হাঁপানির মারাত্মক ৫ লক্ষণ অবহেলা করছেন না তো?
শীত আসতেই সর্দি-কাশির সমস্যা বেড়ে যায়। তবে সাধারণ ভেবে এ সময় সর্দি-কাশি কিংবা শ্বাসকষ্ট অবহেলা করা উচিত নয়। বিশেষ করে বেশ কয়েকদিন ধরেই কাশি, শ্বাসকষ্ট কিংবা বুকে চাপ ধরে থাকার সমস্যা দেখা দিলে সতর্ক থাকুন।
কারণ এসব সমস্যা হতে পারে হাঁপানির লক্ষণ। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই আমরা বিভিন্ন রোগের সঙ্কেত প্রাথমিক অবস্থায় টের পাই না। আর এ কারণেই চিকিৎসা দেরি হয়ে যায়। তাই কোন রোগের কী লক্ষণ, তা আগে থেকেই জেনে রাখা উচিত।
ঠিক যেমন বেশিরভাগ মানুষই হাঁপানির সমস্যা আগে থেকে টের পান না। সাধারণ কাশি কিংবা শ্বাসকষ্ট ভেবে অনেকেই এড়িয়ে যান। আপনারও যদি হাঁপানির লক্ষণ সম্পর্কে তেমন কোনো ধারণা না থাকে, তাহলে জেনে নিন অ্যাজমা বা হাঁপানির প্রাথমিক ৫ লক্ষণ সম্পর্কে-
>> হাঁপানির প্রাথমিক লক্ষণগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো শ্বাসকষ্ট। যখন-তখনই হতে পারে শ্বাসকষ্ট। যখন শ্বাসনালী স্ফীত ও সংকীর্ণ হয়ে যায়, তখন শ্বাসকষ্ট দেখা দেয়। ফলে ফুসফুসে পর্যাপ্ত পরিমাণে অক্সিজেন চলাচল করতে পারে না ও শ্বাসকষ্ট শুরু হয়।
>> প্রদাহের কারণে যখন শ্বাসনালী সংকুচিত হয়ে যায় তখন হাঁপানির টান ওঠে। ফলে শ্বাস-প্রশ্বাস নেওয়ার সময় শরীর প্রয়োজনীয় পরিমাণে অক্সিজেন গ্রহণ করতে ব্যর্থ হয়। তাই শ্বাস-প্রশ্বাস নেওয়ার সময় বুকে শোঁ শোঁ শব্দ হতে পারে।
>> কাশি হাঁপানির অন্যতম লক্ষণ। ধুলা-বালি, কুয়াশা, ধোঁয়ার কারণে হাঁপানির ঝুঁকি বাড়তে পারে। যখন এই মাইক্রো-পার্টিকেল শ্বাসনালিতে প্রবেশ করে, তখনই জ্বালা ও প্রদাহ হয়। ফলে কাশি হয়।
এমনকি হাঁপানির ফলে কাশি হলে তা সহজে সারতে চায় না। শীতকালে এমন রোগীদের কাশির সমস্যা আরও বাড়তে পারে। হাঁপানির কারণে হওয়া গুরুতর কাশির সমস্যাকে কফ-ভ্যারিয়েন্ট অ্যাজমা বলা হয়।
>> হাঁপানির আরও একটি লক্ষণ হলো বুকে চাপা ভাব অনুভূত হওয়া। এক্ষেত্রে শ্বাস-প্রশ্বাস নিতে বেশ কষ্ট হয় ফলে বুকের মধ্যে টান বাড়ে ও চাপাভাব অনুভব হয়।
>> দ্রুত শ্বাস-প্রশ্বাস নেওয়া হাঁপানির আরও একটি লক্ষণ। এর ফলে শ্বাসকষ্ট বেড়ে যায়। শ্বাসকষ্টের সময় ফুসফুস থেকে সম্পূর্ণরূপে বাতাস বেরিয়ে যায়, ফলে আক্রান্ত ব্যক্তি নিজেই দ্রুত শ্বাস নিতে বাধ্য হন।
এসব লক্ষণ ছাড়াও কথা বলতে সমস্যা, দুশ্চিন্তা কিংবা অস্থিরতা, অত্যাধিক ঘাম ও ঠোঁট নীল হয়ে যাওয়ার মতো সমস্যাও হাঁপানির ইঙ্গিত দেয়।
সূত্র: বোল্ডস্কাই
জেএমএস/জিকেএস