গোসলের সময় যে ৫ অঙ্গ পরিষ্কার না করলেই বিপদ!
নিয়মিত গোসল করার মাধ্যমে শরীর পরিষ্কার রাখা হয়। অনেকেই দিনে ২-৩ বারও গোসল করে থাকেন। তবে কখনও কি ভেবে দেখেছেন গোসল করে শরীর পরিষ্কার করলেও আদৌ কি তিা পরিষ্কার হচ্ছে। বিশেষ করে শরীরের বেশ কিছু অঙ্গ গোসলের পরও অপরিষ্কারই রয়ে যায়।
আর এসব স্থান অপরিষ্কার থাকায় বড় ধরনের শারীরিক সমস্যাও দেখা দিতে পারে। চলুন তবে জেনে নেওয়া যাক শরীরের ৫টি অপরিহার্য অঙ্গ সম্পর্কে। যেসব অঙ্গ পরিষ্কার করা জরুরি। না হলে ঘটতে পারে মারাত্মক বিপদ।
জিহ্বা
প্রতিদিন দাঁত ব্রাশ করা হলেও জিহ্বা পরিষ্কার করেন না অনেকেই। তবে চিকিৎসকদের মতে, প্রতিদিন যদি জিহ্বা পরিষ্কার না করা হয়, তাহলে মুখে দুর্গন্ধের পাশাপাশি স্বাস্থ্যেও এর প্রভাব পড়তে পারে।
কারণ জিহ্বায় নানারকম ব্যাকটেরিয়া জমে থাকে। এসব ব্যাকটেরিয়া মুখের স্বাস্থ্যের ক্ষতি করে। সারারাত মুখে যে টক্সিন জমে তা জিভ পরিষ্কার না করলে মুখ থেকে নির্গত হয়। যা মুখে দুর্গন্ধের সৃষ্টি করে।
নাভি পরিষ্কার রাখুন
শরীরের একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ হলো নাভি। নাভিতে খুব তাড়াতাড়ি ময়লা জমে। অনেকেই গোসলের সময় নাভি পরিষ্কার করতে ভুলে যান। আবার অনেকেই নখ দিয়ে নাভি পরিষ্কার করার চেষ্টা করেন। যা একেবারেই ভুল কাজ।
বরং নাভি পরিষ্কার করতে একটি ছোট তুলায় জোজোবা, সূর্যমুখী বা আঙুর বীজের তেল কয়েক ফোঁটা নিয়ে ব্যবহার করুন। নিয়মিত তেল দিয়ে নাভি পরিষ্কার করতে এতে ময়লা জমবে না। আর শরীরও সুস্থ থাকবে।
নখ পরিষ্কার করুন
নখে জমে থাকে অনেক ময়লা ও জীবাণু। অনেক সময় নখ পরিষ্কার দেখালেও খালি চোখে দেখা যায় না তাতে জমে থাকা জীবাণু। আবার কারও কারও নখ অপরিষ্কার থাকায় কালো বা লালচে দাগ পড়ে যায়। নখ বড় রাখলে শরীরে অনেক ধরনের রোগের সৃষ্টি হয়।
তাই নিয়মিত নখ পরিষ্কার রাখা ও নখ কাটা দরকার। নখে জমে থাকা ময়লা খাবারের সঙ্গে শরীরে প্রবেশ করে। এছাড়াও যাদের নখকুনি হয়ে থাকে তারা চিকিৎসকের পরামর্শ মেনেই প্রতিকারের ব্যবস্থা করবেন। না হলে বড় ধরনের সমস্যা হতে পারে।
কান পরিষ্কার রাখা
গোসলের সময় অনেকেই কান পরিষ্কার করতে ভুলে যান। বিশেষ করে কানের পেছনের অংশ নিয়মিত পরিষ্কার না করলে সংক্রমণ বা চর্মরোগ হতে পারে। বিশেষজ্ঞদের মতে, কানের পেছনে ভাঁজযুক্ত অংশে অনেক তেল গ্রন্থি আছে। এতে ঘাম ও সেবাম জমে।
যা পরে ব্যাকটেরিয়াতে পরিণত হয়ে দুর্গন্ধ ছড়ায়। এগুলো খুবই স্বাভাবিক বিষয়। তাই নিয়মিত কানের পেছনের অংশ পরিষ্কার রাখা জরুরি। এজন্য গরম পানিতে নরম কাপড় ভিজিয়ে কান পরিষ্কার করতে হবে।
পায়ের পাতা
নিয়মিত পা পরিষ্কার করা না হলে মৃত কোষ ও ঘামের কারণে পায়ে ফাঙ্গাস ও দুর্গন্ধ দেখা দেয়। পায়ের ফাঙ্গাস নখ ও গোড়ালিতেও সংক্রমণ ঘটতে পারে। এ কারণে অনেক সময় সার্জারিও করতে হতে পারে।
তাই পায়ের পাতা ভালো রাখতে নিয়মিত স্ক্রাব করুন। শুধু গরম পানিতে পা ডুবিয়ে রেখে পরিষ্কার করলেই হবে না। বরং নখের ফাঁকে ফাঁকে জমে থাকা ময়লা ভালো করে পরিষ্কার করতে হবে। পরিষ্কার জুতা ব্যবহার করতে হবে।
সূত্র: ইন্ডিয়া ডট কম/টাইমস অব ইন্ডিয়া
জেএমএস/জিকেএস