যেসব কথা শুনলে পুরুষরা বিরক্ত হন
আজ ১৯ নভেম্বর, ‘আন্তর্জাতিক পুরুষ দিবস’ প্রতিবছর বিশ্বের ৭০টিরও বেশি দেশ ঘটা করে এই দিবসটি পালন করে। পুরুষদের মধ্যে লিঙ্গভিত্তিক সমতা, বালক ও পুরুষের সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করা ও পুরুষের ইতিবাচক ভাবমূর্তি তুলে ধরাই এ দিবসের প্রধান লক্ষ্য।
ইতিহাস মতে, ১৯৯৪ সালে প্রথম পুরুষ দিবস পালনের প্রস্তাব প্রথম করা হয়। তার আগে ১৯৬৮ সালে মার্কিন সাংবাদিক জন পি হ্যারিস নিজের লেখায় এ দিবসের গুরুত্ব তুলে ধরেন।
এরপর ৯০ দশকের শুরুতে যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া ও মাল্টায় কয়েকটি প্রতিষ্ঠান ফেব্রুয়ারিতে পুরুষ দিবস পালনের জন্য বেশ কয়েকটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। যদিও অনুষ্ঠানগুলো খুব একটা প্রচার পায়নি। পরবর্তীতে ১৯ নভেম্বর পুরো বিশ্বে পুরুষ দিবস পালনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
আজ পুরুষের সমতার দিন। তবে এখনো সমাজে পুরুষদেরকে কটাক্ষ করে কয়েকটি বিষয়ে কথা বলা হয়, যা শুনতে শুনতে তারা বিরক্ত হয়ে উঠেছেন। জেনে নিন কোন কথাগুলো পুরুষকে বলবেন না-
>> কষ্ট পেলে নারীরাও যেমন কাঁদে, ঠিক তেমনই পুরুষরাও কাঁদে। তাই কখনো ‘আসল পুরুষ কাঁদে না’ এ কথা বলবেন না। দুঃখ কষ্টের বোধ সবারই আছে। তাই দুঃখবোধ কিংবা কান্না করার বিষয়ে লিঙ্গের কোনো যোগসূত্র নেই।
>> কোনো পুরুষ যদি শখ করে গোলাপি বা হলুদ পোশাক পরেন, অনেকেই তা নিয়ে কটাক্ষ করে। অনেকেই বলেন, গোলাপি তো মেয়েদের রং, পুরুষরা কেন পরবে। আসলে এমন ধারণা একেবারেই ভুল। এর কোনো ভিত্তি নেই।
>> অনেকের ধারণা, পুরুষেরা ব্যথা অনুভব করে না। বিষয়টি মোটেও যুক্তিসঙ্গত নয়। নারীর মতো পুরুষেরও ব্যথার অনুভূতি আছে। অনেকেই পুরুষকে স্বান্তনা দিতে গিয়ে এ ধরনের কথা বলেন। যা ঠিক নয়।
>> একেকজনের শরীরবৃত্তীয় পরিবর্তন ভিন্ন হয়ে থাকে। কারও দেখা যায় মুখভর্তি দাড়ি, আবার কারও মুখে থাকে সামান্য বা অল্প দাড়ি। তবে সমাজে প্রচলিত আছে, গোঁফ ও দাড়ি প্রকৃত পুরুষ করে তোলে। যদিও এর কোনো বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই।
>> পরিবারের প্রতি সবারই দায়িত্ব আছে। তাই বলে পুরুষেরই যে নারীর দায়িত্ব নিতে হবে, এটি সঠিক ধারণা নয়। সমাজে প্রচলিত আছে, পুরুষের উচিত নারীর দায়িত্ব নেওয়া। তবে নারী যদি স্বনির্ভর হয় তাহলে তিনি তো নিজের দায়িত্ব নিজেই নিতে পারবেন।
>> পুরুষ হলেই যে তার খেলাধুলায় আগ্রহ থাকতে হবে, বিষয়টি কিন্তু ঠিক নয়। সবারই পছন্দ অপছন্দ ভিন্ন হয়। তবে সমাজের অনেকেই বলেন, যিনি খেলাধুলা পছন্দ না করলে তিনি আবার কেমন পুরুষ!
>> পুরুষরা সিনেমা দেখে কাঁদলেও অনেকেই বলেন, তিনি আসল পুরুষ নন। এসব উদ্ভট কিছু ধারণা একেবারেই ভুল। কারণ সিনেমার কোনো দৃশ্য নারী বা পুরুষ দুজনের কাছেই সংবেদনশীল হতে পারে। সেটা দেখে নারী-পুরুষ দুজনেই কাঁদতে পারেন।
সূত্র: বোল্ডস্কাই
জেএমএস/জিকেএস