সম্পর্কে প্রেম নেই শুধুই লালসা, বুঝবেন যেভাবে
প্রেমে পড়লে মানুষ অন্ধ হয়ে যায়! প্রিয়জনের মনে কী আছে তা অনেকেই টের পান না। আর সুন্দর সম্পর্ক বজায় রাখতে প্রিয়জনের ব্যক্তিত্ব কেমন তা যাচাই করে নেওয়া বুদ্ধিমানে কাজ। অনেকেই সম্পর্কে জড়ান তার লোভ বা লালসা হাসিল করার জন্য। সেখানে ভালোবাসা কম, স্বার্থপরতা বেশি থাকে।
যার ফলে দিন দিন সম্পর্ক নষ্ট হতে থাকে। একে অন্যের প্রতি রাগ, লালসা এবং দেখানো ভালোবাসার সম্পর্কে বিরাজমান থাকে। সঙ্গীর স্বার্থপরতা ও লালসা সম্পর্কে অধিকাংশ মানুষই প্রথম দিকে বুঝতে পারে না। তবে কিছু বিষয় আছে, যেগুলো মাথায় রাখলে বুঝতে পারবেন, সঙ্গী আপনাকে মন থেকে ভালোবাসেন না।
হুট করে প্রেম
প্রেমে মানুষ হুটহাট করেই পড়ে থাকে। তবে হঠাৎ প্রেমে ভালোবাসা কিংবা সততা থাকে না। আপনি কাউকে জানেন না বা তার খোঁজটুকু নেননি, এমন ক্ষেত্রে সম্পর্ক গড়ে তোলা ঠিক নয়।
দুটো মানুষের মনের মিল, পারস্পরিক বোঝাপড়া থাকলেই কিন্তু একে অপরকে ভালোবাসা যায়। সত্যিকারের ভালোবাসা জন্মাতে বেশ কিছু সময় দিতে হয়। তাই একদিনের দেখা কিংবা পরিচয়ে একে অপরকে অনেক উপহার দিয়ে ভালোবাসা প্রকাশ করা যায় না।
ফোন কল বা টেক্সট ব্যাক করে না
সঙ্গীর স্বার্থপরতা বোঝার আরও একটি লক্ষন হলো ফোন কল বা টেক্সট ব্যাক না করা। হয়তো আপনিই সবসময় সঙ্গীর খোঁজ নেন। আর সে ওই প্রয়োজনটুকুও বোধ করে না।
এমনকি আপনার মিসড কল দেখার পরও কখনও কল ব্যাক করেন না। আপনার প্রয়োজনে এমন ব্যক্তি কখনোই পাশে থাকবে না। তাই এমন সঙ্গীর কাছ থেকে দূরে থাকুন।
সব সিদ্ধান্ত আপনারই
সব বিষয়েই কি আপনার সঙ্গী উদাসহীন? কোথাও যাওয়া, খাওয়া, থাকাসহ বিভিন্ন বিষয়ে যদি আপনাকেই সিদ্ধান্তি নিতে হয় তাহলে সঙ্গীর প্রয়োজন কোথায়!
এমনকি যদি আপনার জন্মদিনেও তিনি কোনো উপহার না দেন বা দিন-তারিখ ভুলে যান, তাহলে চিন্তার বিষয়। এমন মানুষ আর যাই হোক মোটেই বেশিদিন সম্পর্কে থাকতে পারেন না।
নিজের মত চাপিয়ে দেওয়া
সঙ্গী কি আপনার মতামত বা ভাবনাকে কোনো পাত্তাই দেন না? এমন মানুষেরা নিজেদের দোষ অন্যের উপর চাপিয়ে দেন। তিনি যা চান জোর করে সেটাই করাতে চান।
আপনার প্রয়োজনীয় কোনও কাজ থাকলেও তা বাতিল করতে বাধ্য করেন। কিন্তু নিজের প্রয়োজনে আপনার অনুভূতিকেও এরা পদতলে পিষ্ট করতে দ্বিধাবোধ করবে না। সঙ্গী হিসেবে এমন মানুষকে কখনও বেছে নিবেন না।
জেএমএস/এমকেএইচ