পুষ্টিবিদের পরামর্শ
রমজানে যা খাবেন, যা খাবেন না
এই বছর রমজান প্রায় ১৪ ঘণ্টা দীর্ঘ হবে। দিনের অর্ধেকের বেশি সময় যেহেতু না খেয়ে থাকতে হবে তাই সারাদিন কর্মক্ষম থাকার জন্য ইফতার ও সেহরিতে খেতে হবে সুষম খাবার ও পর্যাপ্ত পানি।
এ সময় না জেনে বুঝে খাদ্য নির্বাচন করলে পেট ফাঁপা, বদহজম দেখা দিতে পারে। তাই সঠিক খাবার খেয়ে রোজা থাকা উচিত। কিছু না খেয়ে খালি পেটে বা শুধু পানি খেয়ে কিংবা অতিভোজন করে রোজা থাকা থেকে বিরত থাকা ভালো।
আরও পড়ুন: দুধ চা শরীরের জন্য ভালো নাকি ক্ষতিকর?
ইফতারে যা খেতে পারেন
রোজাদারের খাবারের পরিমাণ তার বয়স, স্বাস্থ্য ও শারীরিক কাজের ওপর নির্ভর করবে। ইফতারে তেলে ভাজা খাবার সবারই প্রিয়।
যদিও সেগুলো স্বাস্থ্যের জন্য ভালো নয়। খাবারের দোকানগুলোর তেলে ভাজাগুলো স্বাস্থ্যের জন্য আরও ক্ষতিকর। কারণ একই তেল বারবার ব্যবহার করায় তা ট্রান্সফ্যাটে পরিণত হয়।
যা ক্যানসারের কারণ হতে পারে। তাই তেলে ভাজা যদি একান্তই খেতে হয় তাহলে বাসায় বানিয়ে খাওয়া ভালো। অবশ্যই একই তেল বারবার না করে অল্প তেলে।
আরও পড়ুন: প্রতিদিন কয়টি খেজুর খাওয়া উচিত
ইফতারে খাওয়া যেতে পারে
শসা, কলা, খেঁজুর, খোরমা, মৌসুমী যে কোনো ফল। এখন কাঁচা আমও পাওয়া যেতে পারে তার শরবত বা তরমুজ দিয়ে শরবত বানিয়ে খাওয়া যেতে পারে। যা শরীরে খনিজ পদার্থ যোগানের সঙ্গে সঙ্গে পানিও যোগান দেবে।
এতে করে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয় ও হজম সহজে হয়। রুচি পরিবর্তনের জন্য জিলাপি, নুডুলসও অল্প পরিমাণে খাওয়া যেতে পারে।
তবে বিরিয়ানি, তেহারি, হালিম এসব ভারী খাবার এড়িয়ে চলাই ভালো। এশা ও তারাবির নামাজের পরে পরিমাণ মতো ভাত, সবজি, মাছ বা মাংস ও ডাল খেতে পারেন। তবে পরিমাণের দিকে খেয়াল রাখতে হবে।
আরও পড়ুন: ইফতারে যা খাবেন, যা খাবেন না
সেহরিতে যা খেতে পারেন
সেহরিতে ভারী, তেল, চর্বিযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলাই ভালো। অধিক তেল, ঝাল খাবার না খেয়ে সহজপাচ্য, মুখরোচক ও স্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণ করা উচিত। সারাদিন না খেয়ে থাকতে হবে বলে আবার অতিরিক্ত খাবার গ্রহণ করবেন না।
কারণ খাওয়ার ৪-৫ ঘণ্টার মধ্যে পাকস্থলী থেকে অন্ত্রে গিয়ে জমা হয়। অতিরিক্ত খাবার গ্রহণ করলে সেটাও ৪-৫ ঘণ্টাতেই অন্ত্রে যাবে।
তাই প্রয়োজনের অতিরিক্ত না খেয়ে পরিমাণমতো সুষম খাবার ও পর্যাপ্ত পানি গ্রহণ করুন। ভাত, সবজি, মাছ বা মাংস, ডিম, দুধ এগুলো খাওয়া যেতে পারে।
আরও পড়ুন: সাহরি ও ইফতারে যা খেলে সহজেই কমবে ওজন
সারাদিনের পানির চাহিদা এ সময়ে পূরণ করতে হবে। তাই ইফতার থেকে সেহেরি পর্যন্ত দেড় থেকে দুই লিটার পানি পান করতে হবে।
ফল খেলেও পানির চাহিদা পূরণ হবে, এছাড়া লেবুর পানি বা ইসুবগুলের শরবত খাওয়া যেতে পারে। তবে চা, কফি, বেভারেজ জাতীয় পানীয় এড়িয়ে চলা ভালো এগুলো শরীর থেকে পানি বের করে দেয়। ফলে কোষ্ঠকাঠিন্য দেখা দিতে পারে।
যারা শরীরচর্চা করে থাকেন তারা ইফতারের পরে হালকা শরীরচর্চা করতে পারেন এতে ক্লান্তি ভাব কম হবে। ডায়াবেটিস, রক্তচাপ ও অন্যান্য রোগীরা ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ ও খাবার গ্রহণ করবেন।
জেএমএস/জিকেএস