ভিডিও EN
  1. Home/
  2. লাইফস্টাইল

যে বয়সে বিয়ে করলে আয়ু বাড়ে পুরুষের

লাইফস্টাইল ডেস্ক | প্রকাশিত: ১১:৩৮ এএম, ১৯ অক্টোবর ২০২২

বিয়ের সঙ্গে আবার আয়ু বাড়ার সম্পর্ক কী? নিশ্চয়ই এমনটি ভাবছেন! হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের এক সমীক্ষা এমন তথ্যই জানাচ্ছে যে, একটি নির্দিষ্ট বয়সে বিয়ে করলে নাকি ছেলেদের আয়ু বাড়ে!

বিয়ে সবার জীবনেরই একটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত। তবে কোন বয়সে বিয়ে করা উচিত, তা জানা নেই অনেকেরই। যদিও প্রাপ্তবয়স্ক নারী-পুরুষ যে কোনো বয়সেই বিয়ে করতে পারেন।

তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, দাম্পত্য জীবন দীর্ঘস্থায়ী করতে নারীদের ২৫ ও পুরুষের ৩০ বছরের মধ্যেই বিয়ে করে নেওয়া জরুরি। তবে বিয়ের আগে অবশ্যই আর্থিক ও মানসিকভাবে প্রস্তুত হতে হবে।

এই সমীক্ষায় অংশ নেন ১ লাখ ২৭ হাজার ৫৪৫ জন মার্কিন প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষ। এতে দেখা যায়, সুখী বিবাহিত পুরুষের আয়ু অনেকটাই বেশি।

সমীক্ষায় দেখা গেছে, অনেক পুরুষের বিয়ের পর ডিভোর্স হয়ে গিয়েছে বা যার স্ত্রী মারা গিয়েছেন। আবার অনেক পুরুষ বিবাহিত জীবনে খুবই সুখী।

সুখী বিবাহিত পুরুষরা এই ডিভোর্সি ও একাকি পুরুষের চেয়ে অনেকটাই বেশি সুস্থ। এমনকি যাদের স্ত্রী নেই, তাদের থেকেও বেশি বছর বাঁচেন বিবাহিত পুরুষরা।

সমীক্ষার তথ্যমতে, যেসব পুরুষ ২৫ বছর বয়সে বিয়ে করেন তারাই নাকি বেশি সুরক্ষিত। অন্যদিকে যারা এর চেয়েও কম বয়সে বিয়ে করেন, তাদের নিরাপত্তা নিয়ে ভাবতে হয়। আর অবিবাহিত পুরুষের থেকে বেশি সুখী বিবাহিত পুরুষরা। বেশিদিন বাঁচেন ও সুস্থ থাকেন তারা।

বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, বয়স কম হলে মনের মতো সঙ্গী পাওয়ার সুযোগ বাড়ে। তাই নারীদের মতোই পুরুষদের ক্ষেত্রেও ২৫ এর মধ্যে বিয়ে করলে মানানসই সঙ্গী পাওয়ার সুযোগ মিলবে বেশি।

সমীক্ষার তথ্য আরও জানাচ্ছে, যেসব পুরুষের শারীরিক সমস্যা আছে তারাও আগে বিয়ে করেন। তাদের বিবাহ বিচ্ছেদের ঝুঁকিও কম থাকে।

বিবাহবিচ্ছেদ হলেও আবার বিয়ে করার ইচ্ছে তাদের থাকে। অন্যদিকে সুস্থ বা যার কোনো শারীরিক সমস্যা নেই, তার ক্ষেত্রে এসব বিষয় তুলনামূলক কম।

জাপানের বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, বিবাহিত পুরুষদের চেয়ে অবিবাহিত পুরুষের হৃদরোগের ঝুঁকি ৩ গুণ বেশি থাকে। অন্যদিকে বিবাহিত পুরুষের ডিপ্রেশনের ঝুঁকি কম থাকে সিঙ্গেলদের তুলনায়।

এমনকি বিবাহিত জীবনে সুখী হলে রক্তে শর্করার পরিমাণ ঠিক থাকে ও রক্তচাপজনিত সমস্যাও নিয়ন্ত্রণে থাকে। আসলে বিবাহিত জীবন সুখী হলে জীবনে দুশ্চিন্তাও কম থাকে। গবেষণায় দেখা গেছে, জীবন নিয়ে যে যতটা সন্তুষ্ট থাকবেন, ততটাই তার বাড়বে আয়ু।

সূত্র: হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়

জেএমএস/জেআইএম

আরও পড়ুন