ডায়াবেটিস বশে আসবে ৭ দিনের এই ডায়েট প্ল্যানে!
বর্তমোনে ডায়াবেটিসে সমস্যায় বিশ্বের কোটি কোটি মানুষ ভুগছেন। কঠিন এই রোগ নিয়ন্ত্রণে না রাখতে পারলে মৃত্যুঝুঁকিও বেড়ে যায়।
রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে না থাকলে শারীরিক বিভিন্ন সমস্যার সৃষ্টি হয়। তবে খুব সহজেই জীবনযাত্রায় পরিবর্তন এনে বশে আনা যায় ডায়াবেটিস, এমনটিই মত বিশেষজ্ঞদের।
স্বাস্থ্যকর ও সুষম খাবার রক্তে শর্করার মাত্রা কমাতে ও ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। ডায়াবেটিস রোগীদের অবশ্যই খাবার সম্পর্কে সচেতন হওয়া উচিত।
মনে রাখবেন, অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস কিডনি, চোখ ও হার্টের স্বাস্থ্যকে প্রভাবিত করে। তবে পুষ্টিকর খাবার খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারবেন।
ডায়াবেটিস রোগীদেরকে পর্যাপ্ত পানি পানের পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। একই সঙ্গে ভেজানো মেথি বা মেথি বীজ ভেজানো পানি পান করে দিন শুরু করুন।
তারপর এক মুঠো আখরোট বা বাদাম খেয়ে দিন শুরু করলে রক্তে শর্করার মাত্রা সহজেই নিয়ন্ত্রণে আসবে। আর অবশ্যই দিন ২-৩ বার গ্রিন ট্রি পান করতে হবে।
ভারতীয় পুষ্টিবিদ নিকি সাগরের ডায়েট প্ল্যান মেনে আপনি ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে আনতে পারবেন মাত্র ৭ দিনেই। জেনে নিন সপ্তাহের কোন দিন কী কী খাবার খাবেন-
সোমবার
সকালের নাস্তা: বাদাম বা আখরোটের মতো শুকনো বাদামসহ এক বাটি ওটমিল। কম চর্বিযুক্ত দুধ ব্যবহার করতে পারেন। ওটস ফাইবার সমৃদ্ধ ও ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
দুপুরের খাবার: ১টি রুটি বা এক কাপ বাদামি চালের ভাত। এক বাটি চিকেন বা পনির ও এক বাটি টকদই যোগ করুন।
স্ন্যাকস: একটি আপেল/ বেরি ও চেরি মিশ্রিত ফলের বাটি।
রাতের খাবার: এক বাটি মসুর বা ডালের সঙ্গে ১-২টি রোটি, এক বাটি ভাজা সবজি যেমন- ফুলকপি, মাশরুম, ব্রোকোলি ইত্যাদি।
মঙ্গলবার
সকালের নাস্তা: গমের রুটির সঙ্গে স্ক্র্যাম্বল করা ডিম বা ২টি ডিমের সাদা অংশ। আপনার খাবারে কমলা বা পেয়ারার মতো ফল যোগ করুন।
দুপুরের খাবার: এক কাপ বাদামি চালের ভাত বা ১টি চাপাতিসহ ভাজা মাছ বা ভাজা সবজি ও টকদই।
স্ন্যাকস: এক বাটি স্প্রাউট বা কিছু সেদ্ধ ভুট্টা।
রাতের খাবার: ১ বাটি ডালের সঙ্গে ১-২টি গমের রুটি। এক বাটি উদ্ভিজ্জ সালাদ যোগ করুন।
বুধবার
সকালের নাস্তা: এক বাটি চিঁড়ার পোহা বা সুজির চিলা। একটি ডিমের অমলেট ও রুটি টোস্টও খেতে পারেন। একটি কমলা যোগ করুন।
দুপুরের খাবার: মুরগির মাংস বা পনিরের সঙ্গে এক কাপ বাদামি চালের ভাত ও এক বাটি টকদই।
স্ন্যাকস: কয়েকটি খেজুর বা ভাজা বাদাম বা মাখন খান।
রাতের খাবার: রাতের খাবারের জন্য পুরো শস্যের পাস্তা কিছু সবুজ শাকসবজি দিয়ে ফেলে দেওয়া হয়।
বৃহস্পতিবার
সকালের নাস্তা: একটি ফল কমলা বা পেয়ারা দিয়ে সবজি স্টাফ পরাটা।
দুপুরের খাবার: পালং শাক বা ডিমের তরকারি দিয়ে ভাত।
স্ন্যাকস: ভেজিটেবল স্যুপ বা চিকেন-ধনিয়ার স্যুপ।
রাতের খাবার: এক বাটি কুইনো ও এক বাটি ডাল।
শুক্রবার
সকালের নাস্তা: একটি ব্রাউন ব্রেড স্যান্ডউইচ, একটি আপেল ও সঙ্গে ডিম পোচ
দুপুরের খাবার: বাদামি চালের ভাত, মুরগির স্টু ও টকদই
স্ন্যাকস: মাখানা বা স্যুপ
রাতের খাবার: সেদ্ধ সবজি বা সুয়েড মাশরুম দিয়ে ১টি চাপাতি
শনিবার
সকালের নাস্তা: এক গ্লাস ফল বা তাজা কমলার রসসহ উপমা, পোহা বা ইডলি।
দুপুরের খাবার: ভাত বা চাপাতি ভাজা মাছ বা ডিমের তরকারিসহ সবজির সালাদ।
স্ন্যাকস: উচ্চ প্রোটিন পনির কাটলেট বা ভুট্টা ও ছানার সঙ্গে মাসালা চাট।
রাতের খাবার: পরোটা ও চানা মাসালা
রবিবার
সকালের নাস্তা: তাজা ফলের রসসহ মুগ চিলা বা ডালিয়া
দুপুরের খাবার: ডাল মাখানির সঙ্গে ভাত বা চাপাতি ও এক বাটি সালাদ
স্ন্যাকস: করলা বা কলার চিপস
রাতের খাবার: সবজি পোলাও বা ডিম পোলাও
সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া
জেএমএস/জিকেএস