ওষুধ-সিরাপেও কমছে না কাশি, অ্যাডিনোভাইরাসের লক্ষণ নয় তো?
করোনাভাইরাসের মতো রূপ বদলে ভয়ংকর হচ্ছে অ্যাডিনোভাইরাসও। পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে এরই মধ্যে অনেক শিশু এই ভাইরাসের সংক্রমণে গুরুতর অবস্থায় হাসপাতালে ভিড় করছে।
চিকিৎসকরা বলছেন, অ্যাডিনোভাইরাসে আক্রান্ত অনেক শিশু সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে যাওয়ার পর, তাদের ফুসফুসের সমস্যা দেখা দিচ্ছে।
আরও পড়ুন: জ্বরের সঙ্গে সর্দি-খুসখুসে কাশি অ্যাডিনোভাইরাসে লক্ষণ নয় তো?
এই ভাইরাসে সংক্রমিত ব্যক্তিদের মধ্যে নতুন করে দেখা দিচ্ছে শ্বাসকষ্ট। চিকিৎসকদের মতে, করোনার মতো অ্যাডিনোভাইরাসও ভ্যারিয়েন্ট বদলে শক্তিশালী হয়ে উঠছে।
শিশুদের নিয়ে যখন চিন্তার শেষ নেই, তখন বড়দের ক্ষেত্রে দেখা দিয়েছে নতুন উদ্বেগ। যারা দীর্ঘদিন ধরে কাশিতে ভুগছেন, তারা হয়তো অ্যাডিনোভাইরাসে সংক্রমিত।
আরও পড়ুন: জ্বর-কাশি হতে পারে মারাত্মক যে ভাইরাসের সংক্রমণ
এ বিষয়ে ভারতের ফুসফুস বিশেষজ্ঞ ডা. পার্থসারথি ভট্টাচার্য জানান, বিগত ২৫ বছরেও তিনি এ ধরনের কাশির সমস্যা দেখেননি। প্রায় একমাস বা তারও বেশি সময় ধরে যারা কাশির সমস্যায় ভুগছেন কিংবা অ্যান্টি বায়োটিক বা কাশির ওষুধ ও সিরাপ খেয়েও সুস্থ হচ্ছেন না তাদের ক্ষেত্রে বিষয়টি উদ্বেগজনক হতে পারে।
কেউ অ্যাডিনো ভাইরাসে আক্রান্ত কি না, তা জানতে পিসিআর টেস্ট করাতে হয়। বেসরকারি সংস্থায় যে টেস্টের খরচ ৯-২০ হাজার টাকা। স্বাভাবিকভাবেই যা অনেকের পক্ষেই করা সম্ভব হয়ে ওঠে না। তাই সচেতনতার উপরেই জোর দিতে বলছেন চিকিৎসকরা।
সূত্র: এবিপি লাইভ
জেএমএস/জিকেএস