ভিডিও EN
  1. Home/
  2. লাইফস্টাইল

পরিবারের সঙ্গে সময় কাটাতে পছন্দ করি : বিপ্লব সাহা

প্রকাশিত: ০৬:২৫ এএম, ০৭ জানুয়ারি ২০১৬

বিপ্লব সাহা। ফ্যাশন ডিজাইনার ও ফ্যাশন হাউজ রঙ-এর কর্ণধার। দেশীয় ফ্যাশন নিয়ে যারা কাজ করেন এবং দেশীয় পোশাক পরতে যারা ভালোবাসেন তাদের কাছে খুবই পরিচিত এই নাম। ফ্যাশনের জগতে বিচরণ করছেন দীর্ঘদিন ধরে। স্বপ্ন এবং ভালোবাসার সবটুকু মিশিয়ে তা ফুটিয়ে তোলেন কাপড়ের নকশায়। দেশাত্মবোধ এবং দেশের প্রতি দায়বদ্ধতা থেকেই তার এই দেশীয় ফ্যাশন নিয়ে কাজ করা। সবার ফ্যাশন নিয়ে কাজ করেন যিনি, তার লাইফস্টাইল কেমন? সেসব নিয়ে মুখোমুখি হয়েছেন জাগো নিউজের। সঙ্গে ছিলেন হাবীবাহ্ নাসরীন-

পোশাক হিসেবে তাই বেছে নেন, যাতে তার স্বাচ্ছন্দ্যবোধ হয়। তবে পাঞ্জাবির প্রতি রয়েছে একটু বিশেষ দুর্বলতা। এর বাইরে শার্ট-প্যান্ট পরা হয়। বাসায় পরলেও বাইরে কখনো টিশার্ট পরা হয় না। পোশাকের রঙের ক্ষেত্রে সাদা রঙটাই প্রিয় তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে রঙ বাছাই করেন ঋতু, সময় এবং পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে। আর পোশাকের সঙ্গে অনুষঙ্গ হিসেবে খুব বেশি কিছু ব্যবহার করেন না। ঘড়ি, চশমা, একটি আংটি আর গলায় একটি চেইন। সেই চেইনটি কি না আবার পনের বছর ধরেই একইরকমভাবে গলায় পরে আছেন! খুব যে সিম্পল থাকতে ভালোবাসেন তা তো এখান থেকেই বোঝা যায়। তার পছন্দের পারফিউম হচ্ছে প্রিয় মানুষদের কাছ থেকে উপহার পাওয়া পারফিউমগুলোই।

রিচফুড কিংবা ফাস্টফুড খুব একটা খান না। খেতে ভালোবাসেন মিষ্টিজাতীয় খাবার, প্লেন পোলাও। ভাত, মাছ, সবজি, মুরগীর মাংস- এসবই খেয়ে থাকেন সাধারণত। মা এবং স্ত্রীর হাতের সব রান্নাই প্রিয়। এছাড়া বড়দির হাতের স্পেশাল চিকেন ভূনা আর মেজদির হাতের স্পেশাল চচ্চরিও খুব পছন্দ তার। এড়িয়ে চলেন ফ্যাটজাতীয় যেকোনো খাবার।

শরীরচর্চার জন্য আলাদা করে সময় বের করা খুব মুশকিল তার জন্য। তবু সময় পেলে শরীরচর্চায় মনোযোগ দেন। আর ঘাটতিটুকু নিয়মিত হাঁটাহাঁটির মাধ্যমেই পুষিয়ে নেন। অবসর খুব একটা মেলে না। তবু সময় করে পরিবারকে সঙ্গ দিতে ভোলেন না। মা-বাবা, স্ত্রী শম্পা সাহা, ছেলে সম্পদ সাহা আর মেয়ে ঊশষী সাহাকে নিয়েই তার অবসর সময় কাটে। এর বাইরে নিকটাত্মীয়দের নিয়ে ঘরোয়া পার্টি কিংবা বনভোজন করতেও ভালোবাসেন তিনি। শখের কাজ ছবি আঁকা। নতুন নতুন ডিজাইন তৈরি করা।

ফ্যাশন নিয়ে ভবিষ্যত ভাবনা হলো দেশের মানুষকে দেশীয় ফ্যাশনের প্রতি আগ্রহী করে তোলা। দেশের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যকে আরো বড় পরিসরে নিয়ে আসা। আর সেজন্য সবার ভেতরে দেশপ্রেম ও দেশাত্মবোধ থাকাটা সবার আগে প্রয়োজন। দেশকে ভালোবেসে দেশীয় পোশাক অঙ্গে জড়িয়ে নিলে তবেই এগিয়ে যাবে দেশীয় পোশাক শিল্প।

এইচএন/পিআর