বেডরুম থেকে দূর করুন মোবাইল ফোন
আপনার দৈনন্দিন জীবনে নানা সমস্যা তৈরি করতে পারে মোবাইল ফোন। আর এসব সমস্যা দূর করার জন্য বেডরুম থেকে এ জিনিসটি দূর করে দেওয়ার বিকল্প নেই। এমনকি বেডরুমে মোবাইল ফোনটি চার্জ করাও কোনোভাবে উচিত নয়। এ লেখায় থাকছে বেডরুম থেকে মোবাইল ফোন দূর করার সাতটি উপকারিতা।
১. গেমস ও চ্যাট থেকে বিরতি
স্মার্টফোন সঙ্গে থাকলেই গেমস ও চ্যাট আপনাকে আকর্ষণ করবে। আর এ বিষয়গুলো নিয়ে সারাক্ষণ মেতে থাকা ক্ষতিকর। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম অনেক মানুষেরই নেশা। এসব কারণে প্রয়োজন হয়ে পড়েছে নেশাগুলো থেকে বিরতি নেওয়ার। আর এক্ষেত্রে স্মার্টফোনটি দূরে রাখার বিকল্প নেই।
২. বই পড়ার সময়
প্রযুক্তির (অ)কল্যাণে এখন আমরা অনেকেই বই পড়ার সময় পাই না। আর এক্ষেত্রে বই পড়ার সময় বের করে দিতে পারে মোবাইল ফোনটি দূরে রাখা। অন্যথায় বইয়ের পেছনে দেওয়ার মতো সময়টি দখল করে নেবে ফোন।
৩. ভালোবাসার কাউকে সময় দিন
সেলফোন কখনোই আপনার প্রিয় মানুষটার চেয়ে মূল্যবান নয়। আর এ প্রযুক্তিটির কারণেই বহু মানুষের জীবনে সমস্যা তৈরি হচ্ছে। তাই একে দূর করে প্রিয় মানুষকে সময় দেওয়াই সবচেয়ে ভালো।
৪. ক্ষতিকর বিকিরণ থেকে মুক্তি
স্মার্টফোনের মতো প্রযুক্তিপণ্য থেকে ‘নন-আয়োনাইজিং ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক রেডিয়েশন’ হয়। এটি দেহের কোষগুলেতে প্রভাব বিস্তার করে, যা থেকে ক্যান্সারও হতে পারে। তাই সুস্থ থাকার জন্য মোবাইল ফোনটি দূরে রাখাই ভালো।
৫. অ্যালার্ট থেকে মুক্তি
অনেকেই স্মার্টফোনের মাধ্যমে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের নানা অ্যালার্ট গ্রহণ করেন। এগুলো সারাক্ষণ বিরক্ত করে, যা প্রত্যেকের জন্যই ক্ষতিকর। এ ছাড়াও রয়েছে মেসেজ কিংবা অন্য অ্যালার্টের ঝামেলা। কিন্তু এসব অ্যালার্ট থেকে দূরে থাকাও সহজ নয়। আর সব সমস্যার সহজ সমাধান হলো স্মার্টফোনটি বেডরুম থেকে দূরে রাখা।
৬. বর্তমানকে উপভোগ
বর্তমান সময়ে উপভোগ্য করে তোলার কোনো বিকল্প নেই। আপনি যতই প্রযুক্তিসচেতন কিংবা আশপাশের বিষয় নিয়ে চিন্তিত থাকেন, নিজের সময়টি ঠিকভাবে উপভোগ করা উচিত। অন্য সব বিষয়ের চেয়ে এটি গুরুত্বপূর্ণ।
৭. ঘুমের উপকার
মোবাইল ফোন বেডরুমে রাখলে তা আপনার ঘুমের যথেষ্ট বিঘ্ন ঘটায়। আর এ ঘুমের অভাবে শারীরিক ও মানসিক নানা সমস্যা হয়।