ভিডিও EN
  1. Home/
  2. লাইফস্টাইল

গরমে ক্লান্তি কাটাতে করনীয়

প্রকাশিত: ০৬:১৩ এএম, ০৭ এপ্রিল ২০১৬

ক্যালেন্ডারের পাতা বলছে গ্রীষ্মকাল এখনো শুরু হয়নি, তবে গ্রীষ্মের গরমের তাপ কিন্তু এখনই লাগতে শুরু করেছে।  গরমের সময়ে দেহের আভ্যন্তরীণ তাপমাত্রা ঠিক রাখতে দেহ থেকে ঘাম আকারে পানি নিঃসরণ হয়। ফলে আবহাওয়া গরম হরয়ার সাথে সাথে আমরা শরীর থেকে পানি হারাতে শুরু করি এবং এর সাথে হারাই কিছু প্রয়োজনীয় উপাদান যেমন লবণ। এর ফলে আমরা ক্লান্ত এবং অবসাদ অনুভব করি, এর সঙ্গে অনেকসময় যুক্ত হয় মাথা ব্যথা, মাথা ঘোরা, চোখে ঝাপসা দেখা ইত্যাদি উপসর্গ। চলুন জেনে নেয়া যাক, অতিরিক্ত গরমে ক্লান্তি কাটাতে আমাদের করণীয়-

পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করুন। একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের দৈনিক অন্তত ২.২ লিটার পানি পান করা প্রয়োজন। বাইরে বেরোনোর পূর্বে এবং বাইরে থেকে ফেরার পর পর্যাপ্ত পানি পান করুন, এতে আপনার দেহে পানির সমতা বজায় থাকবে।

যারা ঘরের বাইরে বেশি সময় কাটান এবং অধিক শারীরিক পরিশ্রম করেন তারা অধিক পরিমানে ঘামেন ফলে পানি খাবার ব্যাপারে তাদের অধিক সচেতন হওয়া প্রয়োজন।

কোমল পানিও এবং তথাকথিত এনার্জি ড্রিংক এড়িয়ে চলুন। এসব পানিওতে যদিও যথেষ্ট পরিমানে পানি বিদ্যমান তবে এগুলো অধিক পরিমানে খাওয়া যায় না, ফলে পিপাসা মিটলেও শরীরে পানির ঘাটতি থেকে যায় এবং কিছুক্ষণ পর আপনি আবারও তৃষ্ণার্ত অনুভব করবেন।

বেশি করে রসালো ফল খাবার চেষ্টা করুন। গ্রীষ্ম কালে হাতের কাছেই পাওয়া যায় এমন অনেক ফল যেমন তরমুজ, আনারস ইত্যাদিতে প্রচুর পানি বিদ্যমান। এসব ফল খেলে দেহে সঠিক পরিমাণে পানির যোগান বজায় থাকে।

খাবার স্যালাইন খেতে পারেন। বাজারে বিভিন্ন কোম্পানির খাবার স্যালাইন পাওয়া যায়, এসব স্যালাইনে সুষম আকারে লবনের মিশ্রণ থাকে, বিশুদ্ধ পানিতে এ ধরনের স্যালাইন তৈরি করে খেতে পারেন; অথবা এক গ্লাস পানিতে এক চামচ চিনি এবং এক চিমটি খাবার লবণ মিশিয়েও খাওয়া যেতে পারে। এতে আপনার দেহে লবণ ও পানির ভারসাম্য বজায় থাকবে।

কালো কিংবা গাঢ় রঙের পোশাক পরা থেকে বিরত থাকুন। সাদা কিংবা হালকা রঙের ঢিলেঢালা পোশাক পরুন, এতে আপনি সূর্যের তাপ কম শোষণ করবেন এবং পোশাকের ভেতর পর্যাপ্ত বায়ু চলাচলের পথ থাকবে যা আপনার দেহকে ঠাণ্ডা রাখবে এবং ঘামের পরিমাণ কমাবে।

গরম আবহাওয়ায় শরীরে পানির পরিমাণ ঠিক রাখার পাশাপাশি চুল, ত্বক এবং চোখের প্রতিও হতে হবে যত্নবান, কারণ সূর্যালোক এবং উষ্ণতা আপনার এসব অঙ্গের ক্ষতিসাধন করতে পারে।

এইচএন/এবিএস