রাতে ভাত খেয়েও ওজন কমানোর কৌশল
ওজন কমানোর রেসে বর্তমানে কমবেশি সবাই দৌড়াচ্ছেন। এজন্য সঠিক জীবনযাপন করার বিকল্প নেই। সঠিক খাদ্যাভ্যাস ও শরীরচর্চার মাধ্যমেই ধীরে ধীরে শরীরের অতিরিক্ত ওজন কমানো সম্ভব।
তবে ওজন কমাতে গিয়ে অনেকেই ভাত খাওয়া বন্ধ করে দেন। যা একেবারেই ভুল ধারণা। কারণ হঠাৎ করে ভাত খাওয়া বন্ধ করে দিলে শরীরে এর বিরূপ প্রভাব পড়ে।
এ বিষয়ে কারিনা কাপুর খানের পুষ্টিবিদ রুজুতা দিওয়েকর রাতে ভাত খেয়েই ওজন কমানোর উপায় জানিয়েছেন। তার ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে একটি ভিডিও শেয়ার করেছেন।
যেখানে ওজন কমাতে প্রতিদিন কী খাওয়া উচিত, কী খাওয়া উচিত নয় তা-ও জানিয়েছেন। কারিনার ডায়েটেশিয়ান রুজুতা দিওয়েকর সব সময়ই প্রাকৃতিক ও ভেষজ খাবার খাওয়ার পরামর্শ দেন। আর সেটাই মানেন কারিনাসহ অন্য বলিউড তারকারাও।
রুজুতা এমন একটি ডায়েট প্ল্যান দিয়েছেন, যেটি শুধু ওজনই কমাবে না বরং আপনাকে শারীরিকভাবে সুস্থও রাখবে। জেনে নিন করণীয়-
>> ঘুম থেকে ওঠার ১০-১৫ মিনিটের মধ্যেই কিছু না কিছু খাওয়া উচিত। এটি আপনার বিপাককে আরও বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করবে। এ সময় কলা, আপেল বা ভেজানো কাঠবাদাম বা আখরোট খেতে পারেন। পাশাপাশি ডাবের পানিও পান করুন।
>> তবে সকালে চা বা কফি খাওয়ার অভ্যাস পরিবর্তন করুন। এ পুষ্টিবিদের মতে, সকালে এসব পানীয় পেটের সমস্যা তৈরি করে। এ ছাড়া সকালে বেশি মসলাদার খাবারও খাবেন না।
>> দুপুরের খাবার খেয়ে নিন ১১-১টার মধ্যেই। এ সময় বাজরার রুটি ও একটি চাটনি রাখুন।
>> মধ্যাহ্ন ভোজন ও রাতের খাবারের মধ্যে সময় দীর্ঘ হয়। তাই রজুতার পরামর্শে বিকেল ৪-৬টার মধ্যে বাদাম, স্প্রাউট, চিনাবাদাম বা দুধ খেতে পারেন।
তবে এ সময় চা বা কফি পান করবেন না। নোনতা বা মিষ্টি খাবারও নয়। এ ছাড়া বিকেল ৪টার পর কফিও পান করবেন না।
>> রাতের খাবার শেষ করুন ঘুমানোর ২ ঘণ্টা আগে। সুস্থ থাকতে হলে অবশ্যই সন্ধ্যা ৭ থেকে রাত সাড়ে ৮টার মধ্যে ডিনার শেষ করুন।
আর ডিনারে ভাত বা খিচুড়িও রাখতে পারেন। এ পুষ্টিবিদের মতে, রাতে ভাত খেলে হজমের সমস্যা দূর হবে। তবে পরিমাণের দিকে লক্ষ্য রাখুন। এর সঙ্গে শাক-সবজি, মাছ বা মাংস রাখুন।
>> সঠিক খাদ্যাভ্যাসের পাশাপাশি অবশ্যই শরীরচর্চা করতে হবে। মনে রাখবেন, শরীরচর্চার অন্তত ৩০ মিনিট আগে থেকেই খালি পেটে থাকুন। কারণ খালি পেটে ব্যায়াম করলে বেশি ক্যালোরি বার্ন হয়।
জেএমএস/এসইউ/জিকেএস