কম খরচে ঘর সাজাবেন যেভাবে
ঘর সাজানো মানেই অনেক খরচ নয়। স্বল্প খরচেই সাজিয়ে তুলতে পারেন আপনার ঘরের পরিবেশ। একটুখানি বুদ্ধি খাটালে আপনার সাদামাটা ঘরটিও হয়ে উঠবে জমকালো। সেইসঙ্গে মিলবে আপনার রুচিশীলতার পরিচয়। চলুন জেনে নিই কিছু উপায়-
কম খরচে দেয়াল সাজাতে ব্যবহার করতে পারেন ওয়ালপেপার। স্যান্ডস্টোন, রাস্টিক টাইলস, টেরাকোটা বা প্রাকৃতিক দৃশ্য সব ধরনের ওয়াল পাবেন বাজারে। ঘরের যে কোনো একটা দেয়ালে পছন্দমতো ওয়ালপেপার লাগিয়ে নিন। ঘরে কিছুটা বৈচিত্র্য আনতে একটা কর্নার সাজাতে পারেন। গাছ, পটারি আর ল্যাম্পশেড দিয়ে।
ঘর সাজাতে বেছে নিন গাছ আর মাটি। দুটোই সহজলভ্য। একটা কর্নারে মাটির পটারিতে ছোট-বড় বিভিন্ন আকৃতির ইনডোর প্লান্ট রাখুন। গাছের ফাঁকে ফাঁকে মাটির শোপিস দিন। একটা মাটির চাড়িতে পানি দিয়ে তাতে কিছু কচুরিপানা আর অ্যাকুয়ারিয়ামের মাছ ছেড়ে দিন। আর একটা স্পটলাইট। ঘরটা নিজের কাছেই অচেনা মনে হবে।
কম খরচে ঘর সাজাতে দেশীয় উপকরণের জুড়ি নেই। এ ক্ষেত্রে ঘর সাজানোর খুব ভালো থিম হতে পারে বাঁশ। বাঁশের সোফা সহজলভ্য, দামেও সাশ্রয়ী। চাইলে ইচ্ছেমতো ডিজাইন দিয়ে তৈরি করে নিতে পারেন। জায়গা থাকলে বসার ঘরের একপাশে শীতল পাটি বিছিয়ে দিন। এর ওপর ফ্লোরিং করে বাড়তি বসার ব্যবস্থা করতে পারেন। ঘরের খালি দেয়ালে বাঁশের বেড়া ফ্রেম করে ঝুলিয়ে দিন। বাঁশের বাঁশি, একতারা কিংবা মাথাল সাজান বাঁশের বেড়ার সঙ্গে। কর্নারে একটা বাঁশের শেলফ করে তাতে দেশীয় উপকরণের শোপিস রাখুন।
জানালার পর্দা, সোফা ও কুশন কভারে উজ্জ্বল রং বেছে নিন। সুতি বা খাদি কাপড়ে ব্লক করে নিতে পারেন। বাঁশের ল্যাম্পশেড আর মাটির পটারিতে কয়েকটি ইনডোর প্লান্ট দিয়ে একটা কর্নার সাজাতে পারেন। হয়ে গেল কম খরচে বসার ঘরের রুচিশীল সাজ।
মাটির দেয়াল টবে কিছু লতানো মানিপ্লান্ট (পুরবীলতা) জাতীয় গাছ ঝুলিয়ে দিন। মাটির বিভিন্ন দেয়াল শোপিস পাবেন বাজারে। সেগুলো দিয়ে সাজান দেয়াল। কাপড়, বাঁশ বা মাটির ল্যাম্পশেড নিন। কম খরচে ঘরে পাবেন নতুনত্বের ছোঁয়া।
এইচএন/এমএস