শিশুর দাঁতের যত্নে কিছু করণীয়
একবার হারানোর পরেও আবার পাওয়া যায়। কিন্তু দ্বিতীয়বার হারালে আর পাওয়া যায় না। বুদ্ধিমান পাঠকরা শুরুতেই বুঝে গেছেন, দাঁতের কথা বলা হচ্ছে। শুধু দাঁতের কেন, শিশুরা নিজেদের কোনোকিছুরই সঠিক যত্ন নিতে পারে না। যত্ন-আত্তির জন্য তারা নির্ভর করে থাকে বড়দের ওপরে। তাই শিশুর যত্নে বড়দেরই সচেতন হতে হবে।
শিশুর দাঁতের যত্ন:
শিশু কথা বলতে শুরু করলে ওরাল ক্রিম দিয়ে শিশুর মাড়ি মাসাজ করা উচিৎ। ডাক্তারের প্রেশক্রিপশন অনুযায়ী মাসাজ ক্রিম ব্যবহার করতে হবে। বাচ্চার দুধের দাঁত উঠলে সব কিছুতেই কামড়ানোর চেষ্টা করে। তাই সংক্রমণের বেশি ভয় থাকে। এই সময় নরম বা ডিজিটাল ব্রাশ দিয়ে ধীরে ধীরে ব্রাশ করাতে হবে।
ছোট থেকেই শিশুকে নিয়ম করে সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর এবং রাত্রে শুতে যাওয়ার আগে দাঁত ব্রাশ করা সেখানো উচিৎ। সেইসঙ্গে প্রতিদিন মাউথ ওয়াস এবং ফ্লসিং করা ছোট বেলা থেকেই সেখানো উচিৎ।
চকলেট অথবা কার্বহাইড্রেট খাবার খেয়ে মুখ ধুয়ে ফেলতে হবে, তা না হলে ক্যারিজ হতে পারে।
আমাদের মুখের লালা বা স্যালাইভাতে এমন কিছু আছে যা আমাদের শরীরে দূষিত জিনিস প্রবেশে বাধা দেয়। বয়স বাড়ার সাথে সাথে এর তারতম্য ঘটে এতে সংক্রমণ ঘটতে পারে। তাই সচেতন হতে হবে।
বয়ঃসন্ধির সময়ে আক্কেল দাঁত ওঠা নিয়ে যন্ত্রণার কবলে পড়তে হয় অনেক ছেলে-মেয়েকে। যন্ত্রণাহীনভাবে আক্কেল দাঁত বাড়তে দেওয়ার সুচিকিত্সাও সহজেই বর্তমানে পাওয়া যায়।
এইচএন/এমএস