ভিডিও EN
  1. Home/
  2. লাইফস্টাইল

৫০ এর পর কি খাওয়া উচিত

লাইফস্টাইল ডেস্ক | প্রকাশিত: ০৩:৫০ পিএম, ২৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৬

কথায় আছে স্বাস্থ্যই সকল সুখের মূল। কথাটি একেবারেই মিথ্যা নয়, শরীরে অসুখ বাসা বাঁধলে সুখ বলতে কিছুই আর অবশিষ্ট থাকে না। যদিও তরুণ বয়সে অসুখ শরীরের সঙ্গে ততো একটা পেরে ওঠে না। কিন্তু বয়স বাড়ার সাথে সাথেই মানবদেহে দানা বাঁধতে থাকে অসুখের বীজ।

তাই শারীরিক সুস্থতায় দরকার পরিমিত এবং পুষ্টিকর খাদ্য, আর সেটা যদি হয় বৃদ্ধ বয়সে তবে সেক্ষেত্রে আরেকটু মনোযোগী হওয়া উচিত। তা নিয়েই আমাদের আজকের আয়োজন মানবদেহের সুস্থতায় পঞ্চাশের পর কি কি খাওয়া উচিত।

আপেল : বলা হয় থাকে ‘একটি আপেল একদিন আমাদের ডাক্তারের কাছ থেকে দূরে রাখে’। কখনো কি ভেবে দেখেছেন কেন এটা বলা হয়? এর কারণ আপেলে রয়েছে ‘পেকটিন’ এবং ‘পলিফেনলস’ নামক দুটি রাসায়ানিক যা কিনা শরীরের জন্য উপযোগী কোলেস্টরেল যোগাতে সাহায্য করে এবং ক্ষতিকর কোলেস্টোরেলকে শরীরের বাহিরে নিয়ে আসতে সাহায্য করে। তাই চেষ্টা করুন প্রতিদিন অন্তত একটি করে আপেল খাদ্য তালিকায় রাখতে।

দারুচিনি : ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে দারুচিনির জুড়ি নেই। অনেকেই ডায়াবেটিস বা বহুমূত্র রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকেন। এ রোগ কখনো নিরাময়যোগ্য নয় তবে এটি নিয়ন্ত্রণে রাখলে সুস্থভাবে জীবন যাপন করা সম্ভব। দারুচিনিকে গুড়ো করে চা অথবা বিভিন্ন খাদ্যদ্রব্যের সাথে মিশিয়ে খেতে পারেন এটি আপনার স্বাস্থ্যের জন্যে খুব উপকারী হতে পারে।

বিটমূল : উচ্চরক্ত চাপ নিয়ন্ত্রণে বিট গাছের মূলের জুড়ি নেই। এই মূলে রয়েছে নিরেট নামক এক ধরনের রাসায়নিক পদার্থ,যা কিনা মানবদেহে নাইট্রোজেন অক্সাইড উৎপাদনে সাহায্য করে। আর এই নাইট্রোজেন অক্সাইড রক্ত চলাচলের পথকে প্রসারিত করে উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি কমায়। এই মূলকে ব্লেন্ডার করে জুস বানিয়ে অথবা মূলের রস সংগ্রহ করে খালি খাওয়া যেতে পারে।

আদা : বয়স বেড়ে যাওয়ার সাথে শরীরের কর্মক্ষমতাও কমে আসে। অনেকেই নানা রকম শারীরিক ব্যথায় ভুগে থাকেন। খাদ্যভাসের সঙ্গে রাখুন কাঁচা আদা। সম্প্রতি এক গবেষণায় দেখা গেছে অধিকাংশ আথ্রাইটিস রোগীর ক্ষেত্রে আদা বেশ কার্যকরি ভূমিকা পালন করে থাকে। গরম পানি অথবা লিকার চায়ের সাথে মিশিয়ে প্রতিদিন দুবেলা আদা খেলে শারীরিক ব্যথা হতে ভালো থাকতে পারেন।

টমেটো : এক জরিপে দেখা যায় ৫০ এর পর অধিকাংশ পুরুষ প্রোস্টেট ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে থাকেন। আর এ ক্যান্সার প্রতিরোধে টমেটো বেশ সহায়ক ভূমিকা পালন করে। প্রতিদিন সালাদ অথবা খাবারের সাথে একটি করে টমেটো আপনাকে ক্যান্সার ছাড়াও আপনার ত্বকের সুস্থতাও নিশ্চিত করে। টমেটোতে রয়েছে লাইকোপেন নামক এক ধরনের পদার্থ,যা কিনা প্রোস্টেট ক্যান্সারের সেল নির্মূলে সহায়তা করে থাকে।

এছাড়াও নিয়মিত হাঁটাচলা ও পরিমিত খাদ্যভাসের মাধ্যমে শারীরিক সুস্থতা বজায় রাখা সম্ভব।


আরএএইচ/এসএইচএস/পিআর