শীতে যে ধরনের খাবার খাবেন
শীতের সময়টায় নানা রকম পরিবর্তন আসে আমাদের জীবনযাপনে। শাল, সোয়েটার, কম্বল, স্যুপ, কফি- নানা জিনিস যোগ হয়। মহামারীর এই সময়ে সবাই সবচেয়ে বেশি চিন্তিত রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা নিয়ে। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে শীতের সময়ে খাবারের প্রতি থাকতে হবে বাড়তি সচেতন। কারণ এই সময়ে অন্যান্য অসুখ-বিসুখও বেশি দেখা দেয়। বিস্তারিত প্রকাশ করেছে টাইমস অব ইন্ডিয়া।
ফল
বছরের এই সময়ে প্রচুর ফলমূল এবং শাকসবজি পাওয়া যায়। কারণ এটি সেগুলোর বৃদ্ধির সর্বোত্তম তাপমাত্রা। এই সময়ের নানা ফলে প্রচুর ভিটামিন রয়েছে যা ফ্লুর বিরুদ্ধে লড়াই করে। শাক-সবজি হলো রোগ প্রতিরোধ সুরক্ষার জন্য সেরা বর্ম। ব্রকলি এবং আদা সর্বাধিক সেবনকারী শাকসবজি যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা জোরদার করতে সহায়তা করে। সবুজ শাকগুলো ভীষণ উপকারী।
ভেষজ এবং মশলা
ভেষজ এবং মশলাকে স্বাস্থ্যকর প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে তোলার সেরা সমাধান হিসাবে বিবেচিত হয়। পুদিনা, গোলমরিচ, তুলসি, লেমনগ্রাস এমন কিছু গুল্ম যা শীতকালে ভালো জন্মে। এগুলো গুরুত্বপূর্ণ ভিটামিন এবং খনিজ সরবরাহ করে যা আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
রান্নাঘরে থাকা উপাদান
বাড়িতে থাকা গ্রিন টি নিয়মিত পান করুন এই সময়ে। এটি অন্টিঅক্সিডেন্টের একটি দুর্দান্ত উত্স এবং এতে রোগ প্রতিরোধ বাড়ানোর উপাদান রয়েছে প্রচুর। মিষ্টি আলুও প্রচুর পাওয়া যায় এই সময়ে। চিনাবাদামও উপকারী এই সময়ে। বিভিন্ন রকম খাবারেও এই বাদাম যোগ করা যায়। এই সময়ে সহজলভ্য হলো গাজর। গাজর দিয়ে নানারকম সুস্বাদু খাবার তৈরি করা যায়। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য মাশরুমও খেতে পারেন।
দারুচিনি এবং লবঙ্গ দিয়ে তৈরি আদা চা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। এটি আপনাকে সতেজ এবং ভরপুর রাখে। শাকসবজির সাথে মশলা যোগ হলে তা আরও বেশি উপকারী হয়ে ওঠে। এই সময়ে পার্সলে পাতা খাবারের সাথে যোগ করা যেতে পারে। ভিটামিন সমৃদ্ধ এই খাবার আমাদের দীর্ঘস্থায়ী রোগ থেকে রক্ষা করে।
এইচএন/এমকেএইচ