কোন শাড়িতে কেমন গয়না
বাঙালি নারীর সাজে পূর্ণতা আনতে চাইলে শাড়ির সঙ্গে গয়নাও আবশ্যক। তবে গয়না বলতে কেবল সোনা কিংবা রূপা নয়, গয়না হতে পারে যেকোনো ম্যাটারিয়ালের। গয়না বাছাই করতে হবে শাড়ির ধরন বুঝে। চলুন তবে জেনে নিই কোন শাড়ির সঙ্গে কেমন গয়না পরবেন-
শাড়ি যদি সিল্ক বা এন্ডি সিল্ক হয় তবে গয়নাটা হতে হবে জমকালো। এ ক্ষেত্রে বেছে নিতে পারেন অ্যান্টিকের ব্রাশ গয়না। অ্যান্টিকের বাইরে পোর্সেলিন ও সিরামিকের গয়নাও এমন শাড়ির সঙ্গে যায়। এ ছাড়া সিরামিকের তৈরি লকেট, কানের দুল ও মেটালের চুড়িও মানায়।
তাঁতের শাড়ির সঙ্গে একটু জাঙ্ক বা পশ্চিমা ধাঁচের গয়না পরতে পারেন। হাতে চুড়ি ছাড়াও মোটা বালা বা ব্রেসলেট, গলায় নেকলেস অথবা বড় কোনো লকেট পরতে পারেন। সাদামাটা সুতির একরঙা শাড়ির সঙ্গে কড়ি, সুতা ও মেটালের গয়না মানায়। হাতে বালা বা বড় ডায়ালের ঘড়ি পরলেও ভালো দেখাবে।
সুতির ব্লক বা ভেজিটেবল ডাইংয়ের শাড়ির অনেক চল। এ ধরনের শাড়ির সঙ্গে আদিবাসী গয়না কিংবা গলায় বিভিন্ন রঙের পুঁতির মালা, কানে পালকের দুল মানাবে। আজকাল ময়ূর থেকে শুরু করে সব ধরনের পাখির পালক দিয়েই তৈরি গয়না পাওয়া যাচ্ছে। এ ছাড়া এ ধরনের শাড়ির সঙ্গে কাঠের রঙিন গয়নাও পরতে পারেন।
কাতান বা ব্রকেটের শাড়ির সঙ্গে হালকা মেটালের গয়না পরতে পারেন। এ ছাড়া রুপা ও গোল্ড প্লেটেড গয়নাও মানায়। জর্জেটের শাড়ির সঙ্গে কাপড়ের মালার চলটা একেবারেই নতুন। এ ছাড়া ক্রিস্টাল পুঁতি বা মুক্তার কয়েক লহরের মালাও চলছে। নেটের ফেব্রিকের সঙ্গে মুক্তা বসানো, এ ধরনের ফিউশনধর্মী গয়নাগুলোও পরতে পারেন। এ ছাড়া রুবি, পান্না, প্রবালের মালাও বেশ চলছে।
বিভিন্ন ধাতুর তৈরি কানপাশা, ঝুমকা, খোঁপার কাঁটা ও বালা পাবেন ১২০ থেকে ৬০০ টাকায়। মেটালের গয়নার সেট পাবেন ৮৭০ থেকে এক হাজার ২০০ টাকায়। রঙিন সুতা ও কাপড়ের মালা পাবেন ৬০০ থেকে ৯০০ টাকায়। সুতার বালা ১০০ থেকে ১২০ টাকায়। কাঠ ও চামড়ার তৈরি গয়না ২০০ থেকে এক হাজার ৫০০ টাকায়। জামদানিসহ বিভিন্ন মোটিফের গয়না পাবেন ১৫০ থেকে এক হাজার ৫০০ টাকায়। মুক্তার মালা ও কানের দুলের সেট পাবেন ১০০০ থেকে ২৫০০ টাকার মধ্যে।
এইচএন/আরআইপি