শীতে যেসব খাবারে পেটের সমস্যা হতে পারে
শীতে চলে পিকনিক, পার্টি, গেটটুগেদার। যেখানে প্রচুর আনন্দ, সেই সঙ্গে প্রচুর খাওয়া-দাওয়া। তবে শীতে খাবারের বেলায় একটু সতর্ক থাকুন। কারণ এসময় অনেক খাবার আছে যেগুলো আপনার পেটের সমস্যা বাড়িতে দিতে পারে। দেখা দিতে পারে অ্যাসিডিটির সমস্যা, বদহজম, ডায়রিয়া।
দেখে নিন এসময় কোন খাবারগুলো কম খেতে হবে-
ভাজাপোড়া খাবার
বাইরের ভাজাপোড়া খাবার খেতে পছন্দ করেন কমবেশি সবাই। তবে শীতে এই খাবার আপনার বদহজমের কারণ হতে পারে। এমনকি এসব খাবারে থাকা অত্যধিক মশলা এবং লবণ হৃৎপিণ্ডের গুরুতর ক্ষতি করতে পারে। যা রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়িতে দিতে পারে। তাই শীতের দিনে কাবাব, পরোটা, বিরিয়ানির মতো ভাজা খাবারের থেকে দূরত্ব বজায় রাখার চেষ্টা করুন।
আরও পড়ুন: শীতে শরীর গরম রাখতে কী খাবেন?
কমলা
শীত বাজারে হরেক রকমের লেবু বা কমলালেবু পাওয়া যায়। আর এই সব লেবুই কিন্তু ভিটামিন এবং খনিজের ভাণ্ডার। তাই নিয়মিত লেবু খেলে যে দেহে পুষ্টির ঘাটতি দূর হয়ে যাবে। তবে অতিরিক্ত উপকার পাওয়ার লোভে একদিনে একাধিক লেবু বা কমলালেবু খেয়ে ফেলা যাবে না। এতে অ্যাসিডিটি বেড়ে যেতে পারে ফাঁদে পড়ার আশঙ্কা বাড়ছে। তাই লেবুর দাম যতই সাধ্যের মধ্যে থাকুক না কেন, দিনে ২টির বেশি খাওয়া চলবে না।
আরও পড়ুন: শিশুদেরও হচ্ছে ফ্যাটি লিভার, যে লক্ষণে সতর্ক হবেন
ফাইবার যুক্ত খাবার
ফাইবার সমৃদ্ধ শাক এবং সবজি পেটের জন্য অত্যন্ত উপকারী। তবে এহেন সব খাবার বেশি পরিমাণে খেলে দেহে ফাইবার ওভারলোড হওয়ার আশঙ্কা বাড়ে। আর সেই কারণেই শরীরে সিঁধ কাটে গ্যাস, অ্যাসিডিটির মতো ছোটখাট সমস্যা। তাই এই সময় একদিনে অনেকবেশি শাক ও সবজির পদ না খাওয়াই ভালো।
বিনস
পুষ্টিবিজ্ঞানীদের কথায়, বিনস হলো একটি অত্যন্ত উপকারী খাবার। এতে রয়েছে প্রোটিন, খনিজ এবং ভিটামিনের ভাণ্ডার। তাই তো শরীরের খেয়াল রাখতে নিয়মিত বিনস খেতেই হবে। কিন্তু তাই বলে আবার শীতের দিনে এক সঙ্গে অনেক বেশি বিনসের তরকারি খাবেন না। এতে পেটে ব্যথা, ডায়রিয়া এবং গ্যাস-অ্যাসিডিটির মতো জটিল অসুখে ভোগার আশঙ্কা বাড়বে।
আরও পড়ুন: শীতে সুস্থ থাকতে চাইলে যে খাবারগুলো ভুলেও খাবেন না
প্রক্রিয়াজাত খাবার
শীতে প্রক্রিয়াজাত খাবার যেমন- মিষ্টান্ন, পানীয়, চকলেট, বেকারি আইটেম যেমন ময়দা-ভিত্তিক পাউরুটি, কেক, মাফিন কম খাওয়ার পরামর্স দিচ্ছেন পুষ্টিবিদরা। এসব খাবারে প্রচুর পরিমাণে স্যাচুরেটেড এবং ট্রান্স ফ্যাট থাকে যা অন্ত্রের ব্যাকটেরিয়ার ভারসাম্যকে ব্যাহত করতে পারে এবং এর ফলে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
সূত্র: এই সময়, হিন্দুস্থান টাইমস
কেএসকে/জিকেএস