টয়লেটে মোবাইল ব্যবহার যে কারণে মারাত্মক
বর্তমানে মোবাইল ফোনে ব্যস্ত ছোট-বড় সবাই। শুধু মোবাইল বললে ভুল হবে, স্মার্টফোনের ব্যবহার এখন বিশ্বব্যাপী। সারাক্ষণই এতে ব্যস্ত হয়ে সময় কাটান কমবেশি সবাই।
গেম খেলা ছাড়াও ফেসবুক, টুইটার, ইনস্টাগ্রাম, হোয়াটসঅ্যাপসহ ফোনের স্ক্রিনে তাকিয়েই নানা ওয়েব সিরিজ এমনকি সিনেমাও দেখছেন মানুষ।
আরও পড়ুন: একমাস চিনি না খেলে শরীরে যে পরিবর্তন ঘটে
আবার অনেকে তো টয়লেটে যাওয়ার সময় মোবাইল ফোন সঙ্গে নিয়ে নেন। এই বদভ্যাস কিন্তু শরীরের জন্য হতে পারে মারাত্মক।
গবেষণায় জানা গেছে, প্রায় ৯০ শতাংশ স্মার্টফোন ব্যবহারকারী ফোন নিয়ে যান টয়লেটে। সংখ্যাটি কিন্তু চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেয় বর্তমান পরিস্থিতি। জেনে নিন টয়লেটে ফোন নিয়ে যাওয়ার মারাত্মক পরিণতি সম্পর্কে-
আরও পড়ুন: যে ভিটামিনের অভাবে ব্যাকপেইন হতে পারে
জীবাণুর সংক্রমণ বাড়ে
টয়লেট হলো জীবাণুর আঁতুরঘর। ই কোলি, সি ডিফিসিলের মতো মারাত্মক ধরনের জীবাণু থাকে টয়লেটে। খুব সহজেই কিন্তু এই জীবাণুগুলো মানুষের শরীরে প্রবেশ করতে পারে টয়লেঠে মোবাইল ব্যবহারের মাধ্যমে।
ফোনে সহজেই এই জীবাণু বাসা বাঁধতে পারে। এই জীবাণুর কারণেই ফোন ব্যবহারের সময় গরম হয়ে যায়। গরম পরিবেশে সালমোনেল্লার মতো জীবাণু অতি দ্রুত বংশবিস্তার করে।
পাইলস হয়
পাইলস একটি গুরুতর ব্যাধি। এতে আক্রান্তের সংখ্যা অনেক। তবুও সচেতনতা নেই। তাই দিন দিন রোগীর সংখ্যা বাড়ছে।
আরও পড়ুন: সব সময় ক্লান্তি ও শ্বাসকষ্টে ভুগছেন, হার্টের ভালভ ব্লক হয়নি তো?
বিশেষজ্ঞদের মতে, দীর্ঘক্ষণ বাথরুমে ফোন নিয়ে বসে থাকার কারণেও অনেকের অর্শ হয়। আর যাদের আগে থেকেই সমস্যা আছে, তাদেরও জটিলতা বাড়ে।
পেটের সমস্যা
বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গেছে, টয়লেটে দর্ঘক্ষণ ফোন নিয়ে পেটের সমস্যাও বাড়ে। এক্ষেত্রে জীবাণুর সংক্রমণ অবশ্যই একটা কারণ।
আরও পড়ুন: প্রথম দেখায় কি সত্যিই প্রেম হয়?
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়
টয়লেটে মোবাইল ব্যবহারের মাধ্যমে যে জীবাণু সহজেই ছড়িয়ে পড়ে শরীরে। নানা ধরনের সংক্রমণ ঘটাতে পারে এই জীবাণু।
যদি কারও শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল হয় তাহলে এসব সংক্রমণ প্রাণঘাতীও হয়ে উঠতে পারে। তাই এখন থেকে টয়লেটে ফোন হাতে যাওয়ার আগে একবার নিজের স্বাস্থ্যের বিষয়ে ভাবুন।
সময় নষ্ট
বাথরুমে ফোন ব্যবহার করলে শুধু শারীরিক ক্ষতিই নয় সময়ও নষ্ট হতে পারেন। তাই এই অভ্যাস ছাড়ুন। চেষ্টা করুন নিজেকে এর থেকে মুক্ত করতে।
সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া/ ডেইলিমেইল
জেএমএস/জিকেএস