করোনা সংক্রমণ এড়াতে ডাবল মাস্ক পরার সঠিক উপায়
মহামারির এই সময় মাস্ক ব্যবহারের বিকল্প নেই। ঘর থেকে বের হলেই মুখে মাস্ক পরা জরুরি। একমাত্র মাস্ক ব্যবহারের মাধ্যমেই করোনা সংক্রমণ এড়ানো সম্ভব বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।
এই মুহূর্তে ২টি বা ৩টি মাস্ক পরার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। কারণ করোনাভাইরাস এতোটাই সুক্ষ্ম হতে পারে যে, বাতাসে ছড়িয়ে মানবদেহে সক্রমণ ঘটায়।
বিশেষজ্ঞরা এখন করোনা সংক্রমণের সম্ভাবনা রোধ করতে সবাইকে ডাবল মাস্ক পরার পরামর্শ দিচ্ছেন।
২টি মাস্ক পরা কি কার্যকর?
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল (সিডিসি) থেকেও ডাবল মাস্ক ব্যবহারের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
বিজ্ঞানীদের মতে, যত ভালো মাস্কই হোক না কেন, একটি না পরে বরং ২টি একসঙ্গে ব্যবহার করা উচিত।
সমীক্ষা অনুসারে, ডাবল মাস্কিং করোনা সংক্রমণের সম্ভাবনা ৮৫-৯৫ শতাংশ পর্যন্ত কমাতে পারে।
ডাবল মাস্কিং কোভিড-১৯ এর বিরুদ্ধে কীভাবে সহায়তা করে?
ডাবল মাস্ক ব্যবহারের কারণে যত ক্ষুদ্র জীবাণু বা ভাইরাসই হোক না কেন; তা আপনার নাক বা মুখ দিয়ে প্রবেশ করতে পারেব না।
এ ছাড়াও কারও সঙ্গে কথা বলার সময়ও বেশি দূরে দাঁড়াতে হবে না। গণপরিবহন, অফিস বা বদ্ধ ঘর, বাজার, হাসপাতাল এসব স্থানে যাওয়ার আগে অবশ্যই একসঙ্গে ২-৩টি মাস্ক পরতে হবে।
ডাবল মাস্ক ব্যবহারের সবচেয়ে ভালো উপায় কোনটি?
অনেকেই ঘরে তৈরি মাস্ক ব্যবহার করে থাকেন। আবার বাজারের সহজলভ্য কিছু মাস্ক অল্প দামে কিনে ব্যবহার করেন অনেকেই। তবে বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দিয়েছেন, মাস্কের পরিমাপ যেন ঠিক থাকে।
সার্জিক্যাল মাস্ক মুখকে ভালোভাবে ঢেকে রাখে না। কারণে এ মাস্ক যথাযথ ফিটিং না সবার মুখের সঙ্গে। তাই সহজেই নাকের উপরের অংশ বা চোয়ালের দিক দিয়ে বাতাসে মিশে থাকা ক্ষুদ্র জীবাণু প্রবেশ করতে পারে।
এজন্য মাস্ক ব্যবহারের আগে, সেটি আপনার মুখের সঙ্গে ফিট হবে কি-না তা দেখে নিন। ডাবল মাস্ক ব্যবহারের ক্ষেত্রে যে বিষয়গুলো মাথায় রাখবেন-
>> দুটি মুখোশই যেন মুখে একে অপরের সঙ্গে ভালোভাবে ফিট হয়ে থাকে।
>> মুখের কোনো স্থানে যেন ফাঁকা না থাকে বা বাতাস ঢুকতে না পারে।
>> দুটিই যেন ভালো মানের মাস্ক হয়।
>> একই ধরণের দুটি মাস্ক পরবেন না।
>> একটি এন ৯৫ / কে ৯৫ মাস্ক ব্যবহার
সিডিসির সাম্প্রতিক গবেষণা তথ্যানুসারে, ডাবল মাস্কের ক্ষেত্রেও লেয়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। যে মাস্কগুলো অন্তত ৩ স্তরবিশিষ্ট সেগুলো ভালো সুরক্ষা দেয়।
২ স্তরবিশিষ্ট মাস্কে অনেকটা অরক্ষিত হয়, এগুলো জীবাণুর বিরুদ্ধে মাত্র ৫৬.৬ শতাংশ সুরক্ষা দেয়। অন্যদিকে কাপড়ের মুখোশ যেগুলো ৩ স্তরবিশিষ্ট; সেগুলো ৮৫.৪ শতাংশ রোধ করে।
একাধিক স্তরবিশিষ্ট মাস্ক আপনাকে ভাইরাস থেকে রক্ষা করবে। এজন্য নিশ্চিত করুন, আপনি এমন একটি মুখোশ নির্বাচন করেছেন; যেটি তৃতীয় স্তরবিশিষ্ট।
সিডিসির সুপারিশ অনুযায়ী, ডাবল মাস্ক পরার ক্ষেত্রে এটি নিশ্চিত করুন যে, আপনি আরামবোধ করেছেন কি-না। অনেক সময় দেখা যায়, মাস্ক অস্বস্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
এ কারণে ভালো মানের আরামদায়ক মুখোশ পরুন। মাস্ক পরার পর ভালোভাবে শ্বাস নিতে পারছেন কি-না সেদিকেও খেয়াল রাখুন।
সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া
জেএমএস/জিকেএস