ভাইরাল ইনফেকশন ঠেকাতে এ সময় যা করবেন
বর্তমানে প্রায় ঘরে ঘরেই ছোট-বড় কমবেশি সবাই ভুগছেন জ্বর-সর্দি-কাশিতে। বিশেষজ্ঞদের মতে, ঋতু পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে ভাইরাল ইনফেকশনে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। মূলত ইনফ্লুয়েঞ্জা, প্যারা ইনফ্লুয়েঞ্জার কারণে এখন কমবেশি সবাই ভাইরাল জ্বর, সর্দি, কাশিতে ভুগছেন।
আসলে ভাইরাল ইনফেকশন খুব দ্রুত ছড়ায়। কোভিডও কিন্তু ভাইরাল ইনফেকশন, এ কারণে দ্রুত করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছিল সবার মধ্যে।
আরও পড়ুন: জ্বর-কাশি হতে পারে মারাত্মক যে ভাইরাসের সংক্রমণ
তবে বর্তমানে কোভিড কিছুটা হলেও নিয়ন্ত্রণে আছে। আর সেই ফাঁকে প্রভাব বিস্তার করছে অন্যান্য ভাইরাস। তাই সচেতন হওয়া ছাড়া কোনো উপায়। এক্ষেত্রে ভাইরাসগুলো দ্রুত নিজের প্রভাব বিস্তার করে ছোট-বড় সবাইকে সমস্যায় ফেলছে।
ভাইরাল ইনফেকশন বিভিন্ন ধরনের হয়। যার মধ্যে এখন আতঙ্ক ছড়াচ্ছে ইনফ্লুয়েঞ্জা’নহ অ্যাডিনোভাইরাস। চলুন জেনে নেওয়া যাক এর লক্ষণসমূহ-
১. জ্বর
২. সর্দি
৩. কাশি
৪. মাথাব্যথা
৫. শরীরে ব্যথা
৬. বমি
৭. ডায়রিয়া
৭. ক্লান্তি ইত্যাদি।
আরও পড়ুন: হঠাৎ মাথাব্যথায় হতে পারে স্ট্রোক, জানুন লক্ষণ
ভাইরাল ইনফেকশন প্রতিরোধে যা করা জরুরি-
>> বিশেষজ্ঞদের মতে, ভাইরাল ইনফেকশন থেকে বাঁচতে হলে হাত ধুতে নিয়মিত। কারণ হাতের থেকে মুখ হয়ে বেশিরভাগ ভাইরাস শরীরে প্রবেশ করে।
তাই হাত ধুয়ে নেওয়া ছাড়া উপায় নেই। সময় পেলেই ২০ সেকেন্ড ধরে সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে নিন। ছোটদেরও এই শিক্ষা দিন। তবেই রোগ থেকে মুক্তি পাবেন সহজে।
আরও পড়ুন: বিবাহিত পুরুষরা কেন অন্যের স্ত্রীর প্রতি আকৃষ্ট হন?
> পরিবারে কারও ভাইরাল ইনফেকশন হোক বা না হোক ব্রাশ, তোয়ালে ইত্যাদি একেজনেরটা অন্যজন ব্যবহার করবেন না। হয়তো শরীরে ভাইরাস থাকার পরও কোনো লক্ষণ আপনার দেখা দেয়নি। আপনি অ্যাসিম্পটোমেটিক। তাই সতর্ক থাকুন।
>> হাঁচি, কাশির সময় মুখ থেকে বেরিয়ে আসে তরল বিন্দু। এই তরল বিন্দুর নাম হলো ড্রপলেট। জানলে অবাক হবেন, এই ড্রপলেটে কিন্তু অসংখ্য ভাইরাস থাকে। তাই চেষ্টা করুন হাঁচি-কাশির সময় নাকে-মুখে হাত দিয়ে রাখার। সম্ভব হলে নিয়মিত মাস্ক পরুন।
আরও পড়ুন: ‘ফেসিয়াল প্যারালাইসিস’ কেন হয়? সতর্ক থাকবেন যেভাবে
>> এ সময় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে ভিটামিন সি যুক্ত খাবার বেশি করে খেতে হবে। বিশেষ করে লেবু খান। পাশাপাশি প্রতিদিন ব্যায়াম করুন। ৩০ মিনিট ব্যায়াম করলেও ইমিউনিটি বাড়ে।
>> ছোট থেকে বড় সবারই উচিত এখন ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসের টিকা নেওয়া। এই টিকা নিলে ভাইরাল ইনফেকশন গুরুতর দিকে যায় না।
>> এ সময় পরিবারে কারও হাঁচি, কাশি, জ্বর হলে তাঁকে আলাদা রাখার চেষ্টা করুন। পাশাপাশি দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
সূত্র: নায়ারণা হেলথ
জেএমএস/জিকেএস