্রিক সুস্থতা রক্ষায় লবঙ্গের গুণ অনেক।

সূত্র: অনলিমাই হেলথ/ক্লিভল্যান্ড ক্লিনিক

জেএমএস/জিকেএস

আরও পড়ুন