করোনামুক্ত হলে প্রথমেই যে কাজটি করা জরুরি
করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছেই। অনেকে তো আক্রান্তের সংস্পর্শ ছাড়াও করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন। তবে করোনা ভ্যাকসিন নেওয়ার কারণে বেশিরভাগের শরীরেই ভাইরাসের উপসর্গ বেশ মৃদু।
তাই হাসপাতালে ভর্তির সংখ্যা অনেকটাই কম। বেশিরভাগ আক্রান্তরাই আইসোলেশনে থেকে বাড়িতেই সুস্থ হয়ে উঠছেন।
তবে চিন্তার বিষয় হলো, এই ভাইরাসে একবার আক্রান্ত হলে পরবর্তীতেও সংক্রমিত হওয়ার ঝুঁকি থাকে। এজন্য প্রত্যেককেই সতর্ক থাকতে হবে।
একদল বিশেষজ্ঞ বলছেন, করোনা থেকে সেরে ওঠার পরও কিছু নিয়ম মেনে চলতে হবে। এক্ষেত্রে প্রথমেই পাল্টে ফেলতে হবে টুথব্রাশ। তবে কেন এমনটা বলছেন বিশেষজ্ঞরা চলুন জেনে নেওয়া যাক-
মুখের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে ব্রাশ করার বিকল্প নেই। এমনিতেও প্রতি ৩ মাস পরপর বদলে ফেলতে হয় টুথব্রাশ। তবে করোনা থেকে সেরে ওঠার পর এই কাজে একদম দেরি না করে বরং দ্রুত বদলে ফেলতে হবে টুথব্রাশ।
বিশেষজ্ঞদের মতে, করোনাভাইরাস প্লাস্টিকের মধ্যে বহুদিন পর্যন্ত বাঁচতে পারে। আর টুথব্রাশের বেশিরভাগ অংশই তৈরি হয় প্লাস্টিক দিয়ে। তাই করোনা আক্রান্ত হওয়ার পর যে ব্রাশ দিয়ে দাঁত মাজবেন তার মধ্যে উপস্থিতি থাকতে পারে ভাইরাস।
করোনামুক্তির পরও যদি ওই ব্রাশ দিয়ে দাঁত মাজা হয় তাহলে আপনি আবারও আক্রান্ত হতে পারেন। তাই দ্রুত বদলান টুথব্রাশ।
শুধু নিজের সুরক্ষার জন্যই নয়, বরং পরিবারের অন্যদের কথা মাথায় রেখেও এই কাজ করা জরুরি। কারণ অনেক পরিবারের সদস্যদের টুথবাম একসঙ্গেই রাখা হয়। এতে তাদের ব্রাশেও ভাইরাস ছড়াতে পারে। এজন্য আক্রান্তের পাশাপাশি ঘরের সবার ব্রাশ পাল্টে ফেলুন।
করোনার সময় ব্রাশ করতে যে নিয়মগুলো মেনে চলবেন-
> ব্রাশ করার আগে ও পরে ভালো করে হাত ধুয়ে নিন।
> দিনে অন্তত ২ বার ব্রাশ করুন। একবার সকালে ও একবার রাতে খাওয়ার পর।
> মাউথওয়াশ ব্যবহার করুন।
সুত্র: হেলথশটস
জেএমএস/এএসএম