রান্নাঘরের কোন আবর্জনা কীভাবে ফেলবেন?
রান্নাঘরের আবর্জনা কীভাবে নিষ্পত্তি করবেন তা অনেকেরই জানা নেই। আর এ কারণে স্বাস্থ্যগত নানা সমস্যার ঝুঁকি বাড়ে। বেশিরভাগ মানুষই রান্নাঘরের আবর্জনা তাৎক্ষণিক ফেলে না দিয়ে জমিয়ে রাখেন।
আবার অনেকে এসব আবর্জনা ডাস্টবিনে না রেখে সাধারণ পলিথিনে রাখেন ও পরে ফেলে দেন। আবর্জনা নিষ্পত্তির সঠিক উপায় কিন্তু এটি নয়।
আবর্জনা নিষ্পত্তিতে অবশ্যই ঢাকনাযুক্ত ডাস্টবিন ব্যবহার করতে হবে, পাশাপাশি পচনশীল ও অপচনশীল আবর্জনা আলাদা করে ভিন্ন ভিন্ন পাত্রে রাখতে হবে।
পরে কালো পলিথিনে মুড়িয়ে ফেলে দিতে হবে নির্দিষ্ট ডাস্টবিনে। চলুন জেনে নেওয়া যাক রান্নাঘরের আবর্জনা নিষ্পত্তির সঠিক উপায় সম্পর্কে-
১. রান্নাঘরের আবর্জনা যেন যথাসম্ভব দ্রুত নির্দিষ্ট ঢাকনাযুক্ত ডাস্টবিনে ফেলতে হবে।
২. তরল বর্জ্য নর্দমা দিয়ে বের করে দিতে হবে, আর কঠিন বর্জ্য যথাযথভাবে ডাস্টবিনে ফেলতে হবে।
৩. পা-চালিত ও ঢাকনাযুক্ত ডাস্টবিন ব্যবহার করতে হবে ও বর্জ্য যাতে ছড়িয়ে না পড়ে সেজন্য কালো পলিথিন ব্যাগ বা পাটের ব্যাগ ব্যবহার করতে হবে।
৪. আবর্জনা ঢাকনাবিহীনডাস্টবিনে রাখবেন না, এতে দুর্গন্ধ ছড়াবে, পোকামাকড় ও কীটপতঙ্গ আকর্ষিত হবে ও রোগজীবাণু ছড়াবে।
৫. ডাস্টবিনে ময়লা আবর্জনা ফেলতে আলাদা পলিথিন ব্যবহার করুন।
৬. ডাস্টবিনের নিচের মেঝে ডিটারজেন্ট দিয়ে নিয়মিত পরিষ্কার রাখতে হবে।
৭. পচনশীল বর্জ্য যেমন- শাকসবজি, ফলের খোসা, প্লেটের অবশিষ্ট খাবার ইত্যাদি ভিন্ন ডাস্টবিনে রাখবেন।
৮. অপচনশীল বর্জ্য যেমন- কাগজ, কাচের পাত্র, প্লাস্টিক, ধাতু ইত্যাদি ফেলতে পৃথক পৃথক ডাস্টবিন ব্যবহার করুন।
৯. নালা নর্দমায় প্লাস্টিক, পলিথিস, কাচ ও কঠিন বর্জ্য ফেলবেন না।
১০. রান্নাঘরের বর্জ্যকে জৈব সারে রূপান্ত করতে পারেন।
১১. আর পুনঃব্যবহার উপযোগী কাগজ, কাচ ও প্লাস্টিকের জিনিসপত্র ভিন্ন ভিন্ন ডাস্টবিনে সংরক্ষণ করে তা সংশ্লিষ্ট সংগ্রাহকদের দিতে পারেন।
সূত্র: বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ
খাবার পরিবেশনে কোন পাত্র ব্যবহার করবেন আর কোনটি নয়?
রান্নাঘর থেকে কীটপতঙ্গ দূর করার সহজ কৌশল
মাছ-মাংস ও মুরগি কেনার সময় যা খেয়াল রাখবেন
ফল ও শাকসবজি কেনার সময় যেদিকে খেয়াল রাখবেন
দুধ ও দুধের তৈরি খাবার কেনার সময় করণীয় ও বর্জনীয়
ফ্রিজ ব্যবহার ও পরিষ্কারের সঠিক উপায়
মাইক্রোওয়েভ ওভেনে রান্নার ক্ষেত্রে যা খেয়াল রাখবেন
রান্নাঘর পরিষ্কার ও জীবাণুমুক্ত রাখতে যা করবেন যা করবেন না
জেএমএস/জিকেএস