পায়ের নখের রং বদলে যাওয়া যে কঠিন রোগের ইঙ্গিত দেয়
নখের রং বদলে যাওয়া স্বাভাবিক কোনো বিষয় নয়, হোক তা হাত বা পায়ের নখ। নোংরা জমে যদিও নখের রং সামান্য বদলে যেতে পারে, তবে নখে কালো, হলুদ, সবুজ, ধূসর কিংবা রেখাযুক্ত দাগ দেখা দিলে সতর্ক হতে হবে সবারই।
কারণ নখের রং বদলে যাওয়া কঠিন সব ব্যাধির লক্ষণ হতে পারে। যার মধ্যে অন্যতম হলো ক্যানসার। চলুন জেনে নেওয়া যাক পায়ের নখ বদলে যাওয়া আর কোন কোন সমস্যার ইঙ্গিত দেয়-
কালো নখ
পায়ের নখ কালো হয়ে যাওয়ার সমস্যাকে হেমাটোমা বলা হয়। দীর্ঘদিন ভুল জুতা পরার কারণে পায়ের আঙুলে ঘষা লাগার কারণে এমনটি ঘটে। এ ধরনের ক্ষত সাধারণত লাল থেকে শুরু হয়, তারপর বেগুনি, গাঢ় বাদামি ও অবশেষে কালো হয়ে যায়।
এমনটি ঘটার কারণ হলো নখের নিচে রক্ত জমাট বাঁধা। এক্ষেত্রে নখ পুরোপুরি কালো হতে ৬-৯ মাস বা তার বেশি সময় লাগতে পারে। তাই সঠিক মাপের আরামদায়ক জুতা পরুন।
এছাড়া পায়ের নখ কালো হওয়া ম্যালিগন্যান্ট মেলানোমা নামক ত্বকের ক্যানসারের একটি গুরুতর রূপ হতে পারে। এমনকি ছত্রাক সংক্রমণ, ক্রনিক ইনগ্রোন নেইল, অন্যান্য স্বাস্থ্য সমস্যার কারণেও পায়ের নখ কালো হতে পারে।
হলুদ নখ
পায়ের নখ হলুদ হয়ে যাওয়াও কিন্তু চিন্তার বিষয়। ছত্রাকের সমস্যার করণেই এটি সাধারণত বেশি ঘটে। এ ধরনের ছত্রাকের সংক্রমণ এতটাই সাধারণ যে আপনাকে চিকিৎসার জন্য ডাক্তার দেখানোরও প্রয়োজন হবে না।
এক্ষেত্রে একটি অ্যান্টিফাঙ্গাল ক্রিম ব্যবহার করলেই সমস্যার সমাধান মেলে। যদি নখ হলুদ ও পুরু হয়, তাহলে আলতোভাবে পৃষ্ঠের নিচে লাগানোর চেষ্টা করুন, যাতে ওষুধটি গভীর স্তরে পৌঁছাতে পারে। যদি বাড়িতে চিকিৎসা কাজ না করে, তাহলে ডাক্তারের সঙ্গে দেখা করতে হবে।
সবুজ নখ
গ্রিন-নেল সিন্ড্রোমের (ক্লোরোনিচিয়া) কারণে নখের রং সবুজ হতে শুরু করে। ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণের কারণেই এমনটি ঘটে। যারা খালি পায়ে বা পানিতে বেশি কাজ করেন তাদের নখে এ সমস্যা বেশি দেখা দেয়। এই সমস্যা দেখলে দ্রুত ডাক্তার দেখান
নখে নীল দাগ
নখে নীলরঙা কোনো স্পট দেখলে এখনই সতর্ক হয়ে যান। কারণ এটি সাধারণ কোনো চিহ্ন নয় বরং ক্যানসারের লক্ষণ। নখের নীচে সেলুলার ব্লু নেভাস নামক এক ধরনের নীল আঁচিল ক্যানসারে পরিণত হতে পারে।
নখে সাদা বড় দাগ
আপনার পায়ের নখে যদি সাদা হয়ে যায় বা বড় দাগ দেখা যায় তাহলে তা হতে পারে ছত্রাক সংক্রমণের কারণ। একে সাদা সুপারফিশিয়াল অনাইকোমাইকোসিস বলা হয়। এক্ষেত্রে নখ রুক্ষ ও চূর্ণবিচূর্ণ হয়ে যেতে পারে। এই সংক্রমণ পায়ের নখ জুড়ে ছড়িয়ে পড়ে ধীরে ধীরে। তাই এমন সমস্যা লক্ষ্য করতেই ডাক্তারকে দেখান।
সূত্র: ওয়েব এমডি
জেএমএস/জিকেএস