প্রায়ই পেটে ব্যথায় ভুগছেন, কোলন ক্যানসারের লক্ষণ নয় তো?
কোলন ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ছে কমবয়সীদের মধ্যে। ১৮-২৫ বছর বয়সীদের মধ্যে যারা অনিয়মিত জীবনযাপনে ও অস্বাস্থ্যকর খাবারে অভ্যস্ত তাদের মধ্যে কোলন ক্যানসার হওয়ার ঝুঁকি বেশি।
পরিসংখ্যান অনুসারে, অল্পবয়সী প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে কোলন ক্যানসারের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গেছে, ১৮-২৫ বছর বয়সীদের মধ্যে ক্যানসারে মৃত্যুর তৃতীয় প্রধান কারণ হয়ে উঠেছে এটি।
আরও পড়ুন: প্রতিদিন ধূমপানে মস্তিষ্ক ছোট হয়ে যায়, বলছে গবেষণা
কোলন ক্যানসারের প্রাথমিক লক্ষণ হিসেবে দেখা দিতে পারে পেটে ব্যথার সমস্যা। এ রকম আরও কিছু লক্ষণ আছে, যা কমবেশি সবাই সাধারণ ভেবে অবহেলা করেন। চলুন তবে জেনে নেওয়া যোক কোলন ক্যানসারের প্রধান ৪ লক্ষণ-
ব্যাখ্যাতীত ওজন হ্রাস
হঠাৎ করেই যদি ওজন কমতে শুরু করে তাহলে সতর্ক হতে হবে। এটি কিন্তু কোলন ক্যানসারের একটি সাধারণ লক্ষণ।
আপনার ডায়েট বা জীবনযাত্রায় কোনো পরিবর্তন না করেই যদি গত কয়েক মাস ধরে শরীরের ওজনের ১০ শতাংশেরও বেশি হারান, তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন ও পরীক্ষা নিরীক্ষা করে দেখুন।
আরও পড়ুন: গরমে হিট স্ট্রোকসহ যেসব রোগের ঝুঁকি বাড়ে
পেটে ব্যথা
অল্প বয়স্কদের কোলন ক্যানসারের আরও একটি লক্ষণ হলো পেটে ব্যথা। কোলন ক্যানসারের কারণে সৃষ্ট পেটে ব্যথা সাধারণত তলপেটে শুরু হয় ও পেছনের দিকে বিকিরণ করতে পারে। এটি মাঝে মধ্যেই হতে পারে। এর সঙ্গে পেট ফুলে যাওয়া, গ্যাস ও বমি বমি ভাব হতে পারে।
মলে রক্ত
মল দিয়ে রক্ত পড়ার লক্ষণও কিন্তু হতে পারে কোলন ক্যানসারের। এটি একটি উদ্বেগজনক লক্ষণ। আপনি যদি মলের সঙ্গে রক্ত লক্ষ্য করেন, তাহলে অবিলম্বে ডাক্তার দেখাতে হবে।
অনেকে প্রাথমিকভাবে মলের সঙ্গে রক্ত পড়ার লক্ষণকে পাইলসের সমস্যা ভেবে ভুল করেন। এ বিষয়ে অবশ্যই সতর্ক থাকতে হবে।
আরও পড়ুন: ৪০ পেরোলেই মায়েদের যে ৭ মেডিকেল টেস্ট করা জরুরি
অন্ত্রের অভ্যাসের পরিবর্তন
অন্ত্রের অভ্যাসের পরিবর্তনও কোলন ক্যানসারের লক্ষণ হতে পারে। এর মধ্যে আছে কোষ্ঠকাঠিন্য, ডায়রিয়া বা মলত্যাগের ধারাবাহিকতা বা ফ্রিকোয়েন্সিতে পরিবর্তন। আপনি যদি অন্ত্রের অভ্যাসের কোনো পরিবর্তন লক্ষ্য করেন, তাহলে আপনার ডাক্তারের সঙ্গে কথা বলুন দ্রুত।
কোলন ক্যানসারের ঝুঁকি কমাতে কী করবেন?
কোলন ক্যানসারের ঝুঁকির কারণ সম্পর্কে সচেতন হওয়া জরুরি সবারই। এজন্য স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া ও নিয়মিত ব্যায়াম করতে হবে সবাইকে। পাশাপাশি ধূমপান ও ভারি মদ্যপান এড়াতে হবে।
আরও পড়ুন: ২৮ কেজি ওজন ঝরিয়ে যেভাবে আকর্ষণীয় হয়ে ওঠেন পরিনীতি
যারা কোলনের সমস্যায় ভুগছেন তাদের উচিত নিয়মিত স্ক্রিনিং করানো। তাহলে প্রাথমিক অবস্থাতেই ক্যানসার শনাক্ত করা যায়। প্রাথমিকভাবে নির্ণয়ের মাধ্যমে ও সঠিক চিকিৎসা গ্রহণ করলে কোলন ক্যানসার থেকে মুক্তি মেলে।
সূত্র: বোল্ডস্কাই
জেএমএস/জিকেএস