লাভ না-কি অ্যারেঞ্জ ম্যারেজ, কোন বিয়েতে সুখী হবেন?
অজানা-অচেনা মানুষকে হুট করে বিয়ে করতে নারাজ থাকেন অনেকেই। আবার দীর্ঘদিনের চেনা মানুষটির সঙ্গেও বিয়ের পর বিবাহবিচ্ছেদ হতে পারে।
এমনও জুটি আছেন, যাদের রীতিমতো সম্বন্ধ করে বিয়ে হয়েছে কিন্তু তারা আগে হয়তো একে অন্যকে চিনতেন না। তবে বিয়ের পর সম্পর্কে কোনোদিন ভাঙন ধরেনি!
আসলে দাম্পত্য জীবন নিয়ে আগে থেকেই কোনো ধারণা করা উচিত নয়। সবাই সুখী হতে চায়, কেউ সুখী হয়; কেউ হয় না। তবে লাভ ম্যারেজ হওয়ার পর দাম্পত্য কলহ বা বিচ্ছেদের বিষয়টি সবারই নজর কাড়ে।
এজন্য গুরুজনেরা বলে থাকেন, প্রেমের বিয়ে টিকবে না! কেউ কিন্তু বলে না অ্যারেঞ্জড ম্যারেজ টিকবে না! বরং গুরুজনেরাই উপদেশ দিয়ে থাকেন, সম্বন্ধের বিয়ে স্থায়ী হয়। অনেকেই ভেবে থাকেন, তাহলে কোন বিয়েতে সুখী হওয়া যায় লাভ না-কি অ্যারেঞ্জ?
যেভাবেই বিয়ে হোক না কেন সুখী দাম্পত্য জীবন উপভোগ করতে মেনে চলতে হবে কয়েকটি টিপস-
>> সম্বন্ধ করে বিয়ে ঠিক হলেও আগে কয়েক বছর চুটিয়ে প্রেম করুন। এতেই বুঝতে ও চিনতে পারবেন পরস্পরকে। এর ধারণা পাবেন, বিয়ের পরে আপনাদের সম্পর্কটা কেমন হবে।
>> দু’জন আলাদা মানুষ যখন একসঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধেন; তখন পরস্পরের পছন্দ-অপছন্দ মেনে নিয়ে চলতে হবে। একে অন্যের সঙ্গে ভালোভাবে মিশে বিয়ে করলেও মনে রাখা জরুরি, আপনি যেমন আপনার সঙ্গী তেমন নাও হতে পারেন!
>> লাভ ম্যারেজের ক্ষেত্রে একটি বিষয় মাথায় রাখুন, বিয়ের আগে ও পরে কিন্তু পরিস্থিতি বদলায়। বিয়ের আগে যদি প্রেমিক আপনাকে সারাদিন ফোন করত কিন্তু বিয়ের পর যখন সে দিনে ২ বার ফোন করবে; তখন বিষয়গুলো মানিয়ে না নিলেই কলহ হবে।
>> প্রেমের সময় অনেকেই সঙ্গীকে নানাভাবে সুখী করার স্বপ্ন দেখায়। লাভ ম্যারেজের পর দেখা যায় সেসব আর ঘটে না; তখন সঙ্গী সেগুলো মনে করিয়ে দিয়ে কলহ সৃষ্টি হতে পারে। তাই লাভ ম্যারেজ করার আগে বিষয়গুলো নিয়ে একবার ভেবে দেখবেন।
ব্রাইট সাইড/জেএমএস/এমকেএইচ